গ্যালারি

রেসিপিঃ ধনিয়া মুরগী (জামাই বাবাজীকে মনে রাখতেই হবে!)


জামাই বাবাজী শশুর বাড়ীতে গেল। শশুর বাড়ীতে গিয়ে বেশ মজায় সময় কাটালো এবং বেশ কমন আইটেমের মজাদার সব খাবার দাবার খেল! পোলাউ, রোষ্ট, মাছ ভাজি, বিরিয়ানী ইত্যাদির মত আমাদের কমন খাবার গুলো খেল এবং বেশ মজা পেল! আহ… কিন্তু কথা হচ্ছে এত মজার খাবার গুলো খেয়েও বছর খানেক বাদে জামাই বাবাজী মনে রাখতে পারল না, শশুর বাড়ীতে কি কি খেল! হা, আমি মনে করি বাসায় কোন জামাই বাবাজী বা মেহমান আসলে তাকে সুযোগ পলে এমন কিছু খাওয়ানো দরকার যা সে কোন দিন ভুলতে পারবে না! মরার আগের দিনও তাকে মনে রাখতে হবে! হা হা হা।।

আজ এমনি একটা রান্না আপনাদের কাছে হাজির করবো! একবার খেলে বার বার খেতে চাইবেন এবং বিশেষ করে এই রান্নার রঙটা কিছুতেই ভুলে যাবেন না… হা কাঁচা ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচের একটা কম্বিনেশনে মুরগী রান্না। তবে মশলা পাতি সব কমন, আছে আপনার হাতের কাছেই। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে ফেলি! ধনিয়া মুরগী!

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ (উপকরণের অনুমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
– কেজি খানেক মুরগীর গোশত
– হাফ কাপ পেঁয়াজ কুচি
– এক চামচ আদা
– হাফ চামচ রসুন
– এক চিমটি জিরা গুড়া
– হাফ কাপ ধনিয়া পাতা
– প্রয়োজন মত কাঁচা মরিচ (ঝাল দেখে শুনে)
– লবণ (স্বাদ মত)
– পরিমাণ মত তেল/পানি
– কয়েকটা এলাচি
– এক চামচ লেবু রস… (না থাকলে নাই!)

প্রণালীঃ (ছবির ধারাবাহিকতা দেখেই আশা করি আপনারা বুঝে যাবেন)

ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ…


তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, কয়েকটা এলাচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন এবং ধনিয়া পাতা, কাঁচামরিচ, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা গুড়া ভাল করে গ্রাইন্ড করে ঢেলে দিন।


এমন চমৎকার লাগবে…


ভাল করে ভেজে নিন। ঘ্রাণ দেখুন, তেল উঠে একটা চমৎকার রং এসে যাবে…


মুরগীর গোশত দিয়ে দিন।


ভাল করে খুন্তি দিয়ে মাখিয়ে নিন। থান গোশত গুলোতে হালকা করে কেটে দিতে পারেন, এতে মশলা গোশতে মশলা প্রবেশ করবে।


ঢাকনা দিয়ে মিনিট ২০ রেখে দিন। অবশ্য মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন এবং উলটা পালটা করে যাবেন। লেবু চিপে রস দিয়ে দিন।


গোশত সিদ্ব না হলে হাফ কাপ গরম পানি দিতে পারেন। আবারো হালকা আঁচে রেখে দিতে পারেন। মশলা শুকিয়ে তেল উঠে আসবে এবং গোশত মজে যাবে। এবার ফাইন্যাল লবণ দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে! কয়েকটা গোটা মরিচ দিয়ে দিতে পারেন।


ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত!


এমন রঙের রান্না জামাই বাবাজী খাবার টেবিলে দেখলে আপনি বলুন, আপনাকে জিজ্ঞেস না করে পারবে! আর মুখে দিয়ে মজা পেলেতো সারা জীবন মনে রাখবেই!

আপনি কি বলেন!

40 responses to “রেসিপিঃ ধনিয়া মুরগী (জামাই বাবাজীকে মনে রাখতেই হবে!)

  1. “যম, জামাই, ভাগনা
    তিন নয় আপনা”
    এত যত্ন করে এদের খাওয়ানোর কোনই যুক্তি নেই। আসুন রান্না করি, নিজেরা খাই, বন্ধু-বান্ধবদের খাওয়াই, এতেই বেশি আনন্দ, বেশি লাভ।
    বরাবরের মতই ছবিগুলো দেখে ……. কী আর বলবো!!!

    Like

  2. জিভে জল এসে গেল ভাই ! আপনার রেসিপি ট্রাই করছে আমার ওয়াইফ । খেয়ে দেখে নিই আগে । পরে আসবো মূল মন্তব্যে ! হা……..হা……….হা…….!

    Like

    • শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সোহেল ভাই।
      আশা করি তিনি আপনাকে একটা মজাদার রান্না উপহার দেবেন। প্রতি নিয়ত এক রকম না খেয়ে একটু আলাদা করা যেতে পারে…

      আপনার জন্য ভালবাসা থাকল।

      Like

  3. কারো জামাই হই নাই এহনো…তাতে কি….এই রেসিপিটা অবশ্যই ট্রাই করবো…;) কোন মাফ নাই…:) আহ…ভাবতেই ভাল্লাগতেছে….

    Like

  4. আপনার এই রেসিপিটা বেশ হিট হয়েছে।

    Like

  5. হা হা হা।
    দারুন!
    এটা আমি করেছি। পুদিনা দিয়েও করেছি। 🙂

    Like

  6. apnar recipe gulo amar recipe gulor shathe mile jay.tobe apnar collection gulo onek beshi valo.

    Like

  7. দারুন রেসিপি। খেতে যে অসাধারণ হবে বোঝাই যাচ্ছে।
    তৈরি করতে হবে ডিশটা।

    সাহাদাত ভাই, বর্ষাকালীন উপযোগী কিছু ডিশের রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।

    Like

  8. ছবিগুলো দেখতে দেখতেই তো জিভে জল চলে এলো। রেসিপি পড়লে না জানি কি হবে। 😛
    ভাই আপনার পেট ব্যাথা করেনা? এভাবে যে সবাইকে লোভ লাগিয়ে শেষে খেয়ে ফেলেন 😛

    Like

  9. উদরাজী ভাই, মিস করি আপনেরে!

    Like

    • আমার উপরে রাগ করেছেন, বাপী হাসান ভাই?

      Like

    • বাপী ভাই, আমিও আপনাকে মিস করি… আশা করি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন। আর একটা কথা এবার একটা ওয়ার্ড প্রেস ব্লগ খুলে নিজের লেখা গুলো ব্যাক আপ রেখে দিন। এক সময় কাজে লাগবে…

      কোন হেল্প লাগলে জানাবেন… আপনার লেখা আপনার ব্লগে থাকলে এটাই একদিন সংগ্রহ হয়ে দাঁড়াবে… যে কোথায়ও আপনি লিখার ইচ্ছা লিখুন কিন্তু একটা কপি আপনার নিজের ব্লগে জমা করে রাখুন।

      আগামীতে ওয়ার্ড প্রেস ব্লগই হবে সেরা…

      আপনাকে এখানে দেখে ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছি… আশা করি আগামীতে সাথে পাব।

      আপনি রান্না ভালবাসেন এটা আমি জানি। আপনার জন্য আরো একটা রান্না তৈরী করছি… কিন্তু আপনার কথা মনে হলেই চিংড়ী মাছের রেসিপির কথা মনে হয়…

      আপনার জন্য এমন সাধারন একটা রেসিপি আসছে… ভাতিজারা কেমন আছে?

      শুভেচ্ছা।

      Like

  10. ডিসটা একবার ট্রাই করতে হবে।

    Like

  11. Didn’t you use garam masala?

    Like

  12. ami kokhono kono purush manush ke ranna nie ato ta utshahito hote dekhi nai shudhu nijer baba ke sara. ami vabtam abbu chara mne hoi ar keo ranna nie amn vabe na. amar rannar hatekhori amar babar kas thekei. ar akhon apnar ai blog ta dekhe ami to onek happy hoe gelam. akhon theke amie new ranna kore abbu ke khaoabo akhan theke dekhe.

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আপনার কমেন্ট দেখে যার পর নাই খুশি হলাম। চোখে খুশির বন্যা নেমেছে। আসলে আমাদের ছেলেদের রান্নায় সাহায্য করা উচিত। আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, খাবার যেহেতু নিজের জন্যই তাই নিজেরই রান্না করা উচিত।

      রান্না হচ্ছে একটা ভালবাসার নাম। আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন তবে তাকে খাইয়েই আপনার ভালবাসার পরিচয় দিতে পারেন। আপনি ভাল রান্না করলে আপনার সঙ্গী আপনাকে ছেড়ে যাবেই না! হা হা হা…

      আপনার আব্বার প্রতি আমার সালাম থাকল। সময় পেলে উনাকে আমাদের ব্লগের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন। দেখি উনি কি বলেন? হা হা হা।।

      ভাল থাকুন। মাঝে মাঝে এসে আমাদের দেখে যাবেন।

      শুভেচ্ছা।

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]