পবিত্র রমজান মাস আসলেই যে শরবতের কথা সর্ব প্রথম মনে পড়ে যায় তা হচ্ছে, হামদার্দের ‘রুহ আফজা শরবত’। খুব ছোট বেলা থেকেই ইফতারের সময় এই শরবত দেখে আসছি ইফতারের টেবিলে। সন্ধ্যায় আজানের ধ্বনিতে রোজা ভঙ্গের সময় প্রথম পানীয় হিসাবে এই হামদার্দের ‘রুহ আফজা শরবত’ আমাদের কাছে একটা জনপ্রিয় নাম ছিলো। বড় হয়ে নিজের সংসারেও ইফতারের এই শরবত রাখতে চেষ্টা করি। ইফতারের এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সত্যি মনে প্রানে এক সজীবতা এনে দেয়। তবে ছোট বেলার নাকে-মুখে লেগে থাকা সেই শরবতের ঘ্রাণ আর এখন পাই না!
সে যাই হোক, আমার মনে হয় এর চেয়ে দুনিয়াতে আর সহজ শরবত হতে পারে না। শুধু ঠাণ্ডা পানিতে গুলিয়ে নেয়া কিংবা পানিতে গুলিয়ে কিছু বরফ ছেড়ে দিলেই হল। যারা হালকা ফ্লেবার চান তারা শুধু একটু চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
দিন দিন দাম বেড়েই চলছে! আর কোয়ালিটি কমে যাচ্ছে!
ঠাণ্ডা পানিতে কিংবা গুলিয়ে বরফ কুচি/কিউব দিন।
কেমন রং আপনি চান সেটা আপনি নিজেই নির্ধারন করতে পারেন।
যার যে ভাবে পছন্দ! পরিবারের সবাই পছন্দ করবে এটা আশা করা যায় না। আমাদের পরিবারেরও আমার আম্মা আমাদের জন্য বানাতেন কিন্তু তিনি নিজে পান করতে পছন্দ করতেন না। আর এখন! আমার ব্যাটারীও এই শরবত পছন্দ করেন না! তিনি এর ঘ্রাণ সইতে পারেন না। আমি আর আমার ছেলে খুবই পছন্দ করি, বিশেষ করে ট্যাং বা কৃত্রিম কমলা লেবুর শরবত থেকে এটা আমার কাছে ভাল লাগে! হা হা হা… তবে হাতে বানানো লেবু শরবতই বেশী ভাল লাগে।
জাফরানি রংটা হৃদয়ে দোলা দেয়।
চুমুকেই শান্তি।
আহ…।
শরবত বানিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে গ্লাসের গা বেয়ে যে পানি জমে তা দেখেই মন ভরে যায়। এতে অবশ্য একটা পরীক্ষাও হয়ে যায়, বাতাসে কি পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তা বুঝা যায়!
সারা দিন রোজা রাখার পর এমন সন্ধ্যায় ইফতারে এমন শরবত দেখে নিজকে আজান পর্যন্ত সংযত রাখাও একটা সংযম।
আহ…।
শরবত শুধু মনের ক্লান্তি দূর করে না, শরবত হচ্ছে একটা ভালবাসার নাম!
রেসিপি প্রিয় সকল ভাই বোন বন্ধুদের জানাই রমজানের শুভেচ্ছা। এই সংযমের মাসে আমার চাওয়া, আমরা সবাই যে আরো ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি। খোশ আমদেদ মাহে রমজান। আপনারা সবাই ভাল থাকুন।
(ধর্মের ব্যাপারে আমার অভিমত হচ্ছে, পৃথিবীর প্রতিটা ধর্মই হচ্ছে এক একটা সামাজিক শৃংখলা ও জীবনবোধের নাম। ধর্ম পালনে ব্যক্তি ও সমাজ ভাল থাকে। যে যে ধর্মে জন্মে সেই ধর্ম পালন করাই উচিত। অন্য যে কোন মানুষ বা প্রাণীর জন্য নিজকে প্রতিবন্ধক হিসাবে দাঁড়িয়ে ফেলা কোনমতেই উচিত নয়।)
(PhotoBucket to Google)
রূহ-আফযার শরবতের প্রধান যে জিনিসটা সেটা হলো, শরীরটা বেশ ঠান্ডা হয়ে যায় আর গরমের সময় ঘামও শুকিয়ে যায়। অনেকেই এটা জানেনা। আর সাথে লেবুর রস দিলেও কথাই নেই। আরেকটা আছে, টক দইয়ের সাথে রূহ-আফযা মিশিয়ে, লেবুর রস. চিনি আর বরফকুচি মেশালে পুরোই বেহেস্তী শরবত তৈরি হয়ে যায়।
রমযানুল মোবারক প্রিয় সাহাদাদ ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ সাইফ ভাই, আপনাকেও রমজান মাসের মোবারকবাদ জানাই।
হা, এটা শরীর মনকে একটা বিশেষ শান্তি এনে দেয় বলেই এত জনপ্রিয়। ঘামের ব্যাপারটা আমি লক্ষ করি নাই। জেনে ভাল লাগল।
রুহ আফজা দিয়ে আরো বেশ মজাদার রেসিপি আছে। আসছে… যদি ইফতারে বাসায় থাকতে পারি তবে আপনাদেরও দেখাতে পারব।
ভাল থাকুন।
LikeLike
রান্নাতো ভাই, ফেবুতে রান্নাবান্না নামে একটি গ্রুপ আছে, ওরা দেখি নান রুটির রেসিপির সাথে সব আপনার ছবি ব্যাবহার করেছে। আপনি কি তাদের দিয়েছেন? আমি অবশ্য ছবির নিচে লিখেছি যে এগুলো সব আপনার তোলা ছবি। 😀
LikeLike
না আপা, আপনার কাছে এই মাত্র জানতে পারলাম। আমি ফেবুতে কম যাই। আমার চোখে পড়ে নাই। কোথায়ও কি সামান্যও আমার নাম নেয় নাই! সামান্য নাম নিলেও সাতখুন মাফ! হা হা হা……।। প্লিজ লিঙ্ক দিন, আমিও দেখে মজা নেই!
রমজান মোবারক। কেমন যাচ্ছে দিন। ঢাকায় রোদ গরম বৃষ্টি…।। জান শেষ!
LikeLike
নান রুটির ছবি দেখুন এখানে। https://www.facebook.com/photo.php?fbid=324678357625660&set=a.251268641633299.58927.129248340501997&type=1&theater একেবারে নিজের করে নিয়েছে রান্না-বান্না!
LikeLike
হা হা হা…… ভাল কাজ করছে! নকল করতে গেলেও যে বিদ্যা জানতে হয় তাও জানা নেই!
দেখামুনে! চলুক, চোরেরা কখনো বড় হতে পারে না! কত কবিতা চোর দেখলাম!
ঠন ঠন!
LikeLike
উদরাজী ভাইয়া, একটা জিনিস খুব ভালো লাগছে। সেটা হচ্ছে আপনার মতো একজন জনপ্রিয় ব্লগারের সাথে যে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে।
একটি কথা গোপনে বলে যাই, মনে হয় আপনার ব্লগটাকে ঈর্ষা করতে শুরু করেছি!
LikeLike
হা হা হা…। আসেন দুই ভাই মিলে রুহ আফজা দিয়ে আজকের ইফতার শুরু করি।
অনেক দিন আড্ডা হচ্ছে না… ইফতারে একটা আড্ডা দেয়া যেতে পারে…
LikeLike
অবশ্যই রোজার মাসে ইফতারের একটা আড্ডা দিতে হবে।
ভালো কথা, আমি অক্টোবরের ১ তারিখে সিলেটে জয়েন করছি।
LikeLike
* দিন দশেকের ভিতরে কী এই আড্ডাটা সম্ভব?
* সিরাজগঞ্জে তো বেড়ানো হলো না, এবার সিলেটে বেড়াতে যাবো অবশ্যই।
* তোমার অলিম্পিকে মন্তব্য করতে ব্যার্থ হয়েছি।
* এম এস কে বাঁধন ভাইয়ের দেওয়া মন্তব্যে আর ব্যাখ্যায় ধন্দে পড়ে গেছি। তিনি বলেছেনঃ তবে বরফ কুচি দেই না কারণ আমার টাং সিল টা বেশি রাগী, ঠান্ডা করতে গেলে আমাকেই ছাড়ে না।
মানুষের ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র এর সামনে অর্থাৎ জিহবা এর নিম্নভাগে একটি পাতলা পর্দা আছে যাকে বলা হয়, TONGUE SILL বা বাংলায় “টাং(tung) সিল। ** নিচে দেখে নিতে পারো!
ডাক্তারী ব্যাখ্যা আবশ্যক।
LikeLike
হা হা হা… এত তো সেরা আড্ডাবাজ এসে গেছেন। আগামী সাপ্তাহে ইফতারের একটা আড্ডা হয়ে যেতে পারে…।
নিয়াজ ভাই, সিলেট কি কর্নফাম!
LikeLike
হ্যাঁ, উদরাজি ভাই, সিলেট কনফার্ম।
LikeLike
তা ইফতারের একটা আড্ডা হয়ে যাক। পরে সিলেটে আড্ডা চলবে!
LikeLike
ওয়াও…। এবার তা হলে আমাদের সিলেট যাওয়া হবেই হবে…।
আড্ডার দিন ক্ষণ দিয়ে দিন…।
LikeLike
এতক্ষণে আপনার নাম নিয়ে সাত খুন মাফ পেয়ে গেছে।
LikeLike
হা হা হা…… তার মানে ওনারা আমাদের এই কমেন্ট চালাচালি দেখে আসছেন কিন্তু আমি দেখিনি। ফেবুতে যেতে পারি না, আমার মনে অনেক দুঃখ… প্রতি নিয়ত ফেবুতে গেলে আমার এই ব্লগ আরো জমে যেত, যদিও এখন যা জমছে তাতেই আমি কাহিল…।। চাকুরী করে আর কত!
আপনার মত এমন ভাই এবং রান্নাতো বোনের মত এমন থাকলে আমার আর চিন্তা কি! শুভেচ্ছা আপনাদের এমন ঈগল আইয়ের জন্য।
চলুক।
LikeLike
আপনার ফেবু ওয়ালে লিঙ্ক দিয়েছি।
প্রথম রোজা ভালোই কাটলো আলহামদুলিল্লাহ!
LikeLike
ধন্যবাদ বোন, আবার কবে যে ফেবুতে যাব! আহ…।।
দোয়া করি, দিন কাটুক আনন্দে।
LikeLike
হুমম, অপেক্ষায় রইলাম।
রূহ-আফযা দিয়ে আমি বেশ ক’রকমের শরবত তৈরি করতে পারি। তবে আপনারগুলোর ধারে কাছে না যাবারই সম্ভাবনা বেশি। জলদি দেবেন সাহাদাত ভাই।
LikeLike
দাইফ ভাই, ইফতার বাসায় করতে পারলে চেষ্টা করে দেখতাম। কিন্তু প্রথম রোজাই অফিসে করলাম।
আপনিও রেসিপি বলে দিতে পারেন। আনার মত করেও বানাতে চেষ্টা করব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পোস্টের প্রথম শব্দের বানানে ‘র’ ফলা লাগিয়ে পবিত্রতার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন, ওটা কমান। রুহ আফজা শব্দের অর্থ কী জানা থাকলে জানাবেন।
LikeLike
বানান ধরার জন্য শত শুভেচ্ছা। এইভাবে আমার সব পোষ্টেই আপনার জন্য উন্মুক্ত।
দাঁড়ান হামর্দাদে ফোন দেই!
LikeLike
শব্দনীড়েও ঠিক করে দেবেন বানানটা।
রাগ করেন, আর যাই করেন, বানান নিয়ে কিছু কথা আমার থাকবেই। এ আমার মুদ্রাদোষ!
LikeLike
হুদা ভাই, আপনি আমার পোষ্টে একদম ফ্রি! যত বানান ভুল ধরবেন তত আমি আপনার প্রশংসা করব…।
LikeLike
ঐ পোস্টে শেষ পর্যন্ত আপনার নাম দেয়া হয়েছে।
আমি ও হুদা ভাই যেভাবে লেগেছিলাম, একেবারে কচ্ছপের কামড়ের মতো। :p
LikeLike
হা হা হা…… আপনাদের জন্য আমিও কচ্ছপের কামড় দিব।
ধন্যবাদ আপনাদের দুইজনকেই, এই না হচ্ছে বাদ্রার এন্ড সিষ্টার!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আহ! রুহ আফজা! চুমুকেই শান্তি! 🙂
LikeLike
হা হা হা… এই মাত্র একজন বন্ধু পাওয়া গেল! আহ…।
LikeLike
😀 😀
LikeLike
বরাবরের মত মধুর-ভালবাসাময়………।
শেয়ার দিলাম- http://forum.tarunnobd.com/viewtopic.php?pid=1395#p1395
ফোরামের অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধনে আমরা ক’জন- http://forum.tarunnobd.com/viewtopic.php?id=154
LikeLike
ধন্যবাদ ঈগল ভায়া, সময়াভাবে আসতে পারছি না। চাকুরী করে সময় পাওয়া বেশ কঠিন। আসবো। আপনাদের সাথেও আড্ডা মারব!
LikeLike
সরবত!!! এটা না হলে তো ইফতারই চলে না। তবে লেবু মিশিয়ে দিলে একদম অমীয়!! তবে বরফ কুচি দেই না কারণ আমার টাং সিল টা বেশি রাগী, ঠান্ডা করতে গেলে আমাকেই ছাড়ে না। হা হা …
LikeLike
আগে শরীর, পরে খাবার দাবার। যা খেলে শরীরে সইবে না তা না খাওয়াই উত্তম। ঠাণ্ডা অনেকেরই চলে না… আমি হালকা ঠাণ্ডা পছন্দ করি… বিশেষ করে রেখে দেয়ার পর হালকা ঠাণ্ডা হয়… তা চলে…।
পানির উপরে কথা নাই!
LikeLike
টাং সিল? না কি টনসিল??
LikeLike
হা হা হা…।
LikeLike
ধন্যবাদ আপনার জবাব এর জন্য।
উত্তরঃ মানুষের ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র এর সামনে অর্থাৎ জিহবা এর নিম্নভাগে একটি পাতলা পর্দা আছে যাকে বলা হয়, TONGUE SILL বা বাংলায় “টাং(tung) সিল “. tongue-the freshly organ in the mouth used in tasting and (by man) in speech. [SAMSAD ENG-BAN DICT. PAGE NO-1190, HEADLINE TIC-TONGUE,EIGHTH REPRINT-2008,FIFTH EDITION.].[ONLINE DICT. VERSION,EV5-WORD NO-5609, ONLINE WIKI, VERSE-10- 15 LINES].[MEDICA. ANAT-RESPIRATORY SYSTEM] অনুগ্রহ করে, এই তথ্যসুত্র দ্বারা আপনি বিষয়টা জানতে পারবেন।
আমরা সাধারণ কথাবার্তায় এমন অনেক ভুল বলে থাকি, যেমনঃ মেডিকেল। আসলে হবে -মেডিক্যাল। তবে আপনার দৃষ্টি আছে স্বীকার করি।
LikeLike
ধন্যবাদ বাঁধন ভায়া, আপনার ব্যাখ্যা চমৎকার।
LikeLike
🙂
LikeLike
সারাদিনের রোযা শেষে আমার কাছে লেবুর শরবত অসাধারণ লাগে। বরফ টুকরো মিশিয়ে রুহ আফযার শরবত খেতেও দারুণ লাগে। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ জামি ভায়া। মাঝে মাঝেই আপনি উদাও হয়ে যান কোথায়? লেখা পড়ার কি খবর। যাই করেন আগে লেখাপড়া… আগে জীবন গড়া…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি উদাও হতে চাইনা। কিন্তু কাজ আমাকে উদাও করে দেয়।
আড় পড়াশুনা -বিবিএ শেষ হলো। ইন্টার্নী করছি এখন। ব্যাংকে ১০-৬টা অফিস করতে করতেই অবস্থা খারাপ।
আপনি কেমন আছেন ভাইয়া?
LikeLike
ধন্যবাদ জামি ভায়া। আপনার পড়াশুনার খবর শুনে ভাল লাগল। তবে এম বি এ করে নেবেন। একবার লেখা পড়া ছেড়ে অন্য কিছু করলে আর পড়াশুনা হয় না। এম বি এ করে তবেই …। এই দেশে সার্টিফিকেটের এক আলাদা গুরুত্ব আছে…।
চলুক। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
অনেক ভালো লেগেছে আপনার পুরা ব্লগটি । । ।
LikeLike
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
LikeLike
এটি খুব মজাদার
LikeLike
অনেক ভালো
LikeLike