বাসায় আজকাল সবাই চিকেন ফ্রাই করেন। রাতে খাবারের সময় কিংবা বিকালের নাস্তায়। রাতে পলাউ রান্না হলে এবং সাথে যদি কোন ভেজিটেবল রান্না হয় তা হলে চিকেন ফ্রাই করলেই চলবে… সবাই আশা করি মজা করে খেয়ে উঠে যাবে। ছোট পরিবারের জন্য এ থেকে দেড় কেজি ওজনের একটা মোরগ/মুরগী হলে চলবে, তবে ফার্মের মোরগ হলে ভাল। ফ্রাইতে সবাই একটু মংশাল চাইবে!
যারা ফার্মের মোরগ খান না তাদের জন্য দেশী মুরগী! কিন্তু বর্তমানে দেশী মুরগীর দাম দেখেছেন! দুর্ভাগা দেশে সকল দেশী জিনিষের দাম বেশী। দেশী পেঁয়াজ, রসুন থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে! আর ইন্ডিয়ান, আহ না থাকলে যে আমাদের কি হত! যাক তবে, মুরগী আমাদের দেশীয় ফার্মের হলেও তার খাবার দাবারের অনেক কিছুই বিদেশী! ব্যাপার না! চলুন ফার্মের মুরগী ফ্রাই দেখে ফেলি।
মুরগী আপনার ইচ্ছা মত কেটে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। একটি পাত্র রেখে তাতে কিছু আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, সামান্য গুড়া মরিচ, সামান্য হলুদ গুড়া, হাফ কাপ টমেটো সস, এক টেবিল চামচ সয়াসস, এক চামচ চিনি ও পরিমাণ মত লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে/মাখিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য রেখে দিন।
ফ্রাই করার কিছু আগে, সামান্য কিছু ময়দা পাত্রে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুরগীর গোশতে ভাল করে লাগতে দিন।
অনেকটা এমন দেখাবে। এবার ফ্রাই ফ্যানে তেল নিন (ডুবো তেলেও ফ্রাই করা যেতে পারে)। গায়ে গাতে তেল হলেও চলবে।
তেল গরম হলে তাতে মুরগীর পিস গুলো ছেড়ে দিন। ফ্রাই করতে সাবধান, মনে রাখবেন যেন তেলর ছিটা যেন গায়ে এসে না পড়ে! হালকা তাপে এদিক ওদিক উলটা পালটা করে ভাল করে ভাঁজতে থাকুন। কিছু সময়ের জন্য একটা ডাকনা দিয়ে ডেকে রাখতে পারেন, এতে গোশত মজে যাবে।
ফ্রাই কেমন হবে সেটা আপনার ইচ্ছা।
তবে গোশতের ভিতরটা মজলও কিনা তা দেখে নিতে হবে। কাঁচা থাকলে চলবে না।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। যার যা ইচ্ছা নিন।
প্রবাসী ব্যচেলার ভাই/বোনদের কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা রান্না করতে ইচ্ছুক বা আগ্রহী তাদের বলছি, রান্না আসলে একটা ধৈর্য ও ভালবাসা। প্রতিটা রান্না সব সময় ভাল হবে তা কিন্তু নয়। প্রথম যে রান্নাটা রাঁধবেন তা ভাল নাও হতে পারে, কিন্তু এর পরবর্তী রান্নাটা অবশ্যই ভাল হবেই হবে। রান্না যেহেতু একটা প্যাক্টিক্যাল বিষয় তাই যত সাহস নিয়ে রান্না করবেন তত বেশী স্বাদ এবং সহজ হয়ে যাবে। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, কি দেয়া/করা দরকার ছিল। আমিও শিখছি, রান্না শেখার শেষ নেই! মাঝে মাঝে মনে হয় এটা আইটি বা ডাক্তারী বিষয়, মরার আগের দিনও শিখতে হবে!
সবাইকে শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।
(এই রেসিপিটা আমাদের অনেক আগের লেখা, চিকেন ফ্রাইয়ের নুতন রেসিপি নিম্মের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখার আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম)
রেসিপিঃ চিকেন ফ্রাই (নেটে সব চেয়ে বেশী খুঁজে দেখা রেসিপি!)
সোনামনিদের জন্য উইং ফ্রাই দেখে যাবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
রেসিপিঃ চিকেন উইং ফ্রাই (সোনামনি স্পেশাল)
(Updated From Photobucket to Google)
রান্নাতো ভাই চিকেন ফ্রাইএর চিকেনের টুকরো গুলো মসলা মাখানোর আগে হাড়ের জয়েন্টগুলো একটু ছেঁচে তারপর ভালো করে ধুয়ে চিপে নিয়ে মসলা মাখিয়ে ভাজলে ভাজার সময় রক্ত/মজ্জা বের হবেনা। ঐ রক্ত/মজ্জা বের হলে ফ্রাইটা বেশী করতে হয়। আর তাতে করে মাংসটা পোড়া পোড়া হয়ে যায়।
আমি ২৪ বছর আগে চাইনিজ রান্নার কোর্স করেছিলাম। তখন এটা শিখেছি। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ রান্নাতো বোন। আপনার কমেন্টটা আজীবন মনে থাকবে… যখন এই ধরনের ভাজি করতে যাব!
শুভেচ্ছা। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।
LikeLike
দেখেই মজা পাইলাম।
LikeLike
ধন্যবাদ সুজন ভাই। আশা করি একদিন নিজে চেষ্টা করে দেখবেন…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
wow..my kids always love this..thanks fr sharing
LikeLike
ধন্যবাদ রওশন ভাই। শিশুদের প্রতি আমার ভালবাসা অন্যরকম। আসলে আমরা যদি তাদের জন্য একটা সুন্দর দিন গড়ে না দেই তবে তারা কি শিখবে…
শিশুদের জন্য আমার অনেক রেসিপি আছে… দেখে যাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম…
আর একটা কথা না বলে পারছি না, পিতা যদি রান্না করে তবে কিন্তু শিশুরা আরো বেশী খুশি হয়… আপনি যদি রান্না করেন তবে তা বুঝতে পারবেন।। আমি রান্নাঘরে গেলে আমার ছেলের চোখ আমি দেখি, ও খুশিতে নাচতে থাকে!
আমরা পিতারা অনেক কিছুই করি বটে তবে এই রান্না করে একবার দেখুন আপনার শিশুরা আপনার সাথে কি আচরণ করে… খাবার শেষে ওরা আপনাকে জড়িয়ে ধরবেই…
কমেন্ট করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। ভাতিজা/ভাতিজীদের প্রানঢালা ভালবাসা…।
LikeLike
আমার প্রিয় একটা ডিশ। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ রুমান ভাই। আপনার সাথে একদিন খেতে বসতেই হবে দেখছি… হা হা হা… আগামী কিছু দিনের মধ্যে একবার চট্রগ্রামে বেড়াতে যাব বলে ভাবছি…। আশা করি দেখা হয়ে যাবে…।
LikeLike
আমিও একটা রকম বলি। মাংসে আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ বাটা হোলে ভাল, না হলে শুকনা মরিচ এর গুঁড়া, গরম মশলার গুঁড়া, সয়া সস, লবন দিয়ে মেখে নিন। পলেথিন এর ব্যাগে খানিকটা শুকনা ময়দা নিন। তাতে মাখান মাংস ঢেলে ব্যাগের মুখ হাতের মুঠোয় চেপে ঝেকে নিন। এবার ময়দা মাংসের বেচে যাওয়া পানি ও প্রয়োজন মত পানি দিয়ে ঘন করে গুলে নিন। এবার শুকনো ময়দা মাখানো মাংস এই গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন ফারহানা…। আসলে রান্না যে একটা শিল্প তা আপনার কমেন্টে প্রমান হল আবার। আসলেই…। দুনিয়ার প্রতিটা রান্নাই ইউনিক রান্না…।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন… কিছু বলার থাকলে বলবেন।। আমিও শিখছি আরো শিখতে চাই… আমাকে অনেকে রেসিপি পাঠান, আমি তা দেখে রান্না করেও পোষ্ট দেই… আশা করি আপনি আপনার পছন্দের একটা সহজ এবং হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন উপকরণ দিয়ে একটা রেসিপি পাঠাবেন… আমি রান্না করতে চেষ্টা করব।।
শুভেচ্ছা থাকল…।
LikeLike
ভাল লাগলো বেশ। বিশেষ করে শেষের প্যারাতে যা লিখেছেন।
সুস্বাদু পোস্টে সুস্বাদু ভাল লাগা।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই। আপনার কমেন্ট আমাকে উৎসাহ দেয়…
আমি সত্য গল্প বলার চেষ্টা করি মাত্র…। শুভেচ্ছা।
LikeLike
অতি চমৎকার কাজ করেছেন। প্রচন্ড রকমের সাজানো আর গুছানো হয়েছে আপনার সাইট ।
LikeLike
ধন্যবাদ দস্যু ভাই। আপনার আগমনে যারপর নাই খুশি হলাম…। আপনি অনুপেরনা হয়ে থাকবেন… মাঝে মাঝে আসলে খুশি হব…।
শুভেচ্ছা…
LikeLike
its fantastic
LikeLike
ধন্যবাদ হক ভাই।
LikeLike
আমার ফুপি খুব দারুন ফ্রাই করেন কিন্তু ওনার বাসায় যাওয়া হয় না অনেকদিন, শেখাও হয়নি, অনেক ধন্যবাদ ভাই 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ নির্মক্ষিক ভায়া। অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। ভাল লাগল।
আশা করি মাঝে মাঝে দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
চার মাস আগের চিকেন ফ্রাই!! আমার কাছে তো একেবারে টাটকা মনে হচ্ছে! আগে চোখে পড়েনি, দেখতে পেলে সবার আগে খেয়ে ফেলতাম সব, কাউকে একটুও দিতাম না।
LikeLike
হা হা হা…।
LikeLike
কিন্তু মাংস কি ভাবে নরম হবে ?
LikeLike
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৪ নং ছবির নীচে বলে দেয়া আছে।
[তেল গরম হলে তাতে মুরগীর পিস গুলো ছেড়ে দিন। ফ্রাই করতে সাবধান, মনে রাখবেন যেন তেলর ছিটা যেন গায়ে এসে না পড়ে! হালকা তাপে এদিক ওদিক উলটা পালটা করে ভাল করে ভাঁজতে থাকুন। কিছু সময়ের জন্য একটা ডাকনা দিয়ে ডেকে রাখতে পারেন, এতে গোশত মজে যাবে।]
ঢাকনা দিয়ে রাখলে মাংস নরম হয়ে যায়। তবে আগুনের জ্বাল আস্তে দিতে হবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
easy & nice…..
LikeLike
ধন্যবাদ জাভেদ ভাই।
LikeLike
Aj k try korlam..lobon ta kom holo..
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। হা হা হা…। চেষ্টা করেছেন জেনে ভাল লাগল। আগামীতে আরো ভাল হবেই। আমি এখনো শিখছি। রান্না একটা বিরাট শিল্প।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Now its 11:30 pm in BD. trying your way of frying chicken. me and my daughter love this……. wish u all the best. hope to invite u someday……allah hafez.
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার এই কমেন্ট পড়ে চোখে পানি এসে গেল। আমাদের দাওয়াত করতে ইচ্ছা করছেন তাতেই আমরা খুশি। আপনার দাওয়াত পেয়ে গেছি।
আপনাদের জন্য দোয়া করি। ভাল থাকুন। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি কাঁচামরিচ পেস্ট দেই। পেঁয়াজ বাটা, গুড়া মরিচ, গুড়া হলুদ দেই না। বৃষ্টির দুপুরে আপনার করা চিকের ফ্রাই দেখেই ভালো লাগছে।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
বাসায় আমার ছোটভাই টা অসুস্থ , সর্দি- জ্বর এ ভুগছে । একদিন আপনার এই রেসিপির কথা বলেছিলাম তাকে । সে আজ আমায় বললো এটা করার জন্য । আজ এ প্রথম করলাম খুব মজা হয়েছে । সত্যি কথা বলতে কি এর আগে আমি চিকেন ফ্রাই বলতে বেসন এ ডুবিয়ে ভাজা টাই করতাম ওটা যেমন ঝামেলা তেমন খেতে খুব একটা মজা নেই । আজ আপনার রেসিপির মত করলাম ( হাতের কাছে সস ছিল না অটা বাদ দিয়ে ) । খুব মজা হয়েছে । নতুন কিছু শিখলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার কমেন্ট পড়ে ভাল লাগল। আপনার ছোট ভাইয়ের সুস্থ্যতা কামনা করছি।
আপনি ভাল থাকুন। আশা করছি মাঝে মাঝে দেখে যাবেন।
LikeLike
ekhaneo chobi nei!!!!
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
এখন সব গুলো পোষ্টে ছবি দেখা যাচ্ছে। ফটোব্রাকেটের সমস্যার জন্য এটা এমন হচ্ছে। যাই হোক, আগামী বেশ কিছুদিন এই সমস্যা হবে না, আমরা ছবি সরানোর কাজ শুরু করেছি তবে এটা সহজ নয় বলে আমাদেরও দেরী হচ্ছে।
তবে এখন যেহেতু সব ছবি দেখা যাচ্ছে, আপনি হাতের কাছে প্রিন্টার থাকলে আপনার পছন্দের রেসিপি গুলো প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
LikeLike
আচ্ছা, আমরা যেই ফ্রাইড চিকেনটা KFC বা BFCতে খাই সেটার আইটেমটা কি আপনার জানা আছে? জানা থাকলে অতিসত্বর সেটা নিয়ে পোস্ট চাই। ধন্যবাদ।
LikeLike
জামীল ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি দেশী খাবার বা আমাদের খাবার দিতে চাই সব সময়ে। কে এফ সির রেসিপি দিতে যা যা দরকার তা আমাদের দেশে নেই, থাকলেও রসুন ও পেঁয়াজ পাউডার কোথায় পাই। আমার কাছে অন্য সব আছে এমন কি পাপড়িকা (এটা কাপ্সিকাম এর গুড়া)ও আছে। যাই হোক আপনাকে একটা লিঙ্ক দিলাম। দেখে নিতে পারেন, খুব সহজ। আমিও সব হাতের কাছে থাকলে একদিন বানাবো। শুভেচ্ছা। http://www.youtube.com/watch?v=PTUxCvCz8Bc
LikeLike
জামীল জাকারিয়া ভাই,
নিন্মের লিঙ্কে কে এফ সি কে দেশি ভার্সানে রুপান্তরিত করেছি! হা হা হা… আপনিও দেখে নিতে পারেন। নাম ‘চিকেন ফ্রাই’ ই থাকুক!
শুভেচ্ছা আবারো।
LikeLike
বন্ধুরা এখানে নুতন আর একটা চিকেন ফ্রাই এর রেসিপি আছে, আপনাদের আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম। সুযোগ পেলে আশা করছি দেখে নেবেন।
LikeLike
ভিডিও
LikeLike
ভাইজান, কিছু বুঝতে পারলাম না।
আমরা মনে করি আমাদের এইভাবে ছবি দিয়ে রেসিপি ভিডিও থেকেও বেশি কার্যকর। হা হা হা।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike