গ্যালারি

রেসিপিঃ ডো/খামির/ময়ান (পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন খুব সহজেই)


আজ আপনাদের একটা ময়দা দিয়ে খামির/ময়ান বা ডো দেখাবো। যা দিয়ে আপনারা খুব সহজে পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন। ইতিপূর্বে চতুর্মাত্রিক ব্লগে নানরুটি রেসিপিটা (লিঙ্ক পোষ্টের নীচে দেয়া হল) বেশ জনপ্রিয় পোষ্ট হয়েছিল। কাতার থেকে এক বোন উক্ত রেসিপির জন্য আমাকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন যা মরার আগে ভুলা সম্ভব নয়! তিনি বাসায় নান রুটি বানিয়ে স্বামী সন্তানের কাছে বেশ বাহবা পেয়েছেন।

আজ কাল নেটে অনেকেই রেসিপি খুঁজেন। অনেক বাংলাদেশী বাঙ্গালী সারা পৃথিবীতে আছেন যারা আমাদের খাবার গুলো খেতে চান কিংবা বিদেশী খাবার গুলোর সহজ রেসিপি চান যাতে করে বাসায় বানাতে পারেন। হা, এর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমাদের মানে আমি ও আমার ব্যাটারী মনে করি, এতে যদি আপনাদের সামান্য উপকারও হয় তবেই আমাদের খুশি। রান্না আসলে একটা ভালবাসার নাম। যারা ভাল রান্না করেন, তাদের সন্মান আখেরাতেও হবে বলে আমি মনে করি।

চলুন ময়ান/খামির বা দো দেখে নেই। হাত দিয়ে একটু বেশী মলে মলে খামির নরম করতে হয় এই যা। এতে হাতের শক্তির একটু বেশী ব্যবহার, এই যা!

উপকরণঃ
– ২ কাপ ময়দা
– ২ চা চামচ ইষ্ট (ইষ্ট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, কুসুম গরম পানিতে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে)
– ২ চা চামচ চিনি
– ২ টেবিল চামচ গুড়া দুধ
– ২ টেবিল চামচ খাঁটি তেল বা ঘি (ঘি না থাকলে নাই)
– লবণ পরিমাণ মত।
– পানি পরিমাণ মত।

প্রণালীঃ

ছবি ১ – তেল ছাড়া বাকী উপকরণ গুলো সব একটা পাত্র নিন।


ছবি ২ – হালকা গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে মিশিয়ে কাই করতে থাকুন।


ছবি ৩ – ঠিক এই পর্যায়ে আসার আগে তেল মিশিয়ে ভাল করে মাখতে থাকুন।


ছবি ৪ – একটা পাত্রে কিছু গরম পানি করে (চুলা নিবিয়ে) পাত্রের উপরে বানানো ময়ান রেখে দিন। প্রায় আধ ঘণ্টা পানির তাপে রাখলে খামির/ময়ান ফুলে উঠবে। ফুলে উঠা দেখে বুঝা যাবে সঠিক ভাবে ময়ান/খামির/ডো হল কি না।


ছবি ৫ – দেখেই বুঝা যায়। ব্যস, এই হয়ে গেল খামির, ময়ান বা ডো। এবার আপনি আপনার ইচ্ছা মত পিজা, বনরুটি বা টিফিনরুটি বা বেলে খোলায় দিয়ে নান রুটি বানাতে পারেন। একবার চেষ্টা করে দেখুন না, কত মজার নিজ হাতে নিজে পিজা বানিয়ে খাবার কত আনন্দের!

পিজা বা টিফিন রুটির নমুনা দিয়ে গেলাম। রেসিপি আসছে সামনে।

ছবি ৬ – পিজা খেয়ে আমার ছেলে এতই খুশী হয়েছিল যে, বলল বাবাঁ, ফাষ্ট ফুডের দোকান থেকে ভাল হয়েছে! আমার কথা হচ্ছে, বাসার খাবার বিশুদ্ব ও নিরাপদ।


ছবি ৭ – চমৎকার তামাটে রং!


ছবি ৮ – নানরুটি বেশ মজার।

* পিজা এবং বনরুটিতে ইলেকট্রিক মাইক্রোওভেন প্রয়োজন কিন্তু নান রুটিতে সাধারণ তাওয়ায় বানাতে পারেন।

রেসিপিঃ নানরুটি (সকাল/বিকালের নাস্তায়) নানরুটির খামিরে শুধু গুড়া দুধ দেয়া হয় নাই মাত্র।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

(photobucket to google)

39 responses to “রেসিপিঃ ডো/খামির/ময়ান (পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন খুব সহজেই)

  1. ব্যাপকঝঝঝ!!!
    আমরা সবাই রাজা – এইরকম একটা ভাব আসতছে!
    এই ব্লগটা আমার আম্মুকে একবার দেখিয়ে দিলেই হবে। আপনার একনিষ্ঠ পঠকের সংখ্যা আরও একজন বাড়বে।

    Like

    • ডাক্তার ভাই, আমার মনে হয় গন যে বাংলা ব্লগে গুলো আছে তারা এখন মার খেয়ে যাবে… সামু ছাড়া আর কেহ টিকতে পারবে না! হা হা হা…। আমি ইতি মধ্যে বেশ জমিয়ে গেছি…

      অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় ওয়ার্ড প্রেস ব্লগ অনেকটা ব্যক্তিগত মোবাইলের মত, সবার একটা করে থাকবেই। আমার রেসিপি ব্লগটা বেশ জমিয়েছে… প্রতিদিন প্রচুর ভিজিটর আসছে।

      খালাম্মাকে সালাম দিবেন। এবং আমি আশা করি আমার এই রেসিপি ব্লগ আপনি নিজে বসে উনাকে একবার দেখিয়ে দিবেন…। তিনি দেখে কি বলেন তা জানতে আশা নিয়ে বসে থাকলাম…।

      শুভেচ্ছা…।

      Like

  2. সঠিক ভাবে ডো করাটা আসলেই অনেক ঝামেলার। বিশেষ করে যারা আগে করেন নি। আপনার এই পোস্টে সেটা পানির মত পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইউ আর রক্স মাই ডিয়ার কুকিং ব্রাদার! 😀

    Like

  3. বাহ! এখন থেকে যারা এই সাহাদাত ভাইয়ের ব্লগটি পড়বে তাঁরা নিজেরাই বাসায় বানাতে পারবে এসব খাবার। বাসার খাবার যত কিছুই হোক না কেন সত্যি অনেক নিরাপদ। পৃথিবীর নামী দামী বেশ কিছু দেশেই যাতায়াতের সুবাদে অনেক নামী দামী হোটেলে খাওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু বাসার রান্নার মতো স্বাদ আর কোথাও নেই।

    অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সব রেসিপি আমাদের উপহার দেবার জন্য।

    Like

    • ধন্যবাদ দাইফ ভাই, আমার রেসিপি লেখার উদ্দেশ্য আজ সফল বলে মনে হচ্ছে। আপনার কমেন্ট পড়ে আমি আনন্দিত।

      নানা ব্লগে আমি নানান বিষয় নিয়ে লিখি। তবে এখন নিজকে মনে হচ্ছে আসলে আমার ব্লগে লিখার বিষয় হচ্ছে একমাত্র, রেসিপি এবং রেসিপি। রেসিপি লিখে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি তা লিখেই একটা বই বের করা যাবে। কত ভালবাসা এই রেসিপিতে আছে তা আপনার কমেন্টেই বুঝা যায়। আমার প্রচেষ্টা থাকে ব্যচেলার এবং প্রবাসীদের রান্না দেখিয়ে দেয়া (যদিও আমিও এখনো শিখছি)। আমি নিজে প্রবাসী ছিলাম, রান্না না জানার কারনে কত দিন না খেয়ে থেকেছি তা এখনো মনে পড়ে।

      আপনাকে আবারো শুভেচ্ছা। আশা করি আগামীতেও আপনাকে সাথে পাব…।

      Like

  4. আর আমরা সত্যি ভাগ্যবান যে এমন চমৎকার রান্নাবান্নার উপর একটি বাংলা ব্লগ আপনি তৈরি করেছেন শুধুমাত্র আমাদের জন্য (হোক না প্রবাসী বা ব্যাচেলর বা যেকোনো পরিবারের জন্য )।

    সব সময়ের জন্যই শুভকামনা রইল সাহাদাত ভাই।

    Like

    • ধন্যবাদ দাইফ ভাই। এখানে আমার রেসিপি ব্লগ লিখার সার্থকতা, আপনার কমেন্ট আমার সেই আশা পূর্ন করল।

      আমাদের ভাষা বাংলা, বাংলা ভাষায় কখনো কম্পিউটার এ কিছু লিখতে পারব তা কখনো চিন্তা করি নাই। অভ্র আমাদের সে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। আমি প্রথম ধন্যবাদ দেই অভ্র এবং মেহেদী হাসান ভাইকে…। যার কারনে আজ আমরা বাংলা লিখতে পারছি…

      আর বাংলায় লিখা যে কোন কিছুই জনপ্রিয় হবেই…। আমরা এখন পড়ছি অনেক…

      শুভেচ্ছা দাইফ ভাই…

      Like

  5. বাড়ি গিয়ে করতে হবেই হবে

    Like

    • আসলেই বোন, এটা একটা চমৎকার খামির। এই খামির দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়। সামান্য বদলিয়ে কত কিছু বানানো যায়!

      এই খামির দিয়ে বেশ কিছু রেসিপি হাতে আছে। আশা করি সামনের দিকে দিয়ে দেব।

      বাসায় নান রুটি বানিয়ে সবাইকে আশা করি তাক লাগিয়ে দেবেন। এবার আমরা গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে প্রায় ৪০ জনকে এই নানা খাইয়ে বেশ সুনাম কামিয়েছি। ছবি গুলো আছে, একটা পোষ্ট দেব বলে ভাবছি…।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  6. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ পিজ্জা (ছোট সোনামণিদের জন্য) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  7. পিজ্জার রেসিপি দেখতে হলে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।

    রেসিপিঃ পিজ্জা (ছোট সোনামণিদের জন্য)

    Like

  8. ধন্যবাদ আমি আজই বানাবো।

    Like

  9. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ টিফিন বনরুটি/ বার্গার বনরুটি | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  10. এটাকেও বানিয়ে দেখবো !

    Like

  11. Brother, give us receipe of porota. Thanks.

    Like

  12. আপনার রেসিপি টা পড়লাম অনেক ভাল লাগল।এখন নানরুটির জন্য ময়ান বানিয়ে দেখছি, দোয়া করবেন। বিসমিল্লাহ………….

    Like

  13. খুব ভালো

    Like

  14. ভাই, আমি আফগানি তামিজের খামির এনে পিজা বানিয়ে ছিলাম। মোটামুটি হয়েছিল । এখন ইনশাল্লাহ পুরাপুরি হবে।

    Liked by 1 person

  15. এতদিনে খামি বানানোর রহস্যটা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই। 🙂

    Liked by 1 person

  16. মানুষ একসঙ্গে আসা এবং মতামত শেয়ার করুন যখন ধন্যবাদ সত্যিই আমি এটা পছন্দ .. মহান নিবন্ধ হয়েছে. গ্রেট ওয়েবসাইট

    Liked by 1 person

  17. তেল কখন এবং কিভাবে ব্যবহার করব?

    Liked by 1 person

  18. ভাইয়া ইষ্ট টা কি ছবি ১ এ নাকি ২ এ দিলেন?

    Liked by 1 person

  19. ভাই আপনাকে ধন্যবাদ, কিন্তু একটা সমস্যা হল, আমার পিজার নিচটা ভেজা ভেজা থাকে | আমি ডানাজ এর ইলেকট্রিক ওভেন 210 ও 15 মি: রাখি। উপরের অংশ হাট হয়ে যায়

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]