যাহা পায়েস তাহাই ক্ষীর। তবে ক্ষীর কখনো পায়েস নয়! কথাটা কেমন যেন কানে লাগে। আসলে পায়েস এবং ক্ষীরে কি তফাৎ! আমার তেমন মনে হয় না, আসলে দুটোই একই জিনিষ একটা রান্নায় সরু চাল দিয়ে করা হয় অন্যটায় চালের গুড়া বা ভাঙ্গা। এইই, বাকী প্রণালী সব একই রকম।
আজকাল বাজারে রেডিমেট প্যাকেটে অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে, এটা আশার কথা। মন চাইলে দোকান থেকে কিনে আমরা সহজে এমন রান্না করে খেতে পারি। এই রকম রান্নায় রান্নাকারীর তেমন কৃতিত্ত নেই তবে যে কোন রান্না রান্নাই। যে কোন খাবার খাবারই।
আমি মাঝে মাঝে এমন খাবারের প্যাকেট কিনে নেই, চোখে পড়লে। কারন মন চাইলে কি আর করা। শহরে আমরা যে জীবন যাপন করি, তাতে ইচ্ছা থাকলেও সব কিছু করে ফেলা চলে না! চলুন আজ রেডিমেট ক্ষীর বানানো দেখি।
রেসিপি পরিমাণঃ
– এক লিটার তরল দুধ
– এক প্যাকেট রেডিমেট ক্ষীর মিক্স
– কয়েকটা কিসমিস
প্রস্তুত প্রণালীঃ
বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির এমন ধরনের ক্ষীরের প্যাকেট পাওয়া যায়।
ভাল করে তরল দুধ জ্বাল দিয়ে নিন এবং প্যাকেটের ক্ষীর মিক্স ঢেলে দিন।
প্যাকেটের ক্ষীরে চিনি থেকে সব কিছু দেয়া থাকে।
আগুনের তাপ চলবে, সাথে নাড়াতে হবে সারাক্ষণ।
অন্যথায় ক্ষীর দলা দলা হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে পাতিলের তলায়ও লেগে যেতে পারে/ পুড়ে যেতে পারে।
ব্যস হয়ে গেল ক্ষীর। কেমন খাবেন ঠাণ্ডা না গরম গরম।
কয়েকটা কিসমিস ছড়িয়ে দিতে পারেন।
অন্য একটা ঢাকনা দিয়ে আমি এটা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম, ইফতারের পর ঠাণ্ডা ক্ষীর খেতে ভাল লেগেছিল।
রান্নায় সাহস এবং হাত পাকানোর জন্য এমন ছোট ছোট রেডি রান্না করা উচিত। এতে রান্নার নানান দিক গুলো চোখের সামনে চলে আসে। বুটের হালুয়া তৈরীতে আগুনের তাপে অগ্নেয়গিরির মত যে বাবল উঠে তা আমার জানা ছিল না। চোখে চশমা এবং সারা শরীর ঢেকে কড়াইয়ের কাছে দাঁড়িয়ে যে কসরত করতে হয়, তা না দেখলে বিশ্বাস করা মুস্কিল।
যে কোন তরল তাপে গাঢ় হয় এবং এক পর্যায়ে বড় বড় বাবল ফুটে উঠে, যা শরীরে লাগলেই চামড়া পুড়ে যাবে। চোখে লাগলে চোখ নষ্ট হয়ে যাবে তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্কতা নেয়া উচিত।
রান্না একটা শিল্প। এই শিল্পের শিল্পীদের তাই আমাদের আরো সন্মান করা উচিত, কারন তারা রান্নাঘরে আমাদের জন্য বলতে গেলে জানবাজি রেখে কাজ করেন। একটু ভেবে দেখুন……।
যাহা পায়েস তাহাই ক্ষীর।
এই কথাটা মনে হয় ঠিক নয়। পায়েস কখনোই ক্ষীর নয়, ক্ষীর নয় পায়েস। ক্ষীর মিক্স দিয়ে যে ক্ষীর রান্না করা যায়, তাও প্রকৃত ক্ষীর নয়। ক্ষীর হচ্ছে দুধ, শুধুই দুধ জ্বাল দিয়ে পায়েসের মত ঘন করে ফেলা সুস্বাদু স্বর্গীয় অমৃতের মত বস্তুটি!
তবে দুধের যে আকাল, দুধের যে দাম, দুধের দিকে হাত বাড়াতে গেলেই বিপদ ঘনিয়ে আসে। তাই ক্ষীর মিক্স দিয়ে ক্ষীর রান্না করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো ছাড়া উপায় নেই।
আর যে কোন মিষ্টি, ক্ষীর, অথবা পায়েস বা এ জাতীয় খাবার গরমের চেয়ে ঠাণ্ডা খেতেই বেশী মজা পাই।
রেসিপির সংখ্যা কত হলো? হাজার পুরতে আর কত বাকী?? হাজারী রেসিপি কিন্তু হাতে-কলমে ছাড়া চলবে না।
LikeLike
হা হা হা… পায়েসের একটা রেসিপি রেডি করছি। একদম নিজ হাতে বানানো।
আপনার অভিজ্ঞতার কাছে হার মানি…। আমরা ছোট বেলায় যে ক্ষীর খেয়েছি এটা সেই রকম হয় নাই।
ভাল ক্ষীর বানাতে খাঁটি দুধ, পেস্তা, কাজু বাদাম সহ নানান জিনিষ লাগে… এই সবের মূল্য আমাদের নাগালের বাইরে! খেতে বা রান্না করতে চাইলেও পিছিয়ে যাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
হুদা ভাইএর কথা সঠিক।
একটা রান্নায় সরু চাল দিয়ে করা হয় অন্যটায় চালের গুড়া বা ভাঙ্গা।
পায়েসের চাল আস্ত থাকে, আর ফিরনীর চাল আধভাঙ্গা হয়।
এককালে বাঙ্গালীরা ক্ষীর খেয়েছে। এখন পায়েস খেয়েই মনে করে ক্ষীর খাচ্ছে। কি আর করা!
LikeLike
হা হা হা…।।
এবার দেখি আসল ক্ষীর খেতে হবে।
LikeLike
এই রেসিপিটা অনেকে ঈদের আইটেম হিসেবে রাখে। তবে খেতে দারুণ!
LikeLike
রুমান ভাই, এই ধরনের আইটেম সব সময়েই খাওয়া যেতে পারে। বাসায় শিশু থাকলে এটা মাঝে মাঝেই করা যেতে পারে। আবার শিশুরা মাঝে মাঝে নিজেরাও আবদার করে বসতে পারে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
সুন্দর লাগলো। কিন্তু, ক্ষীর মিক্স এর রেসিপি দিলেন যে হঠাৎ? সরাসরি রান্নার রেসিপিটা কবে দিচ্ছেন?
ধন্যবাদ রইল সাহাদাত ভাই।
LikeLike
হা হা হা…। দাইফ ভাই, মাঝে মাঝে রেডিমেট হলে মন্দ কি। পায়েসের একটা রেসিপি করে দেখাবো। প্রিয় রেসিপি লেখক সিদ্দীকা কবিরের বই থেকে দেখছি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এমনিতেই আজকে রোজা ধরছে। এখন বাজে দূপুর বারোটা। পোষ্ট দিলেন ক্ষীর এর রেসিপি, তাও আবার ফটু সমেত। খুব খারাপ অবস্থা। বগুড়ায় একটা মিষ্টি পাওয়া যায়, নাম সম্ভবত “ক্ষীরসা”। পুরাটাই ছানা আর চিনি দিয়ে করা। হুদা ভাই কি ঐটার কথা বলছিলেন। ঐটা খেয়ে পুরা একদিন আমার মাথা ঘুরছে। এত মিষ্টি!
LikeLike
হা হা হা…। আসলে দুনিয়াটা একটা অভিজ্ঞতার জায়গা। হুদা ভাইয়ের অভিজ্ঞতাকে আমি সালাম জানাই।
কেমন আছেন সাদা কালো ভাই? রোজার পর একদিন বেইলী রোডে আড্ডা দিতে আসুন।
বেশি মিষ্টি খেলে কি মাথা ঘুরায়? সাথে ডাক্তার থাকতে আমাদের চিন্তা কি!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
উদারজী ভাই, আছি ভাল। ইনশাল্লাহ রোজার পর আড্ডা হবে। আপনি যে বেইলি রোডে বার বছর ধরে বরশি বাইছেন তা জেনে অবাক হয়েছিলাম। মাছ ভাজার রেসিপি হলে ভাল হয়। “ক্ষীরসা” মিষ্টির মত না বরং দই এর মত এবং ভীষণ মিষ্টি। ডাক্তার সাথে থাকলে চিন্তা নাই। ঠিক বলেছেন 🙂
ভাল থাকবেন।
LikeLike
khub valo post
LikeLiked by 1 person