গত কয়েকদিন আগে আপনাদের দেখিয়েছিলাম কি করে ঘরে নান রুটি বানানো যায়। নান বানানোর খামির থেকে আমরা খুব সহজেই আরো কিছু বানাতে পারি। যেমন – বন রুটি, পিজ্জা ইত্যাদি। ময়ান বা খামির সামান্য এদিক ওদিক করেই আমরা এমন সব মজার খাবার তৈরী করে বড়দের সহ শিশুদের আনন্দদায়ক খাবার বানাতে পারি। আজ আপনাদের দেখাবো কি করে আপনি ঘরে পিজ্জা বানাতে পারেন। এটা মোটেই কঠিন কাজ নয়। পিজ্জা বানাতে আপনাকে তিনটে ধাপে কাজ করতে হবে এবং এর পর সব কিছুর সম্মনয়ে ইলেকট্রিক ওভেনে প্রবেশ। ব্যস! শুরুতেই বলে রাখি, পিজ্জাতে চিজ বা পনির একটা অপরিহার্য বলে আমরা দেখে থাকি কিন্তু আপনারা জানেন আমরা চিজ বা পনির বেশী খেতে পারি না, আমাদের শরীরে সয় না! হা হা হা…। আসলে দামের কথা ভেবে আর কিনতে ইচ্ছা হয় না… তাই চিজ বা পনির ছাড়াই আমাদের আজকের প্রচেষ্টা।
* পিজ্জার জন্য খামির বা ময়ান বানানো
* পিজ্জার জন্য যে কোন একটা ইনস্টাফ বানানো
* পিজ্জা বানিয়ে ওভেনে প্রবেশ
* চলুন দেখি কি করে আমরা পিজ্জার জন্য খামির বা ময়ান বানাতে পারি। আমার এই বিষয়ে একটা সম্পুর্ন পোষ্ট আছে। ডো/খামির/ময়ান (পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন খুব সহজেই)। অন্য ট্যাবে এই পোষ্টের লিঙ্ক ওপেন করে দেখে আসতে পারেন। পরিমাণ ও প্রণালী বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনার ময়ান এই রকম দাঁড়াবে।
কয়টি পিজ্জা বানাবেন তা আপনার উপর নির্ভর করছে।
* এবার আসুন পিজ্জার জন্য ইন সাইড স্টাফ
আপনার পছন্দ মত কিছু সবজি নিয়ে কিংবা সবজির সাথে কিছু কিমা নিয়ে এমন একটা স্টাফ বানাতে পারেন। এই ধরনের স্টাফ বানানো তেমন কোন ব্যাপারই না। আমরা যে ভাবে বাসায় সবজি বা মিক্স ভেজিটেবল রান্না/তৈরী করি এমন কিছু করলেই চলবে।
নিরামিষ ভোজীরা শুধু সবজি দিয়ে আর আমিষ ভোজীরা তাদের পছন্দ মত যে কোন একটা স্টাফ বানিয়ে নিতে পারেন। এখানে আমরা শুধু কিছু বিফ, পেঁয়াজ এবং ক্যাপ্সিকাম দিয়ে একটা কিছু করেছি।
* এটা মুল পর্ব। পিজ্জা বানিয়ে ওভেনে প্রবেশকরন।
ওভেন ট্রেতে হালকা তেল লাগিয়ে ময়ানকে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে বড় গোলাকার করে নিন। সাইডে বাঁধের মত করে পাড় তুলে দিন।
কাঁটাচামচ দিয়ে এমন করে দিন। এতে দ্রুত তাপ ভিতরে প্রবেশ করবে।
এবার আপনার বানানো স্টাফ গুলো ভাল করে বিছিয়ে দিন। ফাঁকে ফাঁকে পনির বা চিজ বিছিয়ে দিতে পারেন, যদি থাকে! না থাকলে নাই।
ওভেনে দেবার আগে একটা ডিম ফেটে চামচ বা ব্রাস দিয়ে পিজ্জা ডোর চার পাশে লাগিয়ে দিন। এতে পিজ্জার রং সুন্দর দেখাবে, সোনালী।
এবার ওভেনে দিয়ে দিন। ওভেনে ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে মিনিট ১৫ রাখলেই হয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে খেয়াল রাখা দরকার। শেষের দিকে বের করে একটা ছুরির মাথা দিয়ে পিজা ডো তে গেঁথে তুলে আনলে যদি খামির লেগে যায় তবে বুঝতে হবে আরো কিছুক্ষণ দিতে হবে, আর যদি না লাগে তাত মানে হয়ে গেছে।
চমৎকার ঘ্রাণে ভরে উঠবে।
এর পর আপনার ইচ্ছানুযায়ী পিস করুন।
শিশুরা বিকালের নাস্তায় নিঃসন্দেহে বেশ পছন্দ করবেই।
আসুন, এই নিন।
আমাদের বাসায় মাঝে মাঝেই এই ধরনের খাবার রান্না বা বানানো উচিত। যে কোন ফার্ষ্ট ফুডের দোকানের চেয়ে এটা নিঃসন্দেহে উত্তম এবং ভেজাল মুক্ত, যদিও চিজ বা পনির ছিল না! তাতে কি!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
(PhotoBucket to Google)
খাবো না পিতজা!!!
আমার ব্লগটাকে আপনার এইটার মত করে সাজিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্লগে আর আসবো না। ঠিক বলছি কিন্তু, আসবোই না।
LikeLike
হুদা ভাই, আপনার ব্লগের থিমে মনে হয় সমস্যা আছে। একটা নুতন থিম পছন্দ করেন। বাকী আমি আছি।
হা হা হা…।
LikeLike
সে কাজটা তো আপনিও করে নিতে পারেন। আপনার রান্নাঘরের থিম আমার বেশ পছন্দ! আমি একটা বদল করেছি, দেখেন তো চলবে কিনা?
LikeLike
হুদা ভাই, এক এক থিমের এক এক গুন! আমি যে থিম ব্যবহার করছি তা খুব সাধারন – Coraline । মাত্র তিন কলামকে আমি সাজিয়েছি। আপনি চাইলে এটা একটিভ করে দেখতে পারেন। খুব সাধারন।
তবে এবার আপনি যা সিলেক্ট করেছেন তাও সুন্দর। এবার সাজিয়ে গুছিয়ে ফেলতে হবে মাত্র।
এখানে মনে রাখা দরকার, এক একটা কাজ এক এক থিমে করা যায় অন্য থিমে তা করা যায় না। আমি এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছি।
আর সব কিছু করতে চাইলে নিয়াজ ভাইয়ের মত সাইট কিনতে হবে। বছরে ১৫ হাজার খরচাপাতি হবে মাত্র! আপনার রুচি অনুযায়ী সাজবে।
শুভেচ্ছা, চিন্তা করবেন না। সাথে আছি।
LikeLike
আজকাল তো দেখি পিজ্জা ছোট সোনামনিদের চাইতে ধাড়ি রুপোমনিরাই বেশী পছন্দ করে। :p
LikeLike
ঠিক! একেবারে খাঁটি কথা!!
LikeLike
ধাড়ি রুপোমনিরা! নুতন শব্দ তৈরির জন্য পুরস্কার দেয়া যেতে পারে আমার রান্নাতো বোনকে!
LikeLike
হা আপা, ফার্ষ্ট ফুডের দোকান এখন তাদের দখলেই!
LikeLike
আমারটা তো ‘ইলেকট্রিক ওভেন’ নয় বলেই জানি 😦
LikeLike
হা হা হা… মাইক্রো ওভেন!
LikeLike
শেষ প্যারাটার সাথে সম্পূর্ণ সহমত।
বাইরের খাবারের থেকে বাসায় বসেই এই সব রান্না সহজেই সম্ভব। আর তাতে ভেজাল সেভাবে তো থাকেই না আর স্বাস্থ্যকরও বটে।
ভাল লাগলো পিজার রেসিপি। তবে বেশি ভাল লাগলো ভাতিজাটার পিজা খাওয়ার ছবি দেখে। মাশাল্লাহ অনেক মায়া ভরা মুখ। শুভকামনা আর দোয়া রইল ভাতিজাটার প্রতি।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই, দোকানে এমন একটা পিজার দাম কমের পক্ষে ৭০০ টাকা হবে! অথচ বাসায় ১০০ টাকাও খরচ পড়বে না! দোকানে ইঞ্চি মেপে পিজ্জার ওর্ডার আমার একদম ভাল লাগে না! হা হা হা…
আপনার শুভকামনা ওর সাথে থাকুক। বড় হয়ে যেন ভাল মানুষ হয়।
LikeLike
” দোকানে ইঞ্চি মেপে পিজ্জার ওর্ডার আমার একদম ভাল লাগে না!”
একেবারে মিলে গেলো যে !!!!!
LikeLike
হা হা হা…। এর চেয়ে মাঝে মাঝে মনে হত টাকা খাই! তবে এখন আর দোকানে/হোটেলে খাই না! টাকা বাচানোর জন্য! দ্রব্যমূল্যের দামের সাথে আর পেরে উঠছি না!
আমাদের সামনে কি অবস্থা আছে ভাবছি!
LikeLike
mixed vegetable ta ekhane kivabe korechen vaia ? ami parinai 😦
LikeLike
পিজার এই মিক্স ভেজি্টেবল খুব সহজ। সাধারন রান্নার মত করেই রান্না করে ফেলা যায়।
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, লবন এবং চিকেন দিয়ে ভাল করে ভেঁজে নিন। এর পর একে একে সাধারন সব মশলা দিয়ে ভেঁজে এক কাপ পানি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। চিকেন ন্রন হয়ে গেল মিক্স সবজি দিন এবং কিছুক্ষন ঢেকে রাখুন। ঝোল কমিয়ে, লবন দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস হয়ে গেল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
nice 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভাই সালাম নিবেন,
Recently আমি এবং আমার স্ত্রী আপনার ফেসবুক পেজের সন্ধান পেয়ে জয়েন্ট করেছি। এবং আমরা দুজনেই আপনার পেজের ভিশন ভক্ত হয়ে গেছি। আর আপনার দেয়া রেসিপি অনুযায়ী পিজ্জাও বানিয়েছি তাই আপনাকে না জানিয়ে থাকতে পারলাম না। আপনাতে দেথাবো বলে ছবিও তুলে রেখেছি। কিন্তু এখানে দেখাতে পারলাম না দুঃথিত। দারুন মজা হলেও একটু শক্ত হয়ে গেছিল আর চিজগুলা গলে নাই। চিজের কি কোন রকম ভেদ আছে?
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে ব্যটারী ভাবিকেও।
LikeLike
wow (Y)
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ শিপু ভাই।
LikeLike
চমৎকার
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
আনন্দে কাটুক আপনার সময়।
LikeLike
চমৎকার, ট্রাই করে দেখবো
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ জিয়া ভাই।
আপনার জন্য ভালবাসা থাকলো।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
জিবনের প্রথম চেষ্টায় আমি এত সুন্দর পুডিং বানিয়েছি যে নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না।
সত্যি বলছি রান্না বিষয়টিকে আপনি যেন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
LikeLike
Khub valo laglo
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা থাকলো।
LikeLike