গ্যালারি

খাবার দাবার – পাঁচতারা কিংবা গ্রামবাড়ী!


খাবার দাবার এমন একটা বিষয় যে, না খেলে নয়! না খেয়ে ১ দিন, ২ দিন, ৩ দিন – তারপর কিন্তু মরেই যেতে হবে! হা হা হা… দুনিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি, অনেক কিছু দেখার বাকী! আবার ভাবি কত কিছু না দেখেই এই সুন্দর দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে! যাইহোক, খাবার দাবার কিন্তু এলাকা এবং আবহাওয়া ভেদে হয়। একজন মানুষ বা গোষ্ঠী যে এলাকায় মানে যে আবহাওয়ায় থাকে তাকে সেই রকম খাবার দাবার খেতে হয়। আমরা যে খাবার খাই তা যদি একজন ঠাণ্ডার দেশের লোক খায় তবে বেশী দিন বাঁচবে না। আবার মিডল ইষ্টের মুখমাফি আরবেরা যদি আমাদের খাবার খেত তবে সারাদিন শুয়ে বসে কাটাবে! এ দিকে আবার মানুষ ছোট বেলা থেকে যা খাবার খায় তা মৃত্যু পর্যন্ত ভালবাসে এবং তা খেতে চায় আজীবন!

ঢাকার মোটামুটি ৫ তারা হোটেল (বুফে কিংবা ওর্ডারে) থেকে ফুটপাতে ইটালিয়ান, অনেক হোটেলেই আমি খাবার খেয়ে দেখেছি। কিছু খাবার একদম প্রায় সব হোটেলেই পাওয়া যায়, তা হচ্ছে বেগুন ভর্তা বা ভুনা, আলু ভর্তা এবং টমেটো ভর্তা। পরিবেশনের হালচাল এক এক জায়গায় এক এক রকম হলেও দেখতে এবং স্বাদ আমার কাছে একই মনে হয়েছে, যা আমরা বাসাবাড়ীতে খেয়ে আসছি। কিছু দিন আগে চান্স পেয়ে রেডিসনের বুফেতে খেয়েছিলাম! আলু ভর্তা, টাকি মাছ ভর্তা! কত কি! ইয়া খুদা, এ যে দেখছি একদম বাসাবাড়ীর খাবার! (আফসোস, ক্যামেরা না থাকায় ছবি তুলতে পারি নাই)।

আজ নেটে বসে নানান হোটেলের খাবার দাবারের ছবি দেখছিলাম, এক বন্ধুর জি প্লাসে কত গুলো ছবি পেলাম। আমাদের ৫তারা হোটেলের বুফের ছবি! আমার চোখ পড়ল, বেগুন ভর্তা আর টমেটো ভর্তা উপর!

কথা হচ্ছে, ৫ তারা হোটেলে গিয়ে কেন এত টাকা দিয়ে মানুষ বেগুন কিংবা টমেটো ভর্তার মত খাবার খায়! সবই আসলে উপরওয়ালার মেহেরবানী এবং সুষম খাদ্য বণ্টন! টাকা ওয়ালা লোক গুলো যদি প্রতি বেলায় স্বর্ন/সোনা খেত তবে দুনিয়ার অবস্থা কি হত, ভাবুন!

একজন ধনী/দামী/ক্ষমতাবান মানুষ বেশী খেতে পারে না বলে আমাদের সমাজ এখনো ভাল আছে, দুনিয়াতে মানুষ এখনো বেঁচে আছে! না হলে আমাদের খবর ছিল!


আমাদের বাসা বাড়ীর বেগুন ভর্তা।


আমাদের বাসাবাড়ীর টমেটো ভর্তা।


হোটেল সোনারগাঁয়ের বেগুন ভর্তা এবং টমেটো ভর্তা! একদম খাঁটি বিশুদ্ব! ভেজাল ছাড়া! (ছবিঃ নেট বন্ধু থেকে)

আপনারা কি বলেন?

6 responses to “খাবার দাবার – পাঁচতারা কিংবা গ্রামবাড়ী!

  1. দারুন লিখেছেন ভাই। আর খাবারের কথা কি বলবো বুঝে পাচ্ছিনা। শুধুই লোভ হয়। হাহাহা…

    Like

  2. যে টাকা খরচ করে ঐসব হোটেলে একজন খাওয়া যাবে তা দিয়ে ঘরে বানালে পরিবারের সবাই মিলে ২/৩ দিন খেতে পারবে। কি বলেন রান্নাতো ভাই?

    Like

    • হা, আমার তাই মনে হয়…।
      কয়েকদিন আগে আমি এবং ব্যাটারি মিলে ঘরে পিজা বানালাম! আগামীতে রেসিপি দিব… বিশ্বাস করুন এমন একটা পিজা ঢাকায় কমের পক্ষে ৭০০ টাকা হবে, কিন্তু আমাদের মনে হয় ১০০ টাকাও খরচ হয় নাই! আর সব কিছু ছিল পিউর, নো ক্যামিক্যালস! হা হা হা।।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  3. পোস্টের কথাগুলো খুব সুন্দর লিখেছেন সাহাদাত ভাই। কি বলবো বুঝতে পারছিনা।
    বাসায় তৈরি ভর্তার ছবিগুলো বেশ ভাল আর লোভনীয় লাগলো।

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]