আমি নিশ্চিত লাউ রান্না আমাদের প্রায় পরিবারে মাসে দুই একবার হয়ই! নতুবা বাজারের এত লাউ কোথায় যায়! আমি নিজেও লাউ পেয়ারী! “সাধের লাউ, বানাইলো মোরে বৈরাগী”, এটা আমার ফেবারেট গান। আমি একটা গানই পুরা গাইতে এবং সাথে তবলা বাজাতে পারি আর সেটা হল এই গানটা (বহুবার প্রমান দিয়েছি, আর দিতে হবে না ভাবছি!)।
সে যাক, ছোট একটা লাউ ত্রিশ টাকায় কিনে ঘরে ফেরার আনন্দ অনেক এবং সে কাজটা আমি করি অফিস থেকে ফেরার পথে! চলুন আজ লাউয়ের সাধারন একটা রান্না দেখি। সাথে অবশ্য কয়েকটা চিংড়ী মাছ আছে। এর পূর্বে আপনাদের দেখিয়েছিলাম, টাকি মাছ দিয়ে লাউ রান্না। তো এবার হয়ে যাক, চিংড়ী মাছ দিয়ে লাউ রান্না! ফরমুলা সাধারণ!
লাউ কিনতে হুশিয়ার, বুড়া লাউ কিনে বাড়ী ফিরলে খবর আছে!
কড়াইতে সামান্য তেল নিন। তিন চামচ পেঁয়াজ কুচি, এক চামচ রসুন বাটা, সামান্য লবণ এবং হলুদ দিয়ে কষাতে থাকুন। কষানো হয়ে গেলে তাতে কয়েকটা চিংড়ী মাছ (বড় হলে টুকরা টুকরা করে দিতে পারেন) এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে আরো কষান। পুড়ে ফেলবেন না।
এবার লাউ দিয়ে দিন। আমি আবশ্য লাউ পানিতে হালকা সিদ্ব করে নিয়েছি। সিদ্ব না করলেও চলে, ডাইরেক্ট একশন। আমি সিদ্বটা করি সময় বাঁচাতে এবং আমার কাছে মনে হয় এতে লাউয়ের সফটনেসটা বজায় থাকে।
ভাল করে মিশিয়ে এককাপ পানি দিয়ে দিন।
মিনিট বিশেক ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আঁচ মিডিয়াম, কত ঝোল রাখবেন এটা আপনি নিজে সিদ্বান্ত নিন।
গায়ে গায়ে ঝোল হলে বা একটু বেশী হলে লাউ ভাল লাগে। আমরা এমন খেয়েই বড় হয়েছি। এবার ফাইন্যাল লবণ দেখুন। লাগলে দিন। (ধনিয়া পাতা থাকলে এই সময়ে দিলে আরো মজাদার হত, হাতের কাছে না থাকায় দেয়া যায় নাই।)
ব্যস হয়ে গেল চিংড়ী দিয়ে লাউ রান্না।
অপূর্ব। সাধের লাউ, বানাইলো মোরে বৈরাগী!
(আরে ব্যাটা একটা চিংড়ী মাত্র!)
বাজারে এখন লাউয়ের প্রাচুর্য! চিংড়িও পাওয়া যাচ্ছে মোটামুটি, দাম যদিও ধরা ছোয়ার বাইরে! ছোট চিংড়ি অল্প একটু কিনেও কাজ চালানো যায়। চিংড়ি-লাউ খেতেও বেশ ভালো।
ছবিতে মাত্র একটা চিংড়ি কিন্তু চিংড়ির মহার্ঘতার প্রমাণ! এই একটা চিংড়ি দেখতে হবে আর খেতে হবে লাউ, চিংড়ি থাকবে যেমন আছে তেমনই!
আমার প্রিয় একটা খাবার লাউ। গতকালও এই জিনিষ খেয়েছি, কচি লাউ আর ছোট চিংড়ি – তুলনাহীন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
হা হা হা…। আমি হাসতেই আছি! আপনার পছন্দের একটা খাবারের রেসিপি দিতে পারছি বলে!
তা খুলনায় বৃষ্টি কেমন? আমরা তো প্রায় ডুবে যাচ্ছি। গতকাল রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে আজো মেঘলা আকাশ চলছেন। মনে হয় – এখুনি নামবে!
ভাল ভাল খাবার খাচ্ছেন, বুঝতে পারছি…।।
নাতিদের নিয়ে দিন কাটুক আনন্দে।
LikeLike
আমার প্রিয় একটা ফল এই লাউ। খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
LikeLike
হা হা হা…। লাউ আসলেই মজার ফল!
LikeLike
অনেক বৃষ্টি এখানে। এগারোটার দিকে বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিয়েও আর যাওয়া হয়নি-একেবারে শাওনের ধারা ঝরে ঝরঝর!
বর্ষা কালের ইতি হবে অতি শীঘ্র, যাবার আগে তাই ঢেলে যাচ্ছে অবিরত।
তেমন ভালো কিছু খাচ্ছি না, তবে টাটকা খেতে পারছি। সব্জী, তরকারি আর মাছ – সবই একেবারে টাটকা। অনেক দিন পরে গতকাল গরুর মাংস খেলাম। ঢাকায় যা খাই, আমার মনে হয় সবই মহিষ!!
ভালো থাকুন।
LikeLike
আজ সকালের ঢাকা বেশ সুন্দর ও শান্ত। হালকা রোদ শহরে নেমেছে!
মহিষ না তো কি!
LikeLike
আজ চমৎকার রোদেলা দিন!
লাউ এনেছি কচি একটা পঁচিশ টাকা দিয়ে
চিংড়ি দিয়ে হচ্ছে রান্না, খাবো নাক ডুবিয়ে!!
LikeLike
ওয়াও! ওয়াও! রান্নাটা আপনি না আমাদের বোন করছিলো! নাকি বৌমা!
LikeLike
খুলনায় যে ক’দিন থাকি, বৌমা বা আপনার আপার রান্নাঘর নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না। আমাদের আছে শাহেদা, প্রায় বিশ বছর যাবত আমাদের সাথে আছে, সে-ই সব কিছু ম্যানেজ করে। আমার অবস্থা এমন হয়েছে যে, শাহেদার রান্না ছাড়া আর কারোর রান্নাই তেমন স্বাদের মনে হয় না।
লাউ হয়েছিল অপূর্ব! আর সব কিছু ছিল পড়ে, লাউ দিয়েই খাওয়া শেষ!! বিভিন্ন সাইজের টাটকা চিংড়িও পাওয়া যাচ্ছে এখন প্রচুর (দাম যদিও বেশি)! যেখানে যে সাইজ চলে তেমনই চালানো হচ্ছে অকাতরে!
LikeLike
হুদা ভাই, আপনার কথা শুনে হাসছি। আসলে আমাদের ঘরে ঘরে এমন শাহেদা আছেই। আমাদের আছে ‘সুফিয়া’, ও একদিন না এলে আমার ব্যাটারী মনে হয় মারা পড়বেন! আমার ব্যাটারী ওকে এতই পছন্দ করেন যে, বাসার চাবিও তাকে দিয়ে দেয়, মার্কেটে নিয়ে যায়। আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ওর কাছে থাকে।
গতকাল এই বিষয়ে ভাবছিলাম।
LikeLike
আহ! লাউ আর চিংড়ী, অপূর্ব স্বাদের এক খাবার। গরম ভাত, লাউ-চিংড়ী, হাতে কাঁচা মরিচ, এর চেয়ে মজার খাবার আর কি হতে পারে। আর লাউ ডালও আমার অনেক পছন্দের। আর সাথে একটু ধনে পাতা বা পুঁদিনা পাতা ভর্তা।
দারুন পোস্ট দিয়েছেন সাহাদাত ভাই। ধন্যবাদ রইল।
LikeLike
দাইফ ভাই, আমার আম্মা ডাল দিয়ে লাউ রান্না করতেন, আপনার কমেন্ট পড়ে আমার সেদিনের কথা মনে পড়ে গেল। এবার তিনি প্রবাস থেকে ফিরে এলে এই সব রান্না শিখে নিব। আমি রেসিপি জানার খাবার গুলোর লিস্ট লিখে রাখছি। ডাল দিয়ে লাউ লিখে রাখলাম।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এই খাবারটা অত্যন্ত পছন্দের, গরমের দিনে এই চিংড়ি-লাউয়ের অপূর্ব জুটির কোনো তুলনা নাই! আর শীতকালে হলে, এতে একটু ধনেপাতা, আহ!
LikeLike
রান্না প্রিয় রনি ভাই, ধন্যবাদ। আপনি যাথার্থ বলেছেন। গরমের দিনে অনেকে লাউ খেতে চান। আসলে কি লাউ শরীর ঠাণ্ডা করে? হা হা হা…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
লাউয়ের নতুন রেসিপি শিখলাম।
কাঁচা মরিচ দিয়ে লাউ চিংড়ি ও অনেক মজা হয়।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। কাঁচা মরিচ দিয়ে লাউ চিংড়ী কল্পনায় ভেসে যাচ্ছে আমার এখুনি! রোজার দিনে কত কি যে আপনারা বলেন! জিবে তো জল এসে গেল,…।।
LikeLike
আমি তো কাজ বাদ দিয়ে আপনার ব্লগে বসে আছি ভাইয়া। কি কি রেসিপি নেয়া যায়, তাই ভাবছি।
আগামীকাল সকালে হাটে গিয়ে লাউ খুজব ভাবছি। সাথে চিংড়ি।
LikeLike
ডিমের চপ্টা বেশ হয়েছিল – এর পর লাউ ছিংরি ট্রাই নিতে হচ্ছে।
LikeLike
হা হা হা… আশা করি বেশ ভাল হবে। শুধু চিংড়ী ফ্রাই এবং চিল্ড… নিয়ে বসতে পারেন। আজকে এমন একটা রেসিপি দেয়া হয়েছে, যদিও তা সোনামনিদের জন্য। কিন্তু …। হা হা হা।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এখঙ্কার সিজনের লাউ এ মজা নাই । আম্মা রান্না করেন ছোট চিংড়ী দিয়ে লাউ ভাজি । সত্যি অনেক মজার । আর এখন তো বড় চিংড়ী মাছ বাজারে পাওাই যায় না ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
কিছুদিন আগে একটা লাউ কিনেছিলাম। খেতে ভাল লাগে নাই। লায় শীত কালেই ভাল হয়।
আগামী শীতে লাউ দিয়ে বেশ কিছু আইটেম দেখিয়ে দেব। বিশেষ করে, লাউ এবং শিং মাছ দিয়ে একটা তরকারী এখনি মাথায় ঘুরছে, সাথে থাকবে নুতন ধনিয়া পাতার কুঁচি!
আপনার আম্মাকে আমাদের সালাম দেবেন।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ সহজ লাউ রান্না শিক্ষা! | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না) / Udraji's Kitchen (Story and Recipe)
আমিও লাউ খুব ভালবাসি।আপনার মতো।কিনতু বাইরে। দেশের মতু ষাদ পাইনা।তার পরেও মাসে দু এক বানাই
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ এরশাদ ভাই। আমাদের রান্না চলুক।
LikeLike
আপনার রান্না অসাধারণ। সাধারণ হাতের কাছের জিনিস দিয়েই অসাধারণ রান্না! আর খুবই সহজ রান্নার প্রক্রিয়া আর সাবলীল প্রকাশভঙ্গী। অন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করি আপনার জন্য।
LikeLike
আপনার রান্না অসাধারণ। হাতের কাছের সাধারণ জিনিস দিয়েই অসাধারণ রান্না। সহজ রান্নার প্রক্রিয়া আর সাবলীল তার প্রকাশভঙ্গী। ধন্যবাদ ভাই। দোয়া রইল আপনার জন্য।
LikeLike