গ্যালারি

রেসিপিঃ মাছের পেটি রান্না (কাতলা মাছ ও ৪০,০০০তম হিট)


আজ সকালে দেখলাম ‘রান্না ও গল্প’ সাইটের ৪০,০০০তম হিট (পেইজ ওপেন) হয়ে গেল (প্রথম কয়েক মাসের হিট গণনা করা হয় নাই)। বিষয়টা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। সাধারন ফ্রীতে ওপেন করা ওয়ার্ড প্রেস  পারসোন্যাল ব্লগে এত কম সময়ে এত হিট এটা কোন সাধারন ব্যাপার নয়। যারা ওয়ার্ড প্রেস ব্লগ প্রসঙ্গে জানেন তা বুঝতে পারবেন। পাঠক পাঠিকাকে নিজের পারসোন্যাল ব্লগে নিয়ে আসা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। যাই হোক, আমি ভাগ্যবান এই জন্য যে, আপনারা আমাকে পছন্দ করেন।

আসলে হাসতে হাসতেই আমার রেসিপি লিখা। চতুরে নানান বিষয়ে লিখার ফাঁকে একদিন সাজনে পাতার একটা ভর্তার রেসিপি লিখে ফেলি। বিষয়টা দেখলাম বেশ আনন্দ দিয়েছিল সবাইকে। তার পর শুরু হল পথচলা। গল্পের চলে সেখানে প্রায় ৬৭ টা রেসিপি লিখে ফেললাম। প্রচুর কমেন্ট আর ভালবাসা পেয়েছি অনেক অনেক ব্লগারের/পাঠকরে। কিন্তু এক সময় যা হবার তা হল! কিছু (সংখ্যায় বেশি হবে না গোটা ৪/৫জন হতে পারে) আঁতেল ব্লগার আমার এই রেসিপি লিখাটা আর সইতে পারল না। তাদের দেখলাম, বাঁকা কমেন্ট করেই যাচ্ছে। আমার পোষ্ট নতুবা অন্য কারো পোষ্টে! বিষয়টা আমাকে বেশ পীড়া দিল। আমি সেখানে রেসিপি লিখা বন্ধ করে দিলাম। সেখানে ‘শিল্প ভাবনা’ নামে আর একটা সিরিজ দাঁড়া করালাম। আঁতেল মার্কা শিল্পীদের সাথে শিল্প ভাবনা নিয়েই কথা হউক!

যাই হোক, এর মধ্যেই বুঝে গেলাম রেসিপি আসলেই একটা দরকারী বিষয়। নেট এবং বাংলার ব্যবহার বেড়ে যাওয়াতে প্রবাসী সহ অনেক ব্যাচেলরদের কাজে লাগছে জেনে এবং দেখে রেসিপি চালিয়ে যাবার চিন্তা করতে থাকলাম। প্রবাস থেকে কত বোন, ভাইদের ফোন, মেসেজ পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশের নয়। মানুষের কাজে লাগা এবং রেসিপি লিখে এত ভালবাসা পাওয়া যেতে পারে এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল। এদিকে যে আমি রান্নাঘরের আশে পাশে যেতাম না, সেই আমি গত বছর দেড়েকে পাকা রান্নাকারী হয়ে গেলাম! এখন প্রায় রান্না আমি নিজেই পারি। অন্যদিকে আমার স্ত্রী মানসুরা হোসেন যাকে আমি ব্যাটারী বলি, তিনিও আমাকে রান্না শেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আসলে রান্নার ফাঁকে ফাঁকে গল্প, আমাদের এক সাথে সময় কাটানো চলতে লাগল। আগের চেয়ে এখন আমাদের বুঝাপড়া অনেক ভাল, এটা রান্নাঘরের কারনেই হয়েছে!

যাই হোক, চতুর ছেড়ে অনেক ব্লগ/বাংলা সাইট দেখতে লাগলাম। কোথায়ো মন টিকাতে পারলাম না। যদিও অনেক ব্লগে আমি অনেক বিষয়ে লিখি। সামুতে রেসিপি পোষ্ট চলতে পারে, সামুতে রেসিপি দিয়ে আরো হিট পেতে পারতাম কিন্তু অফিস থেকে সামু লক থাকায় সামুতে নিয়মিত হতে পারছিলাম না। এভাবে স্থির হলাম, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ চালাবো! চাকুরী করে আমার কাছে এই ধরনের সাইট চালানো কঠিন হলেও খুব কম সময়ে ফ্রী ওয়ার্ড প্রেস ব্লগের অনেক কিছু শিখে ফেললাম! আমার চতুরের রেসিপি পোষ্ট গুলো নিয়ে আসলাম (এই সাইটের প্রথম ৬৭ টা রেসিপি চতুর থেকেই কপি) এবং এরপর আমার রেসিপি পোষ্টের নুতন জীবন। আপনাদের ভালবাসায় আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন আমি মনে করি, সারা বিশ্ব থেকে প্রতিদিন যে পরিমান রেসিপি প্রিয় বন্ধু পাঠক/পাঠিকা আসেন তা অনেক অনেক বড় বাংলা ব্লগও কল্পনা করতে পারে না। এত কম সময়ে চল্লিশ হাজার হিট, আমি মনে করি সেরা কাজ।

রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বন্ধুদের সহযোগীতার জন্য আমরা অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা আমাদের পছন্দ করেন বলেই আমরা আমাদের আগামী রেসিপি লিখার চেষ্টা করি। আমাদের ইচ্ছা আছে, প্রায় ১০০০ খাবারের রেসিপি আপনাদের সামনে হাজির করবো এবং এই ‘গল্প ও রান্না’ সাইটে এলেই যেন আপনি আপনার মনের ইচ্ছানুযায়ী রেসিপি পেয়ে যান, তার চেষ্টা করব।

যাই হোক, অনেক কথা অনেক স্মৃতি! দুনিয়াতে যা কিছু ঘটে সবই কাজেই ঘটে! তবে আমি মনে করি, ভালবাসায় সব কিছু জয় করা যায়। কোন ভালবাসাই বৃথা যায় না। লেখক (আমি লেখক হতে পারলাম কই!) তার লেখাতেই নিজকে প্রমান করবেন, লিখাই (ছাইপাশ) হবে তার বড় পরিচয়। আমি নিজকে আমার লেখা দিয়েই (আপনাদের ভালবেসেই) আপনাদের কাছে থাকতে চাই।

রান্না আসলে একটা চমৎকার বিষয়। প্রতিটা মানুষেরই রান্না জানা উচিত। রান্না জানা একটা আলাদা গর্বের ব্যাপার। একজন মা, বোন, স্ত্রী, মেয়ে আপনার আমার জন্য ভালবেসেই রান্না করেন বলেই রান্নার কষ্ট ভুলে যান (একদিন শুধু পেঁয়াজ কেটেই দেখুন, কেমন কষ্ট!)। এটা আমাদের পুরুষদের বুঝা উচিত, তারা আমাদের দয়া করে রান্না করে দেন বলেই আমরা পেট পুরে খেতে পারি। আমাদের পুরুষদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রান্না করা একজন নারীর অধিকার বা বর্তে যাওয়া কাজ নয়! আপনি যেহেতু খাবেন সুতারাং এটা আপনারই কাজ! আমি মনে করি দুনিয়ার সকল পুরুষের রান্না জানা উচিত।

আমি দুনিয়াতে আর যাই করি না কেন, সিদান্ত নিয়েছি রান্না করেই যাব। নিজ হাতে রান্না করে ভালবাসার মানুষদের খাওয়াব। আমার রান্না খেয়ে যখন আমার ছেলে বলে, বাবা ফার্ষ্টক্লাস! তখন আমার মনের আনন্দ অনেক অনেক বেড়ে যায়। মনের আনন্দ অনেক বড় ব্যাপার!

মাছে ভাতে বাঙ্গালী! চলুন আজ এই ভাল সময়ে একটা মাছ রান্না দেখে ফেলি। কাতলা মাছের পেটি রান্না। আগেই বলে নেই এই রান্নায় আমাকে কেহ নুন্যতম সাহায্য করে নাই কারন আমার ব্যাটারী সে সময় বোনের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন! মাছের টুকরা করা থেকে যাবতীয় কাজ আমি একাই করেছি। পুরা রান্নায় সময় লেগেছিল এক ঘন্টা পনর মিনিট।

আমার ব্যাটারী বুলেট ফিরে এসে এই রান্না খেয়ে আমার যে তারিফ করেছিল তা আমার অনেকদিন মনে থাকবে। ‘চিচিংগা সম্রাট’ থেকে ‘মাৎস্য সম্রাট’ বনে গেছি! হা হা হা…

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ (উপকরণের অনুমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
– কয়েক টুকরা মাছের পেটি (হাফ কেজি)
– কিছু হাফ সিদ্ব করে নেয়া আলু
– মরিচ গুড়া
– হলুদ গুড়া
– দুই চামচ রসুন বাটা
– এক চামচ আদা বাটা
– সামান্য জিরা গুড়া
– কয়েকটা শুকনা মরিচ (অফশন্যাল)
– কিছু পেঁয়াজ কুচি
– লবণ (স্বাদ মত)
– পরিমাণ মত তেল/পানি

প্রণালীঃ

আপনার ইচ্ছা অনুযাযী মাছের পেটি কেটে নিন এবং লবন পানিতে ধুয়ে নিন।


কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ভেজে, আদা ও রসুন দিয়ে আবারো ভাল করে কষিয়ে নিন। ঘরে যদি থাকে কয়েকটা শুকনা মরিচ তবে তা দিয়ে দিন (না থাকলে নাই)। সামান্য লবন পেঁয়াজ কুচির সাথেই দিয়ে দেবেন।


সামান্য হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া (শুকনা মরিচ দেখে), জিরা দিয়ে আবারো ভেজে এক কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন।


এবার হাফ সিদ্ব আলু (পরিমান আপনার কাছে) ছিলে সাইজ মত কেটে নিন এবং ঝোলে দিয়ে দিন।


সামান্য পরেই মাছের টুকরা গুলো দিয়ে দিন।


খানিক ক্ষন কষে গেলে এবার প্রয়োজনীয় পানি দিন (পানি দিতে সাবধান, ঝোল বেশি না রাখতে চাইলে কম)


এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট বিশেক রেখে দিন। কড়াইতে মাছ নাড়াতে সাবধান। বড় এবং লম্বা মাছ সামান্য ভুলে ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে! হালকা  আলতাভাবে দুটি খুন্তি দিয়ে ধরে এপাশ ওপাশ করে দিতে হবে।


ঝোল কেমন রাখবেন এটা আপনার ইচ্ছা। ফাইন্যাল লবন চেক করে নিন। লাগলে দিন, না লাগলে ওকে!


মাছ মজে গেল কিনা তা বুঝতে খুন্তি দিয়ে মাছে চাপ দিয়ে দেখুন। এটা বুঝতে আপনাকে বিজ্ঞানী হতে হবে না!


ব্যস। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

গরম ভাতের সাথে এই মাছ খেয়ে আমার ছেলে কি বলল জানেন, বাবা ইউ আর এ রিয়েল শেফ নাউ। আই উইল নট কল ইউ এগেইন এনিমোর দ্যাট ইউ আর অনলি এ নেট শেফ! ভাল খাবার পেটে পড়লে পোলাপাইনও ইংলিশ বলে!

হাসুন না কান্দুম বুঝতে পারছি না!  আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

41 responses to “রেসিপিঃ মাছের পেটি রান্না (কাতলা মাছ ও ৪০,০০০তম হিট)

  1. রান্নাতো ভাই, আপনার মত করে সব পুরুষেরা যদি ভাবতে পারতো তবে পৃথিবীটা অনেক মধুর হতো।
    আমার হিটলার নানাকে দেখেছি ভাত খেতে বসে কত বার প্লেট ছুড়ে ফেলেছেন। আর আমার শান্ত শিষ্ট লক্ষী নানী নিজেকে সঙ্কুচিত, অপরাধী মনে করে ছড়ানো ভাত, তরকারী, ভাঙ্গা প্লেট সাফ করছেন আর চোখের পানি ফেলছেন। 😦

    মাছের টুকরো দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা বড় পাকা কাতলের পেটি। আর রান্নাটাও নিখুত হয়েছে।
    গতকাল কচুর পোস্টে কমেন্ট ও কচুর নিচের অংশের একটি রেসিপি লিখে পোস্ট করার আগেই কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। মেজাজ পুরাই বিলা হয়েছিলো।

    Like

    • ধন্যবাদ প্রিয় রান্নাতো বোন।
      অনেকদিন আপনার কমেন্ট মিস করছিলাম। যাই হোক, ব্যস্ত আছেন জেনেছি। আমাদের ভাগ্নে মশাই আশাকরি ভাল আছে। কুম্ভকর্ন ব্রাদার আশা করি ভাল আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা।

      আপনার নানার মত আমার বাপ চাচারাও। আমি প্রায় আমার ব্যাটারীকে বলি আমি যদি আমার বাপ চাচাদের মত রাগী হতাম তবে তোমার খবর ছিল! মাটির মানুষ পেয়েছ (হা হা হা)! যাই হোক, আমি মনে করি আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি পালটানো উচিত। সবাইকে নিজের মতই মানুষ ভাবা উচিত। সমঅধিকার মেনে নিলেই ঝামেলা চুকে যায়।

      হা, মাছটা অনেক বড় ছিল। প্রায় ১১ কেজির মাছের পেটির টুকরা কেমন হতে পারে। একটা গোপন কথা বলে যাই, চার টুকরা রান্না করতে যেয়ে যে কড়াই চুলায় দিয়েছিলাম তাতে দেখি চার টুকরা জায়গা হয় না! তাই তিন টুকরা দিয়ে রান্না করেছি! হা হা হা… আর তিন টুকরা চার জনে ভাগ করে খেয়েছি। বেশ মজাদার হয়েছিল।

      আজকাল আবারো বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী শুরু হয়েছে! প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, দিনে দুই ঘন্টা লোড শেডিং চলবে। আমাদের অবস্থা কেরসিন হবে তবে আমার ব্যাটারী হাসতে হাসতে জানালেন, বিল কম আসবে!

      শুভেচ্ছা থাকল। আপনি ফ্রী হয়ে নুতন লিখা লিখুন।

      শব্দনীড় এবং উন্মোচনেও পোষ্ট দিন। উন্মোচনে মামুন ভাই আছেন, নিরিবিলি আড্ডা চলে, আর গন আড্ডা দিতে চাইলে শব্দনীড়ে আমরা আছি। হুদা ভাইতো এখন শব্দনীড়ের স্টার!

      http://www.unmochon.net/node/1758
      http://www.shobdoneer.com/udraji/33060

      Like

  2. দারুন একটা রেসিপিগ্লপ পেলাম ,:) ছবি সহ বিস্তারিত পোস্ট টা দেখে রান্না করার লোভ হচ্ছে , কিন্তু আসল ঘটনা হল আমি মাত্র ৩টা রান্না পারি , ১, ভাত রান্না ,১, দুধ জ্বাল দেওয়া আর ৩, ডিম ভাজা 😦 , তাই আপাতত কি আর করা হোটেলে গিয়ে মনের জ্বলা মিটান লাগবে ।

    Like

    • ধন্যবাদ বোরহানিছ ভাই।
      আপনার কমেন্ট দেখে হাসছিলাম। তবে রান্না করতে এসে বুঝেছি যিনি ভাত রান্না করতে পারেন তিনি আসলেই সব পারবেন। ভাত রান্না আমার কাছে সব চেয়ে কঠিন রান্না মনে হয়। বিশেষ করে ভাতের মাড় ফেলা। সামান্য ভুলে হাত শরীর পুড়ে যেতে পারে। আপনি যেহেতু এই কঠিন কাজটা করতে পারেন তবে সব পারবেন। একদিন নিজে মাছ রান্না করে দেখেন, নিজের হাতের রান্না খেয়ে বলবেন, কেমন লাগছে!

      এদিকে দুধ জ্বাল দেয়াও বিশেষ ব্যাপার। সারাক্ষন চুলার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মানে, আপনি কঠিন কাজ গুলো জানেন।

      তাই আর দেরী নয়, রান্না শিখে সবাইকে চমকে দিন। দেখবেন ভালবাসা কাকে বলে? আপন জনরা দেখবেন আরো বেশি ভালবাসছে।
      শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।

      Like

    • বোরহানিছ ভাই, আপনার ব্লগ থেকে এই মাত্র ঘুরে এলাম। ব্যাংক নিয়ে আপনার ইন্টারেষ্ট (ব্লগে) দেখে ভাল লাগল। দুনিয়াতে এখনো কত কি অজানা।
      শুভেচ্ছা আবারো।

      Like

    • ধন্যবাদ সুজন ভাই। আপনাদের অন্তরিকতা না থাকলে আমি এতদুর আসতে পারতাম না। আপনি আমার প্রিয় মানুষদের তালিকায় উপরের দিকেই আছেন। আপনার কমেন্ট গুলো আমাকে বেশ অনুপ্রানিত করে থাকে।
      আপনি নিজে কম লিখেন, এটা মানা যায় না। লিখুন।
      শুভেচ্ছা।

      Like

  3. ৪০,০০০তম হিটের শুভেচ্ছা

    Like

  4. আপনাকে বাপুক শুভেচ্ছা ৪০,০০০/- হিট এর জন্য !! আগামিতে এই রেসিপির ধারা অব্যাহত থাকবে আশা রাখি ! 🙂

    Like

  5. আপনাদের অভিনন্দন। আশা করি আপনাদের দেয়া রেসিপি গুলো কাজে লাগবে অনেকের।

    Like

  6. চল্লিশ হাজার? ব্যক্তিগত ব্লগে ৪০,০০০ হিট?? আপনি তো বিরাট এক নায়ক! অভিনন্দন, আন্তরিক অভিনন্দন! এই সাফল্য আপনাকে আবার আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে না তো??

    ১১/১২ কেজি ওজনের রুই-কাতলার পেটি কাঁচা খেলেও স্বাদ লাগার কথা! এই ওজনের কাতলা যেদিন কেনা হবে, সেদিন তার মাথা আর পেটি অবশ্যই আমি নিজে রান্না করে সবাইকে খাওয়াবো!!! শুধু তাই না, ভাজিও করবো!!!

    [এখানে ইমো দেওয়া যায় না কেন?]

    Like

  7. Congratulations – Its a wonderful achivement – You are a legend. I will remember you in Sydney on the weekend when I enjoy my “Dimer Chop” with cold beer. 🙂

    Like

  8. এই টা একটা মনের মত রেসিপি ব্লগ । ছবি গুলো দেখলেই মনে একটা confidence চলে আসে ।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন। আসলে আমার প্রচেষ্টা আপনার চোখে পড়েছে বলে আমি খুশী। হা, বোন, আমি চাই আমাদের যে কেহ এখানে এসেই যেন তার রান্নার সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যান। বিশেষ করা যারা রান্না করেন, তাদেরও উপকার লাগে এমন চিন্তা আমার মাথায় থাকে।

      প্রবাসী এবং ব্যচেলর ছেলে/মেয়েরা রান্না শিখে ফেলুক তাড়াতাড়ি এটাও আমার প্রচেষ্টা।

      আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক অনেক খুশি হলাম। আশা করি সাথে থাকবেন।
      শুভেচ্ছা।

      Like

  9. Brother, Thank you very much for your kind help to the Bengli people.
    Best wishes always.

    Like

  10. অভিনন্দন উদরাজি ভাই।
    তাহলে একটা খানাপিনার আড্ডা মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি পাচ্ছি!

    Like

  11. সাহাদাত ভাই, লোকপ্রিয়তার জন্য অভিনন্দন। মন থেকে ভালবেসে লেখা বা করা কোন জিনিস ই নিষ্ফল যায় না। আপনার রেসিপি পড়ে অনেক কিছু শিখছি। প্রবাসে থাকার দরুন আমাদের খাদ্দ্যাভ্যাস পাঁচমিশালী হ’য়ে গেছে। আপনার ব্লগের দৌলতে আবার বাংলার মাটির স্বাদ পেয়েছি – এটা বিরাট পাওয়া। আর আপনার সহজ, সাবলীল গল্পের তো কথাই নেই। লিখে জান – আপনার সঙ্গে আমরা যারা বাংলা কে ভালবাসি তাঁরা সব সময়ই আছি …থাকব। শুভেচ্ছা —গীতশ্রী।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন। আপনার কমেন্ট পড়ে মনে শান্তি পেলাম। আমি নিজেও প্রায় সাড়ে ৯ বছর প্রবাসে ছিলাম। আমি প্রবাসের যাতনা বুঝি। রান্না না করার কারনে কত কি যে খেয়েছি এমন কি শুধু বিস্কুট আর একটা কোলা ক্যান খেয়েও বেলা পার করেছিলাম। আজ সে সব কথা মনে হলে হাসি আসে! রান্নাত যাবতীয় সব কিছু হাতের কাছে থাকলেও না পারার দরুন কত কি করেছি!

      আসলে আমার রেসিপির টার্গেটি হচ্ছেন, প্রবাসী এবং ব্যচেলর। আমি তাদের দেখিয়ে দিতে এবং মনে করিয়ে দিতে চাই আমাদের প্রিয় খাবার গুলো। এবং চাই ছেলেরা রান্না করুক।

      রান্না যে একবার ভালবেসেছে তাকে আজীবন ভালবেসেই যেতে হবে।

      শুভেচ্ছা থাকল বোন। আশা করি সাথে থাকবেন। প্রিয় কোন দেশী খাবারের নাম থাকলে বলুন। আমি রান্না করি আর আপনার জন্য রেসিপি পোষ্ট দেই। হা হা হা…

      Like

  12. অভিনন্দন সাহাদাত ভাই।

    রান্না ব্যাপারটা শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় ইচ্ছে করলেই। অনেক অভিনন্দন আপনাকে। রান্নাকে সহজভাবে উপস্থাপন করাটা আপনার কাছ থেকেই শিখতে হয়।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আমি বার বার বলি, রান্নার অপর নাম ভালবাসা। যিনি ভাল রান্না করেন তিনি অবশ্যি ভাল মনের অধিকারী। রান্নায় যে ত্যাগ আছে তা দুনিয়ার আর কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। রান্না করে অন্যকে খাওয়ানোর মত ভাল কাজ আর কি হতে পারে?

      শুভেচ্ছা।

      Like

  13. একটু দেরীতে হলেও অভিনন্দন সাহাদাত ভাই।
    আসলে এর কৃতিত্বের জন্য আপনি এবং আমাদের ব্যাটারী ভাবি সমান ভাগিদার। কারণ এই দু’জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা এক একটি দুর্দান্ত রেসিপি পেয়ে থাকি। যার কারণেই বার বার আমরা ছুটে আসি আপনার এই ব্লগে। মাত্রই তো শুরু, এই পথচলা আরও দীর্ঘ হবে এই শুভকামনাই করবো সব সময়।

    আর রেসিপিটা তো চমৎকার হয়েছে অবশ্যই, আমার প্রিয় খাবার বলে কথা।
    শুভেচ্ছা !!

    Like

    • ধন্যবাদ দাইফ ভাই। আসলে এই রেসিপি ব্লগ আপনারা এত ভালবাসবেন তা আমি কল্পনা করি নাই। গতকাল আমেরিকা থেকে এক বোন ফোন দিয়েছিলেন। আমার মনের অবস্থা বুঝেন। তিনি আমাকে বেশ বাহবা দিয়েছেন।

      আমাদের শুভেচ্ছা নিন। আমাদের ইচ্ছা অনেক অনেক রেসিপি।

      Like

  14. রেসিপি নিয়ে নতুন করে কোনো কিছু বলবার অপেক্ষা রাখেনা; কিন্তু এই লাইনটার জন্য সবাই মিলে হাততালি দেওয়া উচিত – ” আমাদের পুরুষদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রান্না করা একজন নারীর অধিকার বা বর্তে যাওয়া কাজ নয়! আপনি যেহেতু খাবেন সুতারাং এটা আপনারই কাজ! আমি মনে করি দুনিয়ার সকল পুরুষের রান্না জানা উচিত।”
    ১০০% একমত; এই কারনে আমিও রান্না করতে জানি।

    Like

    • ধন্যবাদ নীলাকাশ ভাই, আসলে বিবেকবোধ। আমাদের সবাইকে বিবেকবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। এতেই শান্তি।

      আপনি রান্না জানেন জেনে খুশি হলাম।

      আমাদের ভাতিজী কেমন আছে? এবার কোন ক্লাসে পড়ছে। অবসরে ওকে কিছু মজার রান্না শিখিয়ে দেবেন তবে সেফটি তথা রান্নায় যে সব সতর্কতা থাকা প্রয়োজন তা জানিয়ে দেবেন।

      আপনাকে ইদানিং বাংলা ব্লগে কম দেখা যাচ্ছে। লিখা চেড়ে দিলেন নাকি!

      সবাইকে শুভেচ্ছা।

      Like

  15. নমস্কার দাদা। আপনার সব রান্নাই খুব ভাল। আপনার মাছ এর রেসিপি গুলো দেখলাম সব। চিতল মাছ এর কোন রান্না নেই। চিতল মাছ এর পেটী রান্না দেখতে চাই। আর চিতল মাছ এর মুঠি । এই রান্না খুব কঠিন শুনেছি , দয়া করে শিখিয়ে দেবেন। ভাল থাকবেন।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন। আপনিও চিতল মাছের কথা মনে করিয়ে দিলেন। হা হা হা… গতকাল বাজারে বড় একটা চিতল মাছ দেখে কিনতে ইচ্ছা হয়েছিল। সব সময় বাজারে চিতল মাছ পাওয়া যায় না, এবার দেখা পেলে কিনে ফেলবো। মুঠি মানে কি কোপ্তা। চিতলের কোপ্তা (যা মুঠ করেই বানানো হয়) আমরা খেয়েছি, তবে এই ধরনের খাবার জীবনে বেশী খাবার সুযোগ আসে না! হা হা হা…

      সুযোগ হলেও নিয়ে আসবো। শুভেচ্ছা।

      Like

  16. ছবি দেখা যাচ্ছে না ভাইয়া 😦

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]