গ্যালারি

খাবার দাবারঃ চট্রগ্রাম ১


আমি সব সময়েই ঘরের খাবার দাবার পছন্দ করি। ঘরে নিজ হাতে যাই বানানো হয় তা আমার কাছে ভাল লাগে, প্রান খুলে খাবার যায় বলেই কি! দাওয়াত ছাড়া কোথায়ও গেলেও (আত্মীয়) আমি ঘরের খাবার দাবার পছন্দ করি, উনাদের বলি যা হয় তাই রান্না করেন। কিন্তু শিশুরা ভিন্ন, ওরা হোটেলের খাবার খেতে পছন্দ করে। হোটেলে গেলে ওরা মজা পায়, আনন্দ করে! অবশ্য মাঝে মাঝে শিশুদের নানান হোটেলে নিয়ে যাওয়া উচিত, এতে ওরা জানতে পারে, শিখতে পারে। আজকাল দেশে নানা জেলায় নানান ধরনের হোটেল বা ভাল খাবার দাবারের জায়গা গড়ে উঠছে।

কিছুদিন আগে চট্রগ্রামে বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। বড় ভাই তাদের বাসার কাছে একটা হোটেলে খাবার খেতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইস্পাহানী গ্রুপ পরিচালিত হোটেলের নাম ‘পিটষ্টপ’, বেশ ঘুচানো হোটেল। বন্দর নগরীতে আজকাল অনেক অনেক হোটেল ইমারত গড়ে উঠেছে। তিনি জানালেন, তারা ভাল রান্না করে, দামও সীমার মধ্যে। আমরা শিশুদের দিয়ে এক সন্ধ্যায় সেখানে গিয়েছিলাম। পরে অবশ্য অন্য আর একদিন আমার ভাতিজীর জন্য বিরয়ানী খেতে আবার গিয়েছিলাম, বিরয়ানী খেয়ে আবশ্য আমরা হতাশ হয়েছিলাম! এই ধরনের হোটেলে বিরয়ানী চলে না, এটা আবারো বুঝতে পারলাম। এই পোষ্ট যদি আমার ভাতিজী পড়ে থাকে তবে সেই বলবে, চাচা কি ঠিক বললাম কি না!

চলুন সে দিনের খাবারের ছবি দেখি। তবে বলে নেই এর পর দিন বড়ভাবী ঘরেই প্রায় এই ধরনের রান্নাই করেছিলেন তার ছবিও আমি তুলে রেখেছি সেই সব ছবি দিয়ে আর একটা পোষ্ট দেয়া যাবে। বড়ভাই যা বললেন খাবার খেয়ে আমার তা মনে হয় নাই, খাবার ভাল কিন্তু বেশ দামী, মধ্যবিত্ত পরিবার তা বহন করতে পারবে না। হোটেলের একবেলার বিল দিয়ে মোটামুটি ঘরে প্রায় এমন ধরনের খাবার তিন বেলা খাওয়া যাবে!


খাবারের আগে পানি নিয়ে নেয়া ভাল।


থাই মিক্স স্যুপ


শিশুরা এটা বেশ পছন্দ করেছিল


চিকেন ফ্রাইড রাইস


চিকেন ফ্রাই (আমার কাছে বেশী ভাজা মনে হয়েছিল)


স্পেশাল ভেজিটেবলস


আমার ছবি তোলা দেখে ওরা কি মনে করছিল, জীবনে মনে হয় হোটেলে খাই নাই নাকি অন্য কিছু! কিন্তু আমার মাথায় ছিল ‘খাবারের ছবি নিয়ে একটা ব্লগ পোষ্ট’!


খাবার পালা, সাথে ছিল ক্লিয়ার ডিংক্স।

হোটেলের পরিবেশ চমৎকার ছিল, ওয়েটারদের আদব কায়দাও মনে রাখার মত। লালখান বাজারের মোড়ে এই হোটেল অবস্থিত। আপনি চট্রগ্রামে গেলে একবার খেয়ে আসতে পারেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

চট্রগ্রামে বেড়ানোর ফাঁকে আমি আর আমার ব্যাটারী চট্রগ্রামের নিউমার্কেটের দোতালায় ডায়মন্ড হোটেলে চা পান করেছিলাম, বেশ জমেছিল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আগামী পর্বে আমার বড়ভাবীর হাতের রান্নার ছবি দেখার অগ্রীম আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম। সবাইকে শুভেচ্ছা।

11 responses to “খাবার দাবারঃ চট্রগ্রাম ১

  1. জানেনই তো যে রেস্তোরা/হোটেল ব্যবসাতে পুরোটাই লাভ যদি সঠিকভাবে কাস্টমারদের কাছে তুলে ধরতে পারে। তখন একটু যাচ্ছে তাই দাম রেখে দেয় মন খুশি মতো। আর আমাদের দেশে তো এসবের খেয়াল করবার মতো কোনো আইনও নেই।

    ভাল লাগলো পোস্টটি প্রিয় সাহাদাত ভাই।
    পরের রেসিপি পোস্টের অপেক্ষায়……….

    Like

    • ধন্যবাদ দাইফ ভাই।
      আমাদের দেশের হোটেল গুলো মূল্যবোধ বুঝতেই পারে না। মালিক হোটেল খুলেন টাকা কামাবার জন্যই। তিন তার কাষ্টমারদের কথা মোটেও ভাবেন না…। আইন আছে, প্রয়োগের লোক নেই – সেইম…

      হা, রেসিপির সাথে মাঝে মাঝে নানান খাবার দাবারের আলোচনা/ছবি মন্দ নয়…

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. এ দুনিয়ায় কত রকমের খাবার যে আছে? এক জীবনে কী আর সব কিছুর স্বাদ নেওয়া সম্ভব?
    যত গোছানো বা গোঁছালোই হোক, হোটেল হোটেলই। এখানকার বিরিয়ানী যত স্বাদের, ততটা স্বাস্থ্যবান্ধব নয়। চট্টগ্রামের ভাবীর হাতের বিরিয়ানীর স্বাদ নিশ্চয়ই হোটেলেরটার চেয়ে ভালো ছিল? ছবির চিকেন ফ্রাই তো কয়লা কয়লা মনে হচ্ছে। খেতে যেমনই লাগুক, পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অসীম।

    Like

    • হা হা হা… হুদা ভাই আপনি সঠিক বলেছেন। (বিরিয়ানী ও গোছানো বানান দুটো শিখতে পারলাম)
      ভাবীর হাতের রান্নার ছবি দিচ্ছি কয়েকদিন পরে।
      আসলেই হোটেল হোটেলই…। টাকা কামিয়ে নেয়ার মেশিন…

      Like

  3. হুদা ভাই ঠিক বলেছেন। চিকেন ফ্রাই তো কয়লা বানিয়ে ফেলেছে।
    আমিও বাইরে খাওয়া পছন্দ করিনা। ঘরে বাচ্চাও নেই যে তাদের আবদারে বাইরে খেতে হবে। মেয়ে মাঝে মাঝে জোর করে, কিন্তু আমি যাইনা।
    নিজের হাতে যাই রান্না করবো, তৃপ্তি করে খাবো, খাওয়াবো।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন,
      হা, আমিও তা মনে করি… বাসার রান্নাই সেরা… মনে খুলে খাওয়াও যায়… তৃপ্তি সহকারে…

      আসলেই চিকেন ফ্রাই গুলো আমার কাছেই কয়লাই মনে হয়েছিল। আমি বড় ভাইকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিলাম তিনি জানালেন, এট নাকি এমনি রান্না করে ওরা… তিনি আগেও এমনি খেয়েছেন…।

      শুভেচ্ছা।।

      Like

  4. বানান নিয়ে আর নয়। বানান ঠিক করতে যেয়ে যে ‘বানান’ দেওয়া হয়েছে, তাতে ‘মানান’ দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

    Like

    • হা হা হা…।। আরে এটা ব্যাপার না… আপনি আপনার মত এগিয়ে চলুন। লেখাই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে…। লেখালেখি বড় কথা।

      একদিন আসুন, ওয়ার্ডপ্রেস এর যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখিয়ে দেব…

      এখন কোথায় আছেন? ঢাকা না খুলনা।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  5. পিংব্যাকঃ খাবার দাবারঃ চট্রগ্রাম ২ | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]