আপনি বাসায় আছেন কিন্তু পেটের অবস্থা কি খাব, কি খাব! বিকালে বাচ্চারাও আছে, তাদের কথাও ভাবছেন। নাস্তা হিসাবে কিছু না কিছুতো সামনে হাজির করতেই হবে! শিশু কিশোররা সব কিছু খেতে চায় না, প্রয়োজনে (!) না খেয়ে বসে থাকে তবু পছন্দের খাবার না হলে সেদিকে মুখ করে না। ঘরে তেমন কিছু নাস্তা বানানোর সামগ্রীও নাই, বাইরে বের হবার উপায়ও নাই, মানে টাকা কড়ি তেমন একটা সুবিধায় নেই! চিন্তা কি! ঘরে নিশ্চয় মুশরী ডাল আছে। কিছু মুড়ি তো থাকেই! চলুন, মুশরী ডাল দিয়ে সহজে পেয়াজু বানিয়ে মুড়ী দিয়ে খেতে পারেন। আমি নিশ্চিত, হঠাত এমন খাবার পেয়ে আপনার শিশুও বেশ পছন্দ করবে।
উপকরণঃ
– দুইকাপ (চা কাপ/কম বেশী হতে পারে) মুশরী ডাল
– হাফ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি
– এক চিমটি লাল মরিচ
– সামান্য হলুদ
– এক চিমটি লবন (পরিমান বুঝে)
– দুইটা কাঁচা মরিচ
– ভাঁজার জন্য তেল
প্রনালীঃ
মুশরী ডাল ভিজিয়ে পাটা পুতায় বেটে নিন কিংবা গ্রাইন্ড করে ডালের পেষ্ট বানিয়ে নিন (গ্রাইন্ড করে পেষ্ট করাই উত্তম)। বাকী উপকরণ গুলো দিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে চা চামচ দিয়ে পিস পিস করে তুলে কড়াইতে ছেড়ে দিন।
ডুবো তেলে ভাজতে হবে, তবে বেশী তেল নয়।
ভাজি কেমন হবে তা আপনি নিজে দেখে নিবেন। পোড়া পোড়া নাকি হালকা।
মন মত হলে উঠিয়ে নিন।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। অর্ধেক পেয়াজু, এক মুট মুড়ি। মুখে দিয়ে চিবিয়ে দেখুন, কি মজা।
পরিবেশনে ভাল দেখালে শিশুরা খেতে না করবে না। শিশুদের জন্য মরিচ তুলে রেখে ভাঁজতে হবে। খেয়ে উঠার পর যে কোন ঠান্ডা পানীয় (শরবত) পরিবেশন করা যেতে পারে। বড়দের জন্য এক কাপ গরম গরম চা! আহ…
স্বতঃপূর্তভাবে নিজে দাওয়াত নিয়ে নিলাম আপনার হাতে বানানো পেঁয়াজু খাওয়ার জন্য। কবে আসবো বলেন? 😀
LikeLike
হা হা হা…। ধন্যবাদ রুমান ভাই। এ আর কি! অতি সাধারণ ব্যাপার। শুভেচ্ছা।
LikeLike
😀
LikeLike
মুড়ি,ছোলা আর গরম গরম পেঁয়াজু! আহ, আর কি চাই!
আগে বন্ধুরা মিলে বানাতাম পেঁয়াজু বাসাতে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো।
ধন্যবাদ এবং ভাল লাগা রইল।
LikeLike
দাইফ ভাই, হুদা ভাই আমাকে বলেন প্রকৃত খাদক, আমি বলি না – আমাদের দাইফ ভাই আছে না! হা হা হা।।
(দেরীতে উত্তর দিলাম, আগে চোখে পড়ে নাই!)
LikeLike
হা হা হা। খাদক হওয়াতেই জীবনের স্বার্থকতা, হা হা হা।
LikeLike
দাইফ ভাই, আপনার সাথে একমত। তবে মানুষের জীবনে কে কি খেতে পারবে তা কিন্তু নিদিষ্ট হয়ে আছে! চাইলেও বেশী খাওয়া যায় না!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটা সত্যি কথা বলেছেন সাহাদাত ভাই।
এখন তো কেউ শখ করলেও সন্তানকে সব কিছু তৈরি করে দিতে পারেনা। এক হচ্ছে জিনিস পত্রের মূল্য, দুই হচ্ছে খাদ্যে ভেজাল। সব দেশেই খাদ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়, শুধু আমরাই পারিনা কিছু করতে।
LikeLike
স্বল্পাহার দীর্ঘ সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি!
LikeLike
সত্যি কথা বলে সরাসরি লজ্জায় ফেলে দিলেন হুদা ভাই, হা হা হা।
তবে এখন খাওয়া দাওয়া পরিমান মতই করা হচ্ছে।
LikeLike
গতকাল বিকেলেই পিঁয়াজু বানিয়ে খেলাম।
চামচ ব্যাবহার না করে হাতে নিয়ে তেলে ছাড়ার সময় বুড়ো আঙ্গুলের আকটু চাপ দিয়ে ছাড়বেন। দেখবেন কেমন মচমচে হয়। রাত দশটায় ভাতের সঙ্গে খাওয়ার সময়ও মচমচে থাকবে।
LikeLike
আমি তেল ছিটা পড়ার ভয়ে চামচ ব্যবহার করেছি! আমার কয়েকবার তেল ছিটে পড়েছে। এখনো ভাল করে শিখতে পারি নাই।
নেক্সট টাইম আপনার কথা মনে রাখব। শুভেচ্ছা।
LikeLike
চরম
LikeLiked by 1 person
ধনব্যাদ আপনাকেও।
LikeLike