গ্যালারি

রেসিপিঃ চিচিঙ্গা ও শুঁটকী (যা রান্না করে আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি)


চিচিঙ্গা ও শুঁটকী! আমি জানি এই দুটো দেখলেই অনেকে পোষ্ট ছেড়ে চলে যাবেন। হা হা হা… আসলে এই দুটোর কম্বিনেশন একটা চমৎকার সংযোগ। এই ধরনের রান্না আপনারা কেহ রান্না করেন কি না জানি না… তবে এটাও আমার একটা এক্সপেরিমেন্ট। রান্নার বাসনা নিয়ে রান্নাঘরে প্রবেশ করতেই আমার ব্যাটারী হাসতে লাগলেন! তিনি শুঁটকী বেশ পছন্দ করেন কিন্তু চিচিঙ্গা হচ্ছে জানের দুশমন! আমি বললাম, আমাকে এই কম্বিনেশনে কিছু করার সুযোগ দাও। খেতে বসে যা বলার বলতে পার! মোটামুটি একটা চ্যালেঞ্জ। আমি লেগে গেলাম…। তবে চিচিঙ্গা তেজরা কাটে তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন…।

রান্না শেষে এবং খেতে বসে খেতে খেতে (শেষে) জানালেন, আজ তোমার জন্য চারটা ভাত বেশি খেতে পারলাম। চমৎকার রান্না শিখে গেছ! আশাকরি এবার তুমি একাই রান্না করতে পারবে… আহ, গর্বে মন ভরে যায়। চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপি দেখে ফেলি। শুঁটকী লাভার্স গন আশা করি সাথে থাকবেন…


সামুদ্রিক মলা শুঁটকী। চট্রগ্রাম থেকে কিনেছিলাম। শুঁটকী ভাল করে ভিজিয়ে ধুয়ে নিয়েছি, শুঁটকীর মাথা বাদ দিয়েছি। চিচিঙ্গা মজাদার সবজি।


চিচিঙ্গা সিদ্ব করে নরম করে নিয়েছি। এতে রান্নায় সময় বাঁচবে…


কড়াইতে তেল গরম করে পরিমাণ মত পেয়াজ কুচি, রসুন বাটা,  আদা বাটা, সামান্য লবণ ও কয়েকটা শুকনা মরিচ দিয়ে ভেজে নিলাম। (যারা নিয়মিত আমার রেসিপি দেখেন তারা নিশ্চয় এখন পরিমাণ বুঝে গেছেন)


এবার শুধু হাফ চামচ হলুদ এবং এক চিমটি লাল মরিচের গুড়া। শুকনা মরিচ দেয়াতে মরিচ কম দিলাম। বেশী ঝাল ভাল নয়! হাফ কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিলাম।


কষে তেল উঠে গেলে শুঁটকী গুলো দিয়ে দিলাম।


ভাল করে আবারো কষিয়ে নিলাম। শুঁটকী গুলো মজে/নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার।


এবার সিদ্ব করে রাখা চিচিঙ্গা দিয়ে দিলাম।


হালকা আঁচে মিনিট বিশেক থাকুক। মাঝে লবণ দেখে  নিয়েছি। শুঁটকী মাছে লবণ পরিমাণে একটু বেশী হলে খেতে স্বাদ লাগে আরো বেশী।


ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


আহ……।

(এত মজাদার হয়েছিল যে, ভাবছি আবার একদিন রান্না করবো। এখনো অনেক শুঁটকী আছে। আর চিচিঙ্গাতো সবজি বাজারে একটা কমন আইটেম!)

15 responses to “রেসিপিঃ চিচিঙ্গা ও শুঁটকী (যা রান্না করে আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি)

  1. ওহ! জিভে জল সামলে রাখা কঠিন এমন রেসিপি আর তার ছবি দেখলে।
    গরম ভাত আর এই চিচিংগা শুঁটকির ডিশ, আহ, আর কিছুর দরকার নেই।

    অসংখ্য ধন্যবাদ রইল এমন একটি রেসিপির জন্য।

    Like

  2. চিচিঙ্গা আমার স্ত্রীর পছন্দের তরকারী, আর আমার অপছন্দের। অপছন্দের হলেও খেতে হয় মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে (প্রেম প্রকাশের অভিনয়!)। শুটকি খাওয়া হয় না অনেকদিন, কীটনাশকের ভয়ে।
    তবে ছবি আর রান্নার বিবরণ পড়ে যথারীতি লোভ হচ্ছে বৈকি!!

    Like

  3. আমি চিচিঙ্গা দিয়ে শুটকি রান্না করি। 😀
    মাঝে মাঝে তাতে ইলিশের মাথাও দেই।
    দারুন লাগে।

    Like

  4. আমি একবার চিচিঙ্গা দিয়ে মুর্গীর গিলা, গলা, হাড্ডি ভুনা করেছিলাম। খেতে ভালোই হয়েছিলো। 🙂

    বরবটি দিয়ে মুর্গীর হাড়গোড় দিয়ে রান্না করে দেখবেন।

    রান্না একটি অসাধারন শিল্প। তাই রন্ধন শিল্পী তার নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে চেষ্টা করেন নতুন কিছু সৃষ্টি করার।

    Like

  5. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ চিচিঙ্গা পটল মিক্স (আমার ফেবারেট) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  6. চিচিঙ্গা দিয়ে তো কত কি রাধলেন দেখলাম । আচ্ছাআ আপনি কি কখনো চিচিঙ্গার বিচির মচমচে ভাজি খেয়েছেন । না খেয়ে থাকলে একবার তৈরি করে দেখুন মজা পাবেন । চিচিঙ্গার বিচি কিন্তু ফেলনা নয় । অটা দিয়েও মজার রান্না হয়

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আসলে কয়েকদিন আগে ব্যাংকক গিয়েছিলাম। সেখানে দোকানে দেখলাম অনেক প্রকারের বিচি। তরমুজের বিচি থেকে আরো কত কি। আসলে ওই দোকানে প্রবেশ করে বুঝলাম, কোন বিচি ফেলনা নয়।

      আপনার কথা মনে থাকল। পাকা চিচিঙ্গার বিচি খুঁজতে গেলাম।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  7. thanks via…natun kichu shikhlam…..

    Like

  8. ফটোবাকেট ব্যবহার করেছেন মনে হয়। ইমেজ দেখা যাচ্ছে না। ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করলে মন্দ হয় না। অথবা ফ্লিকার

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]