বর্তমানে বাজারে যে সকল তরকারী আমার মনে হয় ভেজাল ছাড়া পাওয়া যায়, তার মধ্যে মিষ্টি কুমড়া অন্যতম। এটা আমার মতামত, কারন ভেজালের এই দেশে যখন সব কিছুতেই ভেজাল তখন ভেজাল ছাড়া কিছু আছে এটা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয়। কুমড়ার ক্ষেত্রে ভেজাল নাই, এটা ভাবার কারন হচ্ছে – ভেজাল দেবে কি করে! হা হা হা…
যাই হোক, মিষ্টি কুমড়াও আমার একটা প্রিয় খাবার। বাঙ্গালী মাত্রই মিষ্টি কুমড়া দেখেছেন এবং খেয়েছেন। মিষ্টি কুমড়ার একটা বিরাট বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটা যে কোন মিক্স ভেজিটেবেলের সাথেও চলে। আর নিজে একাই একশত! ভাজি কিংবা হালকা ঝোলে রান্না এবং গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে বেশ মানান সই! শিশু এবং বুড়োরা খেতে চায় না কেন, এটা গবেষণা করে বের করতে হবে। চলুন সহজ মিষ্টি কুমড়া রান্না দেখি। এমন রান্না দেশের আপামর সব জনতা খেতে পারবে, সাউন্ড ছাড়া!
সাধের মিষ্টি কুমড়া! তঁরে লইয়্যা যাইয়ুম রান্নাঘর!
ফালি ফালি করে কেটে ফেলুন।
মিষ্টি কুমড়ার রূপ দেখার মত! অসাধারণ।
তেল গরম করে কিছু পেঁয়াজ ভেজে নিন। কিছু লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটা উঠবে না এবং পেঁয়াজ নরম হয়ে যাবে।
সামান্য হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, কয়েকটা কাঁচা মরিচ এবং এক চা চামচ রসুন বাটা দিন।
ভাল করে কষিয়ে হাফ কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে আরো কিছু ক্ষণ কষান।
এবার মিষ্টি কুমড়া গুলো দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে মিনিট বিশেক রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন, কড়াইয়ের তলায় না লেগে যায়!
ফাইনাল লবণ দেখুন। লাগলে দিন না লাগলে ওকে!
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আপনি নিজেই বলুন, রান্নাটা সহজ না কঠিন!
দারুন রেসিপি। শুকনো ডালের সাথে গরম ভাত দিয়ে এই মিষ্টি কুমড়ো, আহ! আর কিছুর দরকার নেই।
চমৎকার রেসিপির জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই থাকবে প্রিয় সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই। আপনার সাথে আমার মতের অনেক মিল দেখি। আপনাকে নিয়ে একদিন বসতেই হবে…। খেতে খেতে গল্প আর কি!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আজকে দুপারে খাইলাম…ডাল উইথ মিষ্টি কুমড়া….মিষ্টি কুমড়া বড়ই মিঠা…:)
LikeLike
হা হা হা…। আমি ছোটবেলায় খেতে চাইতাম না।। এখন মনে হয় প্রতি বেলায়ই টানতে পারব!
শুভেচ্ছা হাটুরে ভাই।
LikeLiked by 1 person
একটা আফসোস রয়ে গেছে। এবার গিয়ে আপনার রান্নাটা খাওয়াতে পারি নাই। আমি গিয়ে দেখি মা আগেই মুরগী রান্না করে ফেলছে। এখন প্রতিদিন তো আর মুরগী খাওয়ার উপায় নাই…:)
তবে আপনার কথা বলে আসছি…আর বলে আসছি যে, এর পরের বার গিয়ে রান্না করে খাওয়াবো..:)
LikeLike
হা হা হা…।। ব্যাপার না। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর এখন মরণ দশা। আমি নিয়েও বাজারে গিয়ে খৈ হারিয়ে ফেলি!
গতকাল মাসের বাজার করলাম! চার হাজার সাত শত টাকার। বিশ্বাস করুন, আমি আমার দুই হাতেই বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। অথচ বছর দুইয়েক আগেও চার হাজার টাকার বাজার করলে, অন্য কাউকে নিতে হত! পাঁচ লিটারের একটা তেল ৬৮৫ টাকা ভাবা যায় না, অথচ বছর তিনের আগেও ছিল ৪৭৫ টাকা। আমাদের বেতন বাড়ে নাই, কিন্তু খরচ তো আর থেমে থাকে না। য়ামি রীতিমত দিশেহারা।
জীবন থেকে খাবার দাবারেও অনেক কিছু বাদ দিয়েছি। জামাকাপড় তো মনে হয় বছর দুয়েকে একটাও কিনি নাই! পুরানো দিয়েই চলছে।
অথচ সরকার প্রধান বলে, আমরা নাকি এখন পাঁচ বেলা খাই! লজ্জার বিষয়। আরো অনেক কিছু বলার আছে, কিন্তু বলে আর নিজের লজ্জা বাড়াতে চাই না।
অন্যের লজ্জা না থাকতে পারে, আমার এখনো আছে!
মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর সামনে আর কোন ভবিষ্যৎ দেখছি না। আমাদের কোথায়ও যাবার পথ নেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ঠিক বলেছেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। হয় এসপার, নয় ওসপার…হয় দুর্নীতি করে বড়লোক হবি…নইলে ভুখা নাঙ্গা থাকবি…মাঝামাঝি কিছু নাই।
LikeLike
সবুজ রঙের যে মিষ্টি কুমড়া হয় সেটার স্বাদ আমার খুব ভালো লাগে। বেশী মিষ্টি নেই। আমি ঐ মিষ্টি কুমড়া পছন্দ করি। 🙂
মিষ্টি কুমড়া ছোট টুকরো করার আগে ধুয়ে নিয়ে ভাজি করলে আস্ত আস্ত থাকে।
মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে মাগুর মাছ, উপরে ভাজা জিরা ছিটিয়ে দারুন লাগে। আর সিলেটে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে গরুর গোস্ত খুব জনপ্রিয়। 😀
LikeLike
ধন্যবাদে বোন।
দুনিয়াতে এক জিনিষ দিয়ে কত রান্না আছে? হিসাব ছাড়া। হা, সবুজ বা একটু কাঁচা থাকলে সেটা আরো ভাল লাগে খেতে। মিষ্টি কুমড়ার সাথে মাছ চলতে পারে কিন্তু একই শুনলাম, সিলেটে! হা হা হা…। খেয়ে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে।
আমি আবার যে কোন কম্বিনেশনের মধ্যে আছি তবে কথা হচ্ছে স্বাদ হতে হবে! যা ইচ্ছা তা দিয়ে রান্না করলে তা যদি স্বাদ না হয় তবে পুরাই মাটি!
একদিন দেখতে হবে…। খেয়ে…।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আজ সকালেই কিনেছি মিষ্টি কুমড়া! বাজারে যেয়ে দেখলেই না কিনে পারা যায় না! যাদের ডাবেটিস আছে তাদের কিন্তু সতর্ক করা উচিৎ ছিল এই পোস্টে।
মিষ্টি কুমড়ার ঘন্ট সব চাইতে সহজে আর সস্তায় প্রস্তুত করা যায়। আমাদের এলাকায় সেটাকে আমার বলে মালিশ। মালিশের সমার্থক অর্থ মলম বলে কেউ কেউ ব্যাঙ্গার্থে মলমও বলে থাকে।
যা হোক, পরের বার এই ঘণ্ট বানাবার রেসিপি দেবেন।
LikeLiked by 1 person
হুদা ভাই, মিষ্টি কুমড়ার ঘন্ট এটা আবার কি? মাছের মাথা দিয়ে ঘেঁটে ঘুঁটে যে রান্না! আমার আন্মা এমন একটা রান্না করতেন, কিন্তু কি নাম তা মনে করতে পারছি না। একটু বর্ননা দিলে খুশি হব।
নামে কি আসে যায়! মালিশ কিংবা মলম! খেতে স্বাদ হলে আর কিছু চাই না!
মলম দিয়ে মালিশ করবেন? ব্যাথা সেরে যাবে!
LikeLike
দেবেন ঘুটা। ঘুটে একেবারে কাদা কাদা (আঠালো নরম হালুয়া সদৃশ) করে ফেলবেন। হয়ে যাবে ঘন্ট!!!!
LikeLike
হা হা হা… এবার বুঝতে পারছি! আগামীতে এমন একটা ঘুঁটা দিমুনে!
LikeLike
আমি রাধতে পারি না
LikeLike
হা হা হা… নিজাম ভাই, রান্না জানলে ভাল! না জানলে কোন সমস্যা নাই তবে কথা থেকে যার আর কি!
কেমন আছেন?
LikeLike
মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে হালুয়াও খুব মজার হয়। গাজরের হালুয়ার মতই রান্না করতে হয়।
LikeLike
আপা, গাজরের হালুয়ার কথা শুনেই যাচ্ছি! একদিন বানিয়ে ফেলব ভাবছি…
দুনিয়াতে হালুয়ার অভাব নাই!
আপনি এবারে কি কি হালুয়া বানালেন তা বলেন নাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
শবেবরাতে আগের মত কিছু করিনা।
তবে নাতি/নাতনিদের কথা মনে করে ডিম+সুজি দিয়ে হালুয়া করেছিলাম। যা চিনি দেবার আগে কুম্ভকর্ণের জন্য অল্প তুলে রেখেছিলাম। 😀
LikeLike
ধন্যবাদ আপা। আপনার অনেক কমেন্টের উত্তর সময় মত দেয়া হয়ে উঠে নাই। মনে কিছু নিয়েন না। সময়াভাবে এমন হচ্ছে, কিছু আবার চোখ এড়িয়ে গেছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আপনার সাইটটা দিন দিন রেসিপির একটা আর্কাইভে পরিণত হচ্ছে। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ রুমান ভায়া। আসলে এটাই আমার চেষ্টা, যাতে আমাদের সব খাবার গুলো পাওয়া যায়।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ranna kora shikci apnar site theke, khub valo lagse,
LikeLike
পুঁই শাক ও মিষ্টিকুমড়ার রেসিপি ভাল লাগছে। 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
হ্যাঁ, এই কম্বিনেশনের রান্না আসলেই স্বাদের এবং মজাদার। আমাদের ঘরে এখনো মিষ্টি কুমড়া আছে! হা হা হা… যাই হোক, আশা করি একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
অনেক ধন্যবাদ আমি আজকেই এইটা রান্না করব
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে, এই রকম রান্না গুলোতে রান্নার হাত তৈরী হয়ে থাকে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
LikeLike