দাইফ ভাই। আপনাকে নিয়ে বেশী কথা বলতে চাই না। রেসিপি ব্লগ লিখে যে সকল মানুষের ভালবাসা পেয়েছি, আপনি তাদের মধ্য অন্যতম। আপনার কমেন্ট আমাকে সাহস যুগিয়েছে, আমি একটা রেসিপি ব্লগ লিখে আর একটা লিখতে চেষ্টা করেছি আপনাদের মত ভাল মানুষের সহানুভুতি পেয়েই।
কথা বলার সময় নেই আজ। ঈদের আগের দিন বাজারে গিয়ে একটা বড় কাতলা মাছ কিনে ফেলেছিলাম (যা আগেই বলেছিলাম) আর সেই মাছের মাথা আস্ত রান্না হয়েছে, শুধু আপনার জন্য! বড় কাতলা মাছের মাথার ঝোল। অনেকটা নেহরী স্টাইলে! মুড়িগন্ট বানানোর ইচ্ছা থাকলেও সেই ইচ্ছা বাদ দিয়ে ছোট বেলায় মায়ের কাছে দেখা (অনুমানে) মাথার ঝোল মনে রেখে! ছোট বেলায় শুনেছি, জামাইরা শশুর বাড়ী গেলে নাকি এমন মাছের মাথা রান্না করে দেয়া হত! তিনি শশুরবাড়ীর শালাশালী নিয়ে বসে খেতেন! সেই দিন আর নেই!
প্রিয় রেসিপি পাঠক পাঠিকা বন্ধুগন, আপনাদের মন খারাপ করার কারন নেই। দাইফ ভাই মানুষ ভাল, একা খাবেন না। আমাদেরও দিয়ে থুয়ে খাবেন! হা হা হা, চলুন আর দেরী না করে আজ শুধু ছবি দেখি। খুব সাধারন রান্না। ছবি ভাল করে দেখলেই বুঝে যাবেন!
প্রণালী (শুধু ছবি)!
ছবি ১ – মাছ বিক্রেতা ও বুলেট।
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪
ছবি ৫
ছবি ৬
ছবি ৭
ছবি ৮
ছবি ৯
ছবি ১০
ছবি ১১
ছবি ১২
ছবি ১৩
ছবি ১৪ – অসাধারণ স্বাদ হয়েছিল।
ছবি ১৫ – সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
এক কাতলার ঝোল আর কয় জনে খাওয়া যাবে। দাইফ ভাই একাই সাবাড় করে দিতে পারবেন। আমরা না হয় অন্য কিছু ( যেমন,খাসির মাথা) খেয়ে জিহবাকে সান্ত্বনা দেবো!
LikeLike
হা হা হা, হুদা ভাই মনে হয় আমার পেটুকতার পরিচয় কোনো না কোনোভাবে পেয়ে গিয়েছেন। তবে আমি না হয় একটু বেশি করেই রান্না করবো সবার জন্য।
LikeLike
হা হা হা…। দাইফ ভাই, হুদা ভাইয়ের খাবার আমি দেখেছি! কি আর খাবে?
LikeLike
তেমন খাবার পেলে দেখিয়ে দিতে পারি খাওয়া কাহাকে বলে!! হু হু …
LikeLike
এ যে দেখছি হুংকার!
LikeLike
জানি, জানি ভাই দাইফ। দাইফ ভাই আমাদের ফেলে কিছুতেই খেতে পারবে না, পারেই না!! অনেক শুভ কামনা।
LikeLike
হা হা হা… আপনি তো আবার ভার্চুয়াল খাবার খান না! তার চেয়ে দাইফ ভাইকে নিয়ে আমরা খাই, আপনি দেখতে থাকুন।
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই। খাসির মাথা দেখে আসছি অনেক দিন ধরে! অনেক আগে একবার কিনেছিলাম এর পর কেন আর কিনি নাই তা আপনার কমেন্ট দেখে মনে পড়ল। দাড়ান খাসির মাথা আর বুটের ডালের একটা চমৎকার রেসিপি আছে, যা আপনার নামে দেয়া যেতে পারে! হা হা হা… আপনি খাসির মাথা আর বুটের ডালের রেসিপি চেয়েছেন এমন বললে আমার ব্যাটারী আর এক মুহুর্তও দেরী করতে চাইবেন না! সারা হেল্প করে দেবেন।
কাতলা কিন্তু কম বড় ছিল না – প্রায় ১১ কেজি ওজন (১০ কেজি ৯০০ গ্রাম)। মোটামুটি অনেক বন্ধুদের এই এক কাতলা দিয়েই ম্যানেজ করা যাবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
১২ কেজি ওজনের কাতলা একা সাবাড় করেছেন? রূপকথার রাক্ষসদেরও হার মানালেন দেখি!
খাসির মাথার রেসিপিতে আমার পেট ভরবে না। সামনে চাই, চাই আমি বাস্তবে – ভার্চুয়াল খানাপিনার প্রতি আমার কোন আকর্ষণ নেই।
LikeLike
হা হা হা… হুদা ভাই, কয়েক কেজি বিলানো হয়েছে। আমাদের বাড়ী ওয়ালা এবং জেষ্ঠস (বানান পারছি না)কে পাঠানো হয়েছে। একবার এক পিস ভাজি এবং পেটের কয়েক টুকরা আমি একাই রান্না করেছি। বাকী এখনো আছে।
এবার একটু মাছ বেশি কিনে ফেলেছি!
হবে, আশা হত হবার কারন নেই!
LikeLike
এত বড় মাছ দেখে খুশিই হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম সবাই মিলেমিশে খাওয়া যাবে। কিন্তু সাহাদাত ভাই দেখছি শুধু একজনের জন্য এই রেসিপি তৈরী করেছেন। আর দাইফ নিজেই খেয়ে ফেলবে দেইখেন। কাউকে দিবে না।
যাই হোক ভাইয়া, রেসিপি দেখে বোঝাই যাচ্ছে খাবার অনেক মজা হয়েছে। একদিন মুড়িঘন্ট র রেসিপিটাও পাবলিস করবেন আশা করি। আপনার রেসিপি নিয়েই নতুন নতুন আইটেম তৈরী করবার সাহস করছি ইদানিং।
LikeLike
সাহাদাত ভাই কি বলেছেন কোথাও যে এই পোস্ট শুধু আমিই পড়তে পারবো? X-(
আর রান্না করলে সবাইকে দিয়েই খাবো ইনশাল্লাহ।
LikeLike
হা হা হা, কি যে বলেন দাইফ ভাই!
LikeLike
তুমি যে ভোজন রসিক, তাতে এ সন্দেহ না করে কি উপায়?
তোমার হাতের কাতলা মাছের মুড়ো খাবার অপেক্ষায় রইলাম।
LikeLike
হা হা হা, আমি পুরা রেসিপি মানে মশলাপাতির একটা হিসাব দিয়ে দিব বলে ভাবছি!
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। হা, মাছটা বেশ বড়ই ছিল। প্রায় ১১ কেজি। মিলেমিশেই খাওয়া যাবে। মাথাটার আকার আসলে ছবিতে বেশী ফুটিয়ে উঠাতে পারি নাই। আমরা চার জন খেতে বসে শেষ করতে পারি নাই! পরের দিন দুপুরেও আমি কিছুটা খেয়ে শেষ করেছি।
মুডিঘন্টের রেসিপি রেকর্ড করা আছে। কিছু দিনের মধ্যেই দিয়ে দিব।
সব সময় একই আইটেমের রান্না না করে কিছুটা আলাদা করা দরকার। এতে শিশু সহ পরিবারের সবাই খুশি হবে এবং সবার মধ্যে আন্তরিকতাও বেড়ে যাবে কয়েকগুন। ধরা যাক এই রকম একটা মাথা রান্না করে যখন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে বসবেন, নিশ্চয় সবার নানা কথায় ভরে উঠবে খাবার টেবিল। এইজন্য আমি বলি, রান্নার অপর নাম ভালবাসা!
দোয়া থাকল। আশা করি নুতন নুতন রান্না করে সবার আরো আরো ভালবাসা পাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কি বলবো বুঝতে পারছিনা, শুধু এতটুকু বলবো এতো ভালবাসার যোগ্য আমি নই সাহাদাত ভাই।
আপনার এই ব্লগটি অনেক আপন লাগে বলেই এখানে পড়ে থাকি অনলাইনে আসলেই। তেমনটাই প্রিয় অনেক হুদা ভাই এবং রুমান ভাইয়ের ব্লগও। আপনার ব্লগে শুধু আপনার রেসিপিরই নয়, আপনার লেখার ভক্ত এমন কি আমি সবার মন্তব্যও পড়ি। বেশ ভাল লাগে। আর অবাককর ব্যাপার হলো, বড় মাছের মাথার যেকোনো রান্নাই আমার অনেক পছন্দের। আর এমনই একটি পোস্ট আমার জন্য লিখলেন যা কিনা মিলে গেলো পুরোই। কৃতজ্ঞতা বললে যে শুধু ছোটই করা হবে। ভালবাসা থাকবে সব সময়ই।
আর এই রেসিপিটা তো রান্না করবোই নিজে।
ভাতিজার ছবিটি অনেক চমৎকার লাগলো, দোয়া থাকবে অনেক।
আর শুভেচ্ছা রইল সব সময়ের জন্য প্রিয় সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই।
আমার আর কিছু বলার থাকে না। আপনার তুলনা আপনি নিজেই। আমার দোয়া থাকবে সব সময়। আপনি রান্না করেন জেনে আমি প্রায়ি আনন্দিত হই। সাধারন রান্নায় আমাদের ছেলেদের আরো এগিয়ে আসা দরকার বলে আমি মনে করি। যে ছেলে রান্না জানবে সে নিশ্চয় আরো ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে উঠবেই। এটা আমার বিশ্বাস।
নারীদের সাহায্য করা (আমি অবশ্য এটা বিশ্বাস করি না যে, রান্না শুধু নারীদের কাজ), তাদের কাঁধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবার নামই হচ্ছে সংসার। সংসারের সকল কাজ ভাগাভাগি করে নিতে পারলেই আমাদের সবার মঙ্গল।
আপনার ভাতিজাকে আমি রান্না শিখিয়ে দেব খুব তাড়াতাড়ি। শিখিয়ে দেব, কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে কি করে রান্না করতে হবে… হা হা হা… একটা মজার ব্যাপার বলি। ওকে আমি এখনো যখনই বলি, বিয়ে করবে? ওর উত্তর হয় ‘না’। আর বেশী চাপ দিলে কেঁদে ফেলে! বিয়ে না করলে তো রান্না জানা মাষ্ট! রান্নায় আগ্রহী আছে বিবাহে নেই! কি যে দুনিয়া!
আপনার জন্য শুভেচ্ছা। আশা করি সাথে থাকবেন।
LikeLike
আপনি তো খুব ইয়ে মানুষতো! এখনও আমার জন্য কোনো রেসিপি দিলেন না! খুব খারাপ কথা, খুব খারাপ কথা!!!
কেমন আছেন ভাইয়া? ঈদ কেমন কাটলো?
LikeLike
হা হা হা…। রেসিপি আপনার নামে! কি যে বলেন! বার বার রান্নাঘরে যেয়ে ফেরত আসেন আর আপনি চান রেসিপি! ভাবছেন আমি কিছু জানি না! আগে থালাবাসন ধোয়া শিখেন (থাক দরকার নাই, যা যা ভাল লাগে সে সেটাই করুক!)।
লিসা ভাবী আসলে আপনাকে বেশী বেশী দরদ দেখাছেন! অন্য কেহ হলে আপনার খবর করে ফেলতেন! হা হা হা।।
শুভেচ্ছা আপনাদের দুইজনের জন্য। আমরা চাচা হতে চাই।
LikeLike
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা—–
LikeLike
হা হা হা…। আপনার জন্য শুভেচ্ছা সব সময়।
LikeLike
ভাই, আপনার কারবারই আলাদা। আমি আপনার একজন রেসিপি ভক্ত। কমেন্ট করা না হলেও প্রায় দেখে যাই।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও সালাম থাকল।
LikeLike
ধন্যবাদ খালেদ ভাই।
আপনার কমেন্ট আমাকে আরো রেসিপি লিখতে অনুপ্রানিত করল। আশা করি সাথে থাকবেন। প্রিয় কোন খাবারের রেসিপি জানতে চাইলে লিখতে পারেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike