রুইমাছ বেশ চমৎকার মাছ। আয় বরকত বেশ। কাঁটা কম, নানা পদের রান্না করা যায় – সব মিলিয়ে আমার মনে হয় রুই মাছ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বেশ। মাসিক বাজারের লিস্টে রুই মাছের নাম থাকেই থাকে। রুই মাছ ভাজি, ভুনা, আলু দিয়ে ঝোল, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুগডালের মুড়িগন্ট – আরো কত কি! আসলে বড় মাছের চেহারা চিন্তা করলেই রুই মাছের নাম ভেসে উঠে!
কয়েকদিন আগে রুইমাছের রসুন ভুনা দেখিয়েছিলাম। চলুন আজ রুই মাছের মাথা টমেটো দিয়ে রান্না দেখি। আসলে এটা হচ্ছে যে কোন মাছ টমেটো দিয়ে রান্না। মাছ রান্নায় টমেটো দিলে একটা আলাদা ভাব আসে! খেতে আরো মজাদার হয়ে উঠে। প্রতিদিন এক রকমের রান্না হলে, পরিবারের সবাই হায় হায় করে উঠবে। তাই একই মাছ বা তরকারী নানান ভাবে রান্না করা প্রয়োজন। মানুষের জিহব্বা বলে কথা!
চলুন দেখে ফেলি – মাছ টমেটো। রুই মাছের মাথা ভুনা/রান্না টমেটো দিয়ে! যে কোন মাছ এইভাবে রান্না করা যেতে পারে। হা হা হা… আমাদের বাংলাদেশে পরিবার গুলো আসলে এইভাবেই রান্না করে। তা না হলে, শশুরবাড়ী আর নিজেরবাড়ীতে কি করে একই রান্না খেতে পারা যায়!
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাল করে জ্বাল দিন।
এক কাপ পানি দিয়ে তাতে সামান্য হলুদ, পরিমাণ মত গুড়া মরিচ, সামান্য জিরা গুড়া ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন।
ভাল করে জ্বাল দিন। অনেকটা এমন দেখাবে।
এবার রুই মাছের মাথা লেজ, শিশুদের জন্য টুকরাও দিয়ে দিতে পারেন।
আলতাভাবে নাড়িয়ে হালকা জ্বালে ঢাকনা দিয়ে মিনিট ২০ রেখে দিন।
মাছ নাড়তে সাবধান, ভেগে যেন না যায়!
শেষ প্রায়, ফাইন্যাল লবণ দেখুন এবং কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে দিন।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
সত্যিই মজাদার। টমেটো মাছের ঝোলকে একটা আলাদা স্বাদ এনে দেয়।
* যে কোন মাছ এই ভাবে রান্না করে দেখতে পারেন। স্বাদের গ্যারান্টি ১০০%।
হুম, আমিও আগে করতাম। এখন তো বিষের ভয়ে টমেটোই খাইনা।
সিমের বিচি দিয়ে রুইএর মাথা রান্না করে দেখতে পারেন। পুইশাক দিয়েও ভালো লাগে।
LikeLike
ধন্যবাদ রান্নাতো বোন। আমিও তেমন একটা টমেটো কিনি না, ভয়ে! তবে মাসে এক কেজি হতে পারে। আমিও টমেটো কিনতে উৎসাহ পাই না।
সিমের বিচি পেলেই চান্স নিব। হা, আমিও এমন খাবার খেয়েছি, আমার আম্মা রান্না করতেন। তবে পুঁইশাক দিয়ে খাই নাই, একদিন চেষ্টা করে দেখব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
সাহাদাত ভাইইইইইইইইইইইইইই…… !!!!!!
অনেক দিন পরে আপনাকে দেখে বেশ ভালো লাগছে। কিন্তু সমস্যা ঐ একটাই, খেয়ে এলাম মাত্রই, কিন্তু আপনার লিখা পড়ে আবারো নিজেকে অভুক্ত মনে হচ্ছে… 😦
LikeLike
ধন্যবাদ জামি। আপনাকে দেখে ভাল লাগল। আশা করি এবার থেকে নিয়মিত থাকবেন আমিও আপনার সাথে আছি। পোষ্ট হলেই দেখে ফেলব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভুড়ির আকার-আকৃতি বেড়েই চলেছে কিন্তু!! আর কত খাবো?????
LikeLike
না, আপনার ভুড়ি আর বাড়ানো সহজ কাজ নয়। সুন্দর ফিগার ধরে রেখেছেন, তাই থাক।
LikeLike
(পাল ভাই, আপনার মন্তব্যটা এডিট করে দিলাম। এই রেসিপি পোষ্ট আমার ছেলে, মা, বোন, নানান আত্বীয় ও রেসিপি প্রিয় বন্ধুরা দেখে থাকেন। কথাটা আগামীতে মনে রাখলে খুশি হব। অনেক কথা বলার ছিল, কিন্তু বলে আর কি লাভ হবে? নানান ব্লগে আমার অভিজ্ঞতা কম নয়।)
LikeLike
ধন্যবাদ পাল ভাই।
আপনার মন্তব্য মাথা পেতে নিলাম।
শুভেচ্ছা থাকল।
LikeLike
দারুন। খুব ভাল লাগলো recipe টা। আমি এবং আমার পরিবার চেস্টা করব আপনার মত করে রান্না করার জন্য। Heartfelt thanks for your great effort to make the people awareness, how to prepare nice dishes………… আরও হবে আশাকরি…………
LikeLike
ধন্যবাদ বাদ্রার। আপনাকে ভালবাসা জানাই। আমি আসলে নেটে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে কি কি রান্না হয় এবং আমাদের যারা প্রবাসে কিংবা মেসে থাকে তাদের জন্যই এই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমি প্রবাসে সাড়ে ৯ বছর ছিলাম। কখনো নিজে রান্না করি নাই, রান্না কঠিন এবং জানতাম না বলে। আর এইজন্য কত বেলা না খেয়ে ছিলাম! কত কি আবোল তাবোল খেয়েছি! সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে যায়।
নেটে এখন যে কোন রান্না খুঁজে সহজেই রান্না করা যায়। কত সহজ হয়ে গেছে। আমার চেষ্টা চলবে…
শুভেচ্ছা। আশা করি সাথে থাকবেন সব সময়।
LikeLike
কত্ত বড় মাছ
😛
LikeLike
মাছ যত বড় ছোট হোক না কেন, মাছ ধরিয়ে ওদের ছবি তুলতেই আমি মজা পাই।। আসলে মাছের সাথে ওদের একটা সিরিয়াল তুলছি… আগামীতে ছবি কথা বলবে…
সাধারণ ভাবে ওদের ছবি টুলতে বললে ছবি তুলে না, মুখ বাঁকা করে রাখে! তাই এটাই আমার একটা বুদ্দি!
কি বলেন!
LikeLike
প্রিয় একটি রান্না, তাই ভাল লাগাটাই স্বাভাবিক।
দারুন পোস্ট দিয়েছেন সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই।
আমাদের পরিবার গুলোতে এমন রান্না হরহামেশা হয়েই আসছে…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি কাল ই রান্না করার চেষ্টা করব । আপনাকে ধন্যবাদ।
LikeLike
ধন্যবাদ আউয়াল ভাই। আমি সরি যে, আপনার কমেন্টটা দেরীতে চোখে পড়ল।
আশা করি রান্না করেছেন এবং ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
valo laglo
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
বাজারে আজ নতুন টমেটো দেখলাম। কেজি মাত্র ১২০ টাকা। আর নতুন আলু ১০০ টাকা কেজি। আমার মত আয়বিহীন মানুষ দেখেই যাবে শুধু, খাবে আর না।
LikeLike
গতকাল রাতে ২০০ টাকার সবজি কিনলাম। এক হাতেই নিয়ে বাসায় প্রবেশ করেছি! কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা কেজি।
এখন আর দুই তরকারী চলে না!
LikeLike
আপনার চেয়ে ডবল কিনেও এক হাতে করে নিয়ে এসেছি সকালে। এই তো জীবন! ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে বাজারে যাবেন, পকেট ভরে সব্জী আনবেন।
LikeLike
ব্যাপারটা এমনই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেতনতো আর বাড়ছে না! কাকে বুঝাই এই মন কষ্টের কথা!
LikeLike