গ্যালারি

থানকুনি পাতার সহজ ভর্তা


লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ৯:৫৬ অপরাহ্ন)

থানকুনি (বানান ঠিক আছে কিনা বলতে পারছি না) পাতার ভর্তা। অনেক ছোট বেলায় আমার দাদু মুশরির ডাল দিয়ে এই থানকুনির পাতা রান্না করতেন, আম্মাও মাঝে মাঝে বছরে দুই একবার রান্না করতেন, আমার মুখে এখনো সেই স্বাদ লেগে আছে। বাজারে থানকুনির পাতা খুব একটা চোখে পড়ে না। গত কয়েকদিন আগে হঠাত ধনিয়া পাতা কিনতে চোখে পড়ল। কিন্তু বেশ বড় বড় পাতা আর ভাবসাব দেখে মনে হল, সার দিয়ে জোর করে পাতা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। ডাল দিয়ে রান্না করার ইচ্ছা থাকলেও আপাতত ইচ্ছা বন্ধ রেখেছি। থানকুনি পাতা দিয়ে আম্মা একটা ভর্তা বানাতেন, আপাতত সেটা বানিয়ে থানকুনি পাতা কেমন লাগে তা পরীক্ষা করতে লেগে গেলাম। বেশ ভাল লাগল। আমার ব্যাটারী খাবার শেষে জানালেন, এই ভর্তা না হলে ভাল খেতে পারতেন না! বলেন কি! চলুন দেখে ফেলি।।।।।।


ঠানকুনি পাতা।


ছোট বেলায় দেখা পাতার সাইজ মিলছে না! আরো পুরু ও সবুজাভাব ছিল।


পোড়া মরিচ, পরিমান মত পেঁয়াজ কুঁচি, পরিমান মত লবন, থানকুনি পাতা ও সরিষার তেল।


লবন দিয়ে মরিচ, পেঁয়াজ ডলা শুরু করুন।


থানকুনি পাতা বেশী মাখার দরকার নাই, হালকা – আলতো!


ব্যস, রেডী!


গরম ভাতের সাথে জমবে বেশ! খুব সহজ!

(তেলে মরিচ ভাজতে সাবধান থাকা উচিত।)

বি দ্রঃ নিজ পাতায় প্রথম প্রকাশিত।

9 responses to “থানকুনি পাতার সহজ ভর্তা

  1. এক সময় পাহাড়ে পাহাড়ে ট্রেকিং করে বেড়াতাম। তখন যে কত এই থানকুনি পাতার ভর্তা বানিয়ে খাওয়া হয়েছে। সেই স্বাদ এখন আর কেন যেন খুঁজে পাইনা।

    পোস্ট ভাল লাগলো সাহাদাত ভাই।

    Like

  2. এই জিনিসটা এত মজার !!
    অনেক ভাল লাগল পোষ্টটা দেখে সাহাদাত ভাই।

    Like

  3. থানকুনি পাতার কিন্তু অনেক গুণ! তারুণ্যকে ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই। প্রতি দিন থানকুনি খেলে একমাস পরে নিজেকেই নিজে চিনতে কষ্ট হবে।
    অল্প পানিতে হালকা সিদ্ধ করে নিয়ে এককোয়া রসুনসহ বেটে গরম ভাত দিয়ে খেয়েই দেখুন না, কী ম্যাজিক ঘটে যাবে আপনার অজান্তেই!!

    Like

    • হুদা ভাই, গতকাল একজন ডাক্তার (ডাঃ বিকাশ, যিনি আমার দেখা একজন নিলোভী ডাক্তার) সাহেবের সাথে কথা চলছিল। তিনি জানালেন অনেক কিছু। প্রতিদিন আমাদের লেবু, তুলসী পাতার রস, রসুন, কালোজিরা, মধু খাওয়া উচিত।

      কেম্নে কি যে করি!

      শুভেচ্ছা।

      Like

  4. Hello colleagues, its great article concerning tutoringand completely explained,
    keep it up all the time.

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]