বয়স যত বাড়তে থাকে তত নানান পদের তরু তরকারী মানুষের ভাল লাগে। বয়সের সাথে খাবার দাবারের একটা বিরাট সামাঞ্জস্য আছে। যে তরকারী ছেলে বা মেয়ে বেলায় খেতে চাই না তা বয়স বড়ে গেলে অনেক অনেক সুস্বাদু মনে হয়! আমি ছোট বেলায় করলা দেখলে পালিয়ে যেতাম আর এখন বলি, আহ করলা! শুধু করলা দিয়ে খেয়ে উঠে যেতে পারি এখন! চলুন, আজ একটা করলা ভাজি দেখি, সাথে আছে আমার করলাসুন্দরী!
করলাসুন্দরী। করলার অন্য এক প্রকারের ভাজি দেখতে এখানে ক্লিক করতে পারেন।
করলা কেটে পিস পিস করে পরিমাণ মত লবণ, সামান্য লাল মরিচ, সামান্য হলুদ এবং এক চিমটি গোল মরিচ দিয়ে ভাল করে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
একটা খোলায় কিছু তেল গরম করুন। গায়ে গায়ে তেল…।। লাল মরিচের একটা ঝাঁজ উঠতে পারে… রান্নাঘরের জানালা খুলে দিন… (যে কোন ভাজিতে সাবধান থাকবেন… তেলের ছিটা যেন গায়ে না লাগে…।।।)
এপিট ওপিট করে ভাজুন…।
কেমন ভাজি তা আপনি সিদ্বান্ত নিবেন…
ভাজি মনের মত হবার কিছু আগে কিছু পেঁয়াজ চার টুকরা করে করলার ফাঁকে ফাঁকে ভেজে ফেলুন… কাঁচা মরিচও দিতে পারেন…।
করলা দিয়ে পেঁয়াজ ঢেকে দিন…।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
সাদাভাতের সাথে কিংবা পোলাউ নিয়ে বসে পড়তে পারেন। ইয়া হাবিবী! বিলিভ ইট অর নট, ইট ইজ বেটার দ্যান চিকেন রোষ্ট!
(ইয়া খুদা, খুশিতে হালকা একটু ইংরেজি বলে ফেললাম এই যে, আপনারা মনে কিছু নিবেন না…।)
এত সহজ রান্না কি একবার নিজে করে দেখবেন না! চলুন…।
ফারুক বলছি।
রান্নাটা শিখে নেয়া যাক।
LikeLike
বেশ মজার রান্না। শিখে নিলে কাজের কাজ হবে…।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমরা স্বপরিবারে পড়লাম। আগামীকাল আমি ও আমার মেয়ে দুটি এটি বানিয়ে বউকে খাওয়াবো ইন্শাল্লাহ্। 🙂
LikeLike
শিবলী ভাই, মরিচের ঝাঁজ থেকে একটু সাবধানে রাখবেন ভাতিজীদের… তেলে ভাজির সময় সবার গায়ে যেন মোটা কাপড়ের এপ্রন থাকে… আমার গায়ে একবার ছিটা পড়েছিল, তাই আমি বেশি সতর্ক থাকি…
দেখা যাক ভাবী কেমন কমেন্ট করেন…। আমার শুভকামনা থাকল আপনাদের সাথে… ওরা এবার কোন ক্লাসে উঠল…।
শুভেচ্ছা…।
LikeLike
ki dekhailen.
khudha laiga gese
LikeLike
ধন্যবাদ বাঁধন ভায়া…।
আশা করি আপনিও এমন ভাল রান্না করতে পারেন…।
শুভেচ্ছা…
LikeLike
রান্না করলাম ,দারুন হয়েছে
তবে একটা পরামর্শ – পেয়াজের সাথে কয়েকটা রসুনের কোয়া দিলে taste টা আরো দারুন হবে
ধন্যবাদ রেসিপিটার জন্য
LikeLike
ধন্যবাদ সবুজ ভাই, আপনার রসুনের কথা আগামীতে মনে রাখব। আসলে রান্না হচ্ছে এমন একটা শিল্পের মত কাজ…। তুলিতে একজন শিল্পী যেমন ছবি আঁকে ঠিক তেমনি…। আমার চেষ্টা থাকে রান্নার বেসিক বা সহজ দিক গুলোর দিকে, আমি চাই যারা প্রবাসে কিংবা ব্যচেলার (মেসে থাকেন) তারা যেন রান্না করতে এগিয়ে আসেন… আমি নিজেও শিখছি (ছাত্র মাত্র)…
আপনার প্রতি ভালবাসা থাকল। যারা রান্না পছন্দ করেন আমি তাদের জন্য দোয়া করি সব সময়…।
মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন বলে আশা করি… স্বাগতম ও শুভেচ্ছা আবারো। ভাল থাকুন…
LikeLike
বাংলাদেশি যে কত ভাল ভাল সাইট আছে আমরা জানি না। সাইটা দেখে ভাল লাগলো।
LikeLike
ধন্যবাদ উপদেশ গুরু ভাই, আপনার কমেন্ট পড়ে মন ভরে গেল। আশা করি মাঝে মাঝে এসে নানান উপদেশ দিয়ে যাবেন। উপদেশ পেলে আগামী দিন গুলো আরো ভাল করব বলে মনে করি…। আমি হাসি মুখে তা মেনে নিব। শুভেচ্ছা…।
LikeLike
হুমম, গরম ভাত আর সাথে করলা ভাজি! দারুন লাগবে!
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই, আসলে প্রথম প্লেট এভাবেই চালান দিয়ে দেয়া যায়… হা হা হা…।
LikeLike
তিতার কারণে ভালো লাগে এই তিতা করলা। 😦
LikeLike
হা হা হা…। ভাল করে ধুয়ে পানি সরিয়ে নিলে তিতা লাগে না…। আর হালকা এক চিমটি চিনি দিলে কথাই নেই… তিতা কোথায় যে পালাবে…।।!
LikeLike
***তিতার কারণে ভালো লাগেনা এই তিতা করলা। 😦
LikeLike
রুমান ভাই, উত্তর উপরের কমেন্টে আছে…। হা হা হা…
করলা তিতা লাগার কোন কারন নাই…। রান্নায় একটু মনোযোগী হলেই তিতা মিঠা হয়ে যায়…।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আপনার টিপসটা কাজে লাগাবো। 😀
LikeLike
ধন্যবাদ রুমান ভাই।
LikeLike
এরকম ভাজি আমি প্রথমে খেয়েছিলাম আমার বেয়াইনের হাতে। ( মেয়ের শ্বাশুড়ী) উনি করলাকে চাক করে না কেটে মাঝখানে লম্বালম্বি ফালি করে কয়েক টুকরো করেছিলেন। আর নামানোর আগে গরম মসলা ও ভাজা জিরার গুড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন। আসলেই দারুন মজার!
LikeLike
ধন্যবাদ রান্নাতো বোন। বুঝতেই পারছি জিরার গুড়া ছিটিয়ে দিলে কেমন হবে…। এক করলাই যে কতভাবে রান্না করা যায়……। পুরাই বিজ্ঞান…। শিক্ষার শেষ নাই…।
শুভেচ্ছা…
LikeLike
তিতা করলা জীবনে দুইবার খেয়েছি।। একবার কোনমতে সহ্য হয়েছে, আরেকবার সহ্য করতে পারি নি। করলা সহ বমি, ফ্রীতে ছিল সকালের খাওয়া। এরপর আর কখনো খাওয়ার সাহস করি নি। আপনার পোস্টটা দেখে দেখি আরেকবার সাহস করে দেখবো। যদি হজম না হয় তাহলে কিন্তু লাইকটা ফিরাইয়া নিমু কিন্তু…:S
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আসলে রান্নার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু… তবে কিছু করলা আছে তা বেশ তিতা অনেকে আবার এই তিতা করলাই পছন্দ করে। বড় সাইজের করলা কখনোই তিতা হয় না…। উপরের রেসিপি অনুসারে একবার রান্না করে দেখুন… আমি নিশ্চিত আপনি আবার এসে আর একটা লাইক দিয়ে যাবেন…
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
আজ রাতে রান্না হবে… দেখি কেমন হয়।
LikeLike
পরিমাণ দেখে শুনে তবে স্টেপ গুলো মেনে চললে আমি আশা করি ভালই হবে… সাথে আমাদের শুভকামনা থাকল…। গুড লাক…।।
LikeLike
🙂
LikeLike
জীবনেও যেই করলা খাইতাম না সেই করলা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়া অমৃত মনে হৈতো। হলের ডাইল আর দোকানের আধপঁচা মাছ ভাজির ভিড়ে করলা এমনেই সেইরকম স্বাদের মনে হৈতো; কিন্তু ইয়া খোদা, এইটা কি কইলেন! রোষ্টের থেইকা ভালা!!!! অবশ্যই খাতি হবি..;)
LikeLike
ধন্যবাদ…
আসলে বয়স আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষায়।
একদিন নিজে রান্না করে দেখুন, কত মজার এবং কত আনন্দের তা আপনিই আমাকে বলে দিবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
সাহাদাত ভাই…..অসাধারণ…..আমার বউ কে বানিয়ে খাওয়াবো!!
LikeLike
ধন্যবাদ…। হা হা হা…। দেখে খুঁজে একটা সহজ রেসিপি বের করলেন! ভাবীকে ভাল কিছু রান্না করে খাওয়ান! তখন দেখা যাবে, কত ধানে কত চাল!
আশা করি সাথে থাকবেন… শুভেচ্ছা।
LikeLike
২০১২ সালের সেরা পঠিত পোষ্ট এটা। চমৎকার।
LikeLike
২০১২ সালের সেরা পঠিত পোষ্ট! আর এখানেই আমার কোন কমেন্ট নেই? আশ্চর্য!!
LikeLike
হা হা হা…।।
LikeLike
আমার মেয়ে করলা সুন্দরী! আমার মেয়ে করলা সুন্দরী এখন অনেক বড় হয়ে গেছে! আমি যখন রেসিপি লেখা শুরু করি, ওকে যা যেভাবে ধরতে বলতাম ঠিক সে সেভাবেই ধরত, বিশেষ করে করলা ভাঁজির একটা পোষ্টে তার ছবি সারা দুনিয়াতে অনেকের কাছে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিল, অনেকে আমার কাছে তার কথা জিজ্ঞেস করতেন। গতকাল আমেরিকা থেকে মাহামুদ ভাই ওর কথা জানতে চাইছিলো, ও এখন কোন ক্লাসে পড়ে! মাহামুদ ভাইয়ের এই মনে রাখা নিয়ে ভাবছিলাম ওর বর্তমানের একটা ছবি পোষ্ট করি। ও এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে, পড়াশুনার খুব ব্যস্ত। আহ, দিন কেমনে চলে যায়!😍 (আনাড়ি সেই করলা ভাঁজির পোষ্টের লিঙ্ক কমেন্টে দেয়া হল)
LikeLike