বাংলাদেশে অনেকে হাঁসের মাংস খেতে চান না। অনেকে মনে করেন, হাঁস একটা পাখি এবং পাখীর মাংস খাওয়া চলে না। তবে পৃথিবীর নানা দেশে হাঁসের মাংস বেশ আরামে খাওয়া হয় এবং গোটা হাঁসের কাবাব একটা জনপ্রিয় ও পরিচিত খাদ্য।
হাঁসের মাংসে হাড্ডির পরিমাণ বেশী এবং এবং হালকা একটা গন্ধ লাগার কারনে আমিও তেমন একটা পছন্দ করি যে তা নয়! সব সময়েই দূরে থাকার একটা চেষ্টা আছে। এদিকে সিলেটে জন্ম বলে ছোট বেলায় অনেক বড় রাজ হাঁসের মাংস খেয়েছি! আমার জানামতে বাংলাদেশে সব চেয়ে বেশী হাঁসের মাংস (রাজ হাঁস সহ) খাওয়া হয়, সিলেটে! কথাটা সত্য না মিথ্যা তা প্রমানের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
যাই হোক, কাজের কথায় আসি। আমার স্ত্রী আখাউড়ায় ফোন দিলেই হাঁসের কথা বলেন। এই নিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা হাঁসের মাংস খেলাম শ্বশুর বাড়ির কল্যাণে। গত সাপ্তাহেও দুটো হাঁস পাঠিয়েছেন তারা। একটা নরমাল ঝাল করে রান্না হয়েছে, অন্যটা কাবাব। আজ আপনাদের নরমাল রান্নাটা দেখিয়ে দেই। গোটা হাঁসের কাবাব আর একদিন দেখানো যাবে…।
রেসিপি পরিমাণঃ (পরিমাণ অনুমান করে দেয়া হয়েছে, সামান্য এদিক ওদিকে কি আসে যায়)
– একটা হাঁস (যদি ভাল করে না লোম বাচতে পারেন তবে চামড়া ফেলে দিতে পারেন)
– এক কাপ পেঁয়াজ বাটা
– দুই চামচ আদা বাটা
– দুই চামচ রসুন বাটা
– ঝাল বুঝে লাল গুড়া মরিচ (হাঁসের সাধারন রান্নায় ঝাল একটু না হলে কি চলে)
– এক চামচ হলুদ
– গরম মশলা; চার/পাঁচটে এলাচি, কয়েক টুকরা দারুচিনি
– এক চামচ জিরা
– এক চামচ সাদা সরিষা বাটা
– এক চামচ জয়ত্রী
– একটা জয়ফলের ১০ ভাগের একভাগ (একটা বড় জয়ফল প্রায় ১০ কেজিতে ব্যবহার করা হয়)
– তিন চামচ টমেটো সস
– ২ চামচ ভিনেগার
– এক চামচ চিনি
– পরিমাণ মত লবণ
– পরিমাণ মত তেল/ পানি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
হাঁসের লোম পরিষ্কার করা একটা শক্ত কাজ।
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সব হলুদ ও মরিচ ছাড়া বাকী সব মশলা পাতি (উপরের সব ইনগ্রেডিয়্যান্স) দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
মরিচ ও হলুদ দিন এবং আবারো সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এই ঝোল যত উত্তম হবে রান্না ততই স্বাদের হবে।
হাঁসের মাংস দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
কিছু পানি (গরম হলে ভাল) দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে নিন এবং ঢাকনা দিয়ে মিনিট বিশেক জ্বাল দিতে থাকুন।
মাংস নরম হল কিনা দেখে নিন এবং ফাইন্যাল লবণ চেক করুন, লাগলে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিতে পারেন, যদি থাকে। আমাদের সে দিন হাতে ছিল না!
ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনার উপর নির্ভর করছে।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। গরম ভাত কিংবা পোলাউ এর সাথে বেশ জমবে।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন ও আখাউড়া বাসী
(আগামীতে পুরা হাঁসের কাবাব বানানো দেখাবো, আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম। রেসিপিটা বেশ জমজমাট করে সংগ্রহ করা হয়েছে।)
ওহ জিভে পানি চলে আসলো! শীতকালে ঝাল হাঁসের মাংস দিয়ে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত, কোনো তুলনাই হয় না। এদেশে হাঁসের খুব দাম, ইচ্ছা থাকলেও কিনে খাওয়া হয় নি। এখানে শখ করে হাঁসের আস্ত রোস্ট করে অনেকে, আর সেটা থেকে যে তেল পাত্রে জমা হয়, সেটার খুব কদর। হাঁসের তেল দিয়ে আলু ভাজি করে খেতে নাকি অমৃত! আমি খাইনি অবশ্য।
আপনার হাঁসের কাবাব রেসিপির অপেক্ষায় থাকলাম!
LikeLike
রনি ভাই, এবার আমার শ্বশুর আব্বা দুটো হাঁস পাঠিয়েছিলেন। হাঁস গুলো বেশ রিষ্ট পুষ্ট ছিল!
আমি প্রবাসে প্রায় সাড়ে নয় বছর ছিলাম। হা, হাঁসের দাম খুব বেশি তা দেখেছি। হা হা হা… বোষ্টের তেলের কথা শুনে হাসছি…। এই তেলে আবার আলু ভাজি… হা হা হা… কত কি আছে এই দুনিয়ায়।
হাঁসের কাবাবের রেসিপিটা আপনার জন্যই পরিবেশন করা হবে। সত্যি বলতে কি, এত মজাদার হয়েছিল যে, আমি আর আমার ছেলেই বলতে গেলে পুরা শেষ করে ফেলেছি… সামান্য ভাগে পড়েছিল আমার ব্যাটারীর! তিনি আমাদের হাঁস খাওয়া দেখে বলছেন আবারো আনাবেন!
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
রনি ভাই, এখানে হাঁসের কাবাবের রেসিপিটা দেয়া হয়েছে।
আশা করি দেখে আসবেন।
LikeLike
হাঁসের মাংস আর খিঁচুড়ী, এক কথায় অসাধারণ!
আর রন্ধনপ্রণালী ঠিকমত জানলে হাঁসের রান্নাতে গন্ধ একেবারেই আসবেনা। চমৎকার একটি রেসিপি দিয়েছেন সাহাদাত ভাই। হাঁসের মাংসটা কখনও নিজে রান্না করিনি, এবার করা হবে আশাকরি। আর হাঁসের কাবাবের রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।
“কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন ও আখাউড়া বাসী”
হা হা হা, বেশ মজা পেলাম!
পুরো আখাউড়াবাসীদের প্রতিই কৃতজ্ঞতা বোধ!
LikeLike
দাইফ ভাই, আমি অনেক অনেক বার হাঁসের মাংস খেয়েছি। আমার কাছে এখন ভালই লাগে। হালকা একটু ঘ্রাণ থাকে মশলা পাতি একটু বাড়িয়ে দিলে তা আর থাকে না…
আমরা শ্রীমঙ্গলে থাকতে বেশ কিছু রাজ হাঁসের মাংস খেয়েছি যা এখনো ভুলতে পারি না। সিলেটের লোকেরা হাঁস বেশী খায় এটাতে আপনি একমত কি না তা জানালেন না!
আখাউড়ায় বিবাহ না করলে অনেক কিছুই জানতাম না! হা হা হা…
কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দিব। আশা করি সাথে থাকবেন।
LikeLike
হা একমত, সিলেটবাসীরা হাঁসের মাংস অনেক পছন্দ করে। আমার এক বন্ধু ছিলো সিলেটী, আমাদের সবার বাসায় যেমন প্রতিনিয়ত মোরগ-মুরগী রান্না হয়, তেমন ওদের বাসাতে প্রতিদিনই হাঁসের মাংস রান্না হতো। আর গরুর মাংস রাঁধলেই তাতে সাতকড়া দিতো।
LikeLike
হা হা হা…। আসলে এটা ছোট বেলা থেকেই শিখে আসা ঘটনা। আমি জানি এ কারনে যে, আমি আমার ছোট বেলা শ্রীমঙ্গলেই কাটিয়েছি। কত হাঁস খেয়েছি…
আমি সাতকড়া অনেক পছন্দ করি। শুধু সাতকড়া (যত তিতা হউক না কেন) ভেজে সবজির মত খেতে পারব।
রাজহাঁসের মাংস আরো চমৎকার।
LikeLike
হাঁসের মাংস নাকি বেশ সুস্বাদু?
LikeLike
এটা কি বললেন রুমান ভাই?
সাহাদাত ভাইয়ের রেসিপি দেখে নিজেই রেঁধে আমাদের শীঘ্রই জানান।
LikeLike
হাহাহাহা। কিন্তু দাইফ ভাই, হাঁস পাবো কোথায়? 😛
LikeLike
হা হা হা… আসলেই! (বিবাহের আগে কেহ কিছু পায় না!)
LikeLike
😛 😛
LikeLike
কি বলে? চট্টগ্রামে হাঁস পাওয়া যায়না?
LikeLike
সেই ছোট বেলায় হাঁস দেখছিলাম, এরপর হাঁস বাবুর দেখা পাইনি আর।
LikeLike
আধ্যাত্বিক উত্তর দেখছি! হা হা হা।।
LikeLike
হাহাহা…
LikeLike
হা হা হা…।
LikeLike
রুমান ভাই, আমি হোটেলের নাম বলতে পারব না তবে আমি চট্রগ্রাম থাকতে দেখেছি, নিউ মার্কেটের পাশে একটা হোটেলে হাঁসের কাবার বিক্রি করত, এখন করে কি না জানি না…।
একবার যেয়ে দেখে খেয়ে আসতে পারেন…
LikeLike
এই রমজানের মাসেতো যেতে পারবোনা, একেবারে ঈদের পর যাওয়া হবে আর কী। 🙂
LikeLike
ব্যাচেলরদের মজাই আলাদা!
LikeLike
ঠিক, ব্যাচেলর জীবনের মজাই আলাদা। 😀
LikeLike
শীতের হাঁসে স্বাদ বেশী! পরিস্কার করতে না পারলে চামড়া ফেলে দেবার পরামর্শ পছন্দ হলো না!! হাঁসের চামড়া ফেলে দিলে অর্ধেকটাই তো ফেলে দেওয়া হয়!!! একটু কষ্ট করে চামড়াটা পরিস্কার করে নেওয়াই ভালো।
হাঁস পাখী? কেন মুরগী কি পাখী নয়? যারা বলে হাঁস পাখী, তাই খাওয়া যাবে না, তারা তো পাখীই চেনে না!! পরিযায়ী পাখী খেয়ে শেষ করে ফেলছ লোকজনে, আর হাঁস পাখী বলে খাওয়া যাবে না? অদ্ভুত যুক্তি!!
রান্না ভালো হয়েছে। শীতকালে শীতের পিঠার সাথে (বিশেষ করে গরম চিতই পিঠা) হাঁসের ঝোল ঝাল মাংস কিন্তু বেশ জমে।
আস্ত রোস্ট তিনজনে খেয়ে ফেললেন? রূপকথার রাক্ষস তো দেখি বাস্তবেও বিরাজ করছে!!
নারকেল দুধ দিয়ে ডিম আমড়া রান্না হয়েছে আজ। শব্দনীড়ে ছবিসহ পোষ্ট দেখবেন। এখানে ছবি দেয় কেমন করে?
LikeLike
চিতই পিঠা আর হাঁসের মাংসের কথা বলে তো জিভে জল এনে দিলেন হুদা ভাই। ভাগ্য ভাল এখন রাত মানে রোযার সময় নয়,হা হা হা।
আর নারকেল দুধ দিয়ে ডিম আমড়া রান্নার রেসিপির ছবি দেখলাম। জলদি রেসিপিটা চাই।
LikeLike
রেসিপিঃ নারকেল দুধে আমড়া দিয়ে ডিমের কারী http://www.shobdoneer.com/lubna-rahman/31517
LikeLike
(বোন লুবনা রান্না বান্নায় বেশ ওস্তাদ। আপনি রান্না করেই ফেলেছেন দেখে খুশি হলাম।)
হা হা হা…।।
এই না হচ্ছে আমাদের হুদা ভাই! ফাটাফাটি…।
১০ টা আমড়া আর ৬ টা ডিম। আমি কিন্তু গুনে ফেলছি…।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার রান্না হয়েছে। সুরঞ্জনা আপা থাকলে আর একটু বিশদ বলতে পারতেন…।
১। ডিম ছিলে কি হালকা ভেজে নেয়া হয়েছে? দেখে মনে হয় তা করা হয় নাই।
২। তেল একটু বেশি লাগছে…। হাড়িতে আরো তেল রেখে দিয়ে আসছেন! হা হা হা।।
৩। এটা কি গরম ভাত না পোলাউ এর সাথে খাওয়া হবে তা বলেন নাই!
ভাবীকে সালাম। আপনাকে রান্নাঘরে সহ্য করার জন্য! দুই দিনের দুনিয়া, আমাদের খেয়েই যেতে হবে!
ইফতারে ভাজাভুজা ছাড়ুন।
LikeLike
১. ডিম ছিলে কি হালকা ভেজে নেয়া হয়েছে? দেখে মনে হয় তা করা হয় নাই। > ভেজে নেওয়া হয়েছে, তবে পোড়া পোড়া হলে আমার তেমন ভালো লাগে না, তাই একেবারেই হালকা ভাজি!
২. তেল একটু বেশি লাগছে। হাড়িতে আরো তেল রেখে দিয়ে আসছেন! হা হা হা।। > নরকেল দিলে এমন তেল হবেই। না, হাড়িতে রেখে আসা হয় নি।
৩. এটা কি গরম ভাত না পোলাউ এর সাথে খাওয়া হবে তা বলেন নাই! > গরম ভাত বা পোলাউ, দুইয়ের সাথেই চলে এটা।
LikeLike
হা হা হা……
নারিকেলের কয়েকটা রান্না এবার আমিও করব।
LikeLike
অসংখ্য ধন্যবাদ হুদা ভাই।
LikeLike
দাইফ ভাই, হুদা ভাইয়ের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। মন যা চায় তাই করতে পারেন! হা হা হা…
হুদা ভাই নিজেও ভাল রান্না করতে পারেন। যা আমি বেশ পছন্দ করি। ছেলেরা রান্না করতে পারে জানলে খুশিতে মন ভরে যায়।
খুলনা চলেন একদিন হুদা ভাইয়ের হাতের রং চা খেয়ে আসি…
LikeLike
হুদা ভাইয়ের মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায় আপনার মতো হুদা ভাইও রান্নাবান্না অনেক ভালবাসেন। আর চা-কফিতে কোনো বাঁধ মানেনা আমার, চলুন একদিন রং চা খেয়ে আসবো।
LikeLike
দাইফ ভাই, হুদা ভাইয়ের আর একটা সেরা গুন তিনি আড্ডাবাজ। আমার মতই। শুধু আড্ডাবাজ না, কথা কৌতুক বলে আড্ডা জমিয়েও দিতে পারেন।
একবার আড্ডা হবেই।
LikeLike
হা হা হা… সরি… আমিও হাঁসের চামড়া রাখার পক্ষে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
আমাদের অফিসেই কয়েকজন এমন ধারনা পোষণ করে, যা ভুল।
শব্দনীড়ে আপনার খাবারের ছবি দেখে আমি শুধু ডিম আর আমড়া গুনছিলাম! মুখে কিন্তু জল আসে নাই……। হা হা হা।।
চমৎকার। আসলে এটাকেই বলে উদ্যোগ। দুনিয়ার কোন উদ্যোগ বৃথা যায় না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
গন্ধের কারণে আরো অনেক কিছুর মতো হাঁস খেতে পারি না। বাসায় যেদিন হাঁস রান্না হয়, আমার জন্য মুরগী।
তারপরও আপনার রান্নায় চোখ বুলাতে কষ্ট হয় নাই। বরাবরের মতো দারুন পোষ্ট। ভাবছি কোন একদিন আপনার ডাইনিং টেবিলে হামলা চালাবো। আশা করছি সেদিন হাঁস থাকবে না। শুভ কামনা।
LikeLike
হা হা হা… এক দুইবার খেলে দেখবেন এই ঘ্রাণই সয়ে যাবে… তবে গরম মশলাপাতি একটু বাড়িয়ে দিলে কোথায় কি চলে যাবে…।
ধন্যবাদ। আপনাকে সদর আমন্ত্রণ।
LikeLike
সিলেটের মানুষ হাস বেশী খায় নয়, এক কালে খেতো।
শীতকালে হাঁস আর বাঁশ দিয়ে ঝাল করে মাখা মাখা তরকারী সিলেটের ঐতিহ্য ছিলো। কচি বাঁশের অঙ্কুরকে মাটির হাড়ি দিয়ে ঢেকে রাখতো। সেটা বাধাকপির মতো গোল হয়ে যখন হাড়িটা ফেটে যেতো, তখন সেটা কেটে কুচিকুচি করে হাসের মাংস দিয়ে, চিংড়ী শুটকি দিয়ে রান্না করা হতো।
হাঁসের গোস্তে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু কুম্ভকর্ন খান না। আর হুদা ভাইএর সঙ্গে একমত। হাঁসের চামড়া ফেলে দিলে তো সব মজাই শেষ।
আমড়া দিয়ে ডিম? ডিমের টক? শুনিনি কখনো!
LikeLike
হাঁস আর বাঁশ! সাথে চিংড়ী শুঁটকী! ওয়াও…। একদম পাহাড়ি খাবার… হা হা হা।। সিলেট তো পাহাড়ে ভরপুর…
কুম্ভকর্ন ভাই এক্সেপশন্যাল…। মানি না মানবো না…
হুদা ভাই আমড়া দিয়ে ডিম রান্না করেই ছাড়লেন…
(গত কয়েকদিন হুদা ভাই আমাদের এখানে আসছেন কিন্তু দুভাগ্য ক্রমে দেখা হচ্ছে না। আগামী কাল দেখা হবে বলে আশা করছি।)
LikeLike
সুরঞ্জনা আপা, সিলেটের এই ঐতিহ্যটা জানা ছিলনা—-বাঁশকে হাঁড়িতে দিয়ে ফুল বানানো হয় জানতাম, তবে এটার সাথে শুটকি আর হাঁসের কম্বিনেশনটা হয় জানতামনা। ধন্যবাদ।
LikeLike
রনি ভাই, আপনি বাঁশের এই সবজি (সবজি বলা যাবে তো) র নাম আবারো তুলে পুরাই দিশেহারা করে দিলেন। কোথায় এই খাবার পাই…। নিশ্চয় রাঙ্গামাটিতে পাওয়া যাবে…।
LikeLike
ইংরেজীতে বেম্বু রুটস বল্লেও সিলেটে এটাকে বলে বাঁশের কোড়ল।
সব্জীওয়ালারা নিয়ে আসে বর্ষার আগে। আমি একদিন ছোট চিংড়ী দিয়ে রান্না করেছিলাম। কেন যেন তেমন ভালো লাগেনি। অনেকটা কলাগাছের ভিতরের সাদা অংশ আনাজের মতই কচ কচ করেছিলো। হয়তো আমার অনভ্যাসের জিভ এটার স্বাদ নিতে পারেনি। :p
LikeLike
কচি বাঁশ – বাঁশের কোড়া! আমাদের অঞ্চলে এই জিনিষ খাওয়ার চল নেই, তবে শুনেছি এমন খাবারের কথা। খুব দামী তরকারি, ব্যাঙ্ককে খেয়েছিলাম, তেমন ভালো লাগেনি খেতে!
LikeLike
কচি বাঁশের কথা শুনে আসছি অনেকদিন। ব্যাংককে অনেক দিন ছিলাম, খেয়েছি কিনা মনে পড়ে না, খেলেও খেতে পারি…
এবার এই সবজীটা যোগাড় করতে হবে…
LikeLike
বেম্বু রুটস দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে হবে…।।
(হা হা হা……।)
LikeLike
হাঁসের মাংসটা রান্না করা হয়নি কোনদিন। এবার সাহস করে রেঁধেই ফেলব ভাবছি।
আপনার ব্লগে বেশ আসা হত সাহাদাত ভাই। নিজস্ব ব্লগ না থাকায় কমেন্ট করা হত না।
LikeLike
ধন্যবাদ ফারহিন ভাই (আপনার নাম দেখে আমি কনফিউন্সড)।
আপনাকে শুভেচ্ছা। আপনার ব্লগ দেখে এলাম। বেশ সুন্দর হয়েছে।
স্বাগতম। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
LikeLike
হাহাহাহা…
আমি আপনার রান্নার মহা ফ্যান। নিজে তো তেমন কিছু পারি না। তাই কাউকে ভাল রাঁধতে দেখলে খুব ভাল লাগে।
ইনশাআল্লাহ আপনাদের কাছে থেকে কিছু শেখা হয়ে উঠবে।
LikeLike
ধন্যবাদ ফারহিন ভায়া, আপনার রান্নার প্রতি আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। আসলেই ভাল রান্না জানা একটা বিশেষ গুন। এটা একটা চমৎকার শিল্প।
আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ হাঁসের গ্রিল কাবাব (প্রিয় বন্ধু আদনান রনি ভাইকে) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ হাঁসের গ্রিল কাবাব (প্রিয় বন্ধু আদনান রনি ভাইকে) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ হাঁসের গ্রিল কাবাব (প্রিয় বন্ধু আদনান রনি ভাইকে) | OntoreBangladesh
হাঁসের মাংস খুবই কম খাওয়া হয়েছে। সংসার শুরু করার পর একবার রান্না করলাম। হাঁসের চামড়া হলো আসল জিনিস। আমাদের ফেনীতে শীতকালে হাঁসের ঝোল দিয়ে চালের গুড়ার খোলা পিঠা খাওয়া হতো। যা দারুণ!
শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বাসায় হাঁসের মাংস ভাজা খেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে হাঁসের মাংসের ঘন ঝোলটাই বেস্ট।
যারা তরকারিতে নারকেল খান, তারা হাঁস নারকেল আর কাঁচামরিচ দিয়ে রান্না করেন বলে শুনেছি।
এবার শীতেও হাঁস খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু বাজারে তো বেছে দেয় না। পালক পরিস্কার করার ভয়ে খাওয়া হচ্ছে না।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আসলে হাঁস এর মাংস জীবনে কমই খাওয়া হয়, সাবার। আমিও কতবার খেয়েছি গুনতে পারব! আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা মিলে যায়।
হাঁসের একটা কাবার করেছিলাম, আশা করি তা দেখে নেবেন। আমার কাছে এই কাবাই বেশী ভাল লেগেছিল। এশিয়ার অনেক দেশেই হাঁস প্রিয় খাবার।
স্বপ্ন বা আগোরা টাইপের দোকানে বেশ ভাল করে পালক পরিস্কার করা অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়। মন চাইলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তবে ছোট বেলায় শ্রীমঙ্গলের রাজ হাঁস খাওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারি না। আমার সিলেটি খাল্লাম্মা বেশ মজা করে রাজ হাঁস রান্না করতেন।
আর একটা কথা হচ্ছে, আজ বিরিয়ানির সহজ একটা রেসিপি দিয়েছি। কেমন হল, না কিছু ভুল হল তা আশা করি জানাবেন।
শুভেচ্ছা থাকল।
LikeLike
আপনার হাঁস রান্নার রেসিপি পড়ার পর মাথার ভেতর হাঁস ঢুকে গেল। ’অগোরা’ থেকে কাল একটা হাঁস কিনলাম। ভালোমতো পরিষ্কার করা হলেও চামড়ার ভেতর কয়েক জায়গায় পালক দেখলাম। এসব সাফ করার নিশ্চয় কোনো পদ্ধতি আছে। কিন্তু তা জানা নেই বলে কেটে ফেলে দিয়েছি।
ঝাল ঝাল করে রান্না হাঁসের মাংস খেতে বেশ লাগলো।
LikeLike
হা হা হা, আমারো সেই একই অবস্থা। যাই হোক আমিও আগোরায় হাঁস দেখেছিলাম, কিনতে সাহস করি নাই। দাম এবং বেশ শুকনা মনে হয়েছিল। আর একবার কিনতে হবে।
তবে যাই বলি না কেন, খেতে বেশ ভালই হয়।
LikeLike
দুলাভাইয়ের কেমন লাগল সেটা বলেন নাই! তিনি কি প্রশংসা করেছেন!
LikeLike
জ্বি উদরাজি ভাই, দুলাভাই পছন্দ করেছেন। উনি অবশ্য মুখে কিছু বলেন না, খাওয়া দেখে বুঝে নিতে হয়।
LikeLike
শুনে মনে হচ্ছে ‘বেশ ভাল দুলাভাই আমাদের’! মুখে নয় কাজে প্রমান দেয়! আমি দুলাভাইয়ের সাথে আছি। এমন লোক আমাদের সমাজে অনেক অনেক দরকার! যারা কথা নয় কাজ করে নিজকে প্রমান করবে!
হা হা হা…।।
ভাল থাকুন।
LikeLike
আসসালামু আলাইকুম,, হাসের যে গন্ধ থাকে তা দূর করার নিয়ম?
LikeLike