গ্যালারি

আল্লার দান বিরানী হাউস


লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১, ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন)

আমাদের শ্রদ্বেয় ব্লগার নাজমুল হুদা ভাইয়ের ‘আমার দিনকাল’ পড়ে বুঝতে পারি একা থাকার কি জ্বালা! একা থাকার নানান মজা থাকলেও খাবার দাবারের ব্যাপারে নানান কষ্টের সীমা থাকে না। আমি কিছু কিছু রান্না করতে পারি এবং কিছু তো বেশ ভালই স্বাদের হয়। নাজমুল ভাইয়ের লেখাটা পড়ে আজ ভাবনায় এলো, নাজমুল ভাইয়ের অবস্থায় পড়লে আমি কি করি। যদিও বিবাহের পর বেশী দিন একা থাকতে হয় নাই। মালিকের ইচ্ছা। তবে বছরে দশ বারদিনতো একা থাকা হয়ই। বিশেষ করে প্রতি ডিসেম্বরে আমার স্ত্রী কয়েক দিনের জন্য আখাউড়া যান এবং সে সময়ে আমাকেও নাজমুল ভাইয়ের মত একা থাকতে ও রান্না করতে হয়! কিংবা কয়েকদিনের জন্য বোনের বাড়ীতে!

আমার স্ত্রী কোথায়ও যেতে আগে অনেক কিছু রান্না করে যেতেন কিন্তু এখন আর তেমন কিছু রান্না করে যান না। হালকা ডায়লগ দিয়ে যান, তোমার জন্য আল্লার দান বিরানী হাউস আছে না! ব্যাপারটা আরো খুলে বলি, আমার স্ত্রী না থাকলে আমি আড্ডা বাজীর স্বর্গে চলে যাই। অফিস থেকে বের হয়ে একদিন বেইলী রোড, একদিন কমলাপুর, একদিন নারিন্দা, একদিন দিলু রোড সহ ইত্যাদিতে আড্ডা দিয়ে রাতে বাড়ী ফিরি! এত রাতে ফিরে কি রান্না করা যায়, মাঝে মাঝে ফ্রীজও খুলে দেখি না!

বাসায় ফেরার পথে আমাদের বড় রাস্তায় একটা খাবারের দোকান আছে যার নাম ‘আল্লার দান বিরানী হাঊস’। চিপাচপি দোকান, পুরান ঢাকা স্টাইল, একজন মানুষের বেশী মানুষ দোকানে প্রবেশ করতে পারে না! কিন্তু এরা খুব ভাল বিরানী, মোরগ পোলাঊ এবং তেহরী বানায় এবং তা থাকে খুব গরম গরম। আমি দুই প্যাকেট কিনে নিয়েই, প্যান্ট খুলে বসে পড়ি! প্রায় প্রতি রাতে আল্লার দান বিরানী হাঊসের তেহরী খেয়েও আমার অরুচি হয় না। বিশ্বাস না করলে ছবি দেখুন!


দুই হাফ তেহরী! প্রতি প্যাকেটের সাথে একপিস লেবু, একটা কাঁচা মরিচ এবং কয়েক টুকরা শষা থাকে! মাঝে মাঝে কয়েক টুকরা পেঁয়াজও থাকে!


পরিস্কার লেখা, আল্লার দান বিরানী হাঊস।


প্রতিটা দানার উপর নাকি লিখা থাকে কে তাকে খাবে! আর তাইতো কে কোথায়, কখন খাবে কে জানে!

8 responses to “আল্লার দান বিরানী হাউস

  1. তেহারী বানানোর উপর একটি পোস্ট এসে যাক। অপেক্ষায় থাকা হলো।

    Like

  2. আচ্ছা, বিরানী আর তেহারীর মধ্যে পার্থক্য কী? মানে কী কারনে বিরানী কে বিরানী আর তেহারীকে তেহারী বলা হয়? আমার কাছে তো একই রকম মনে হয়।

    Like

    • ধন্যবাদ আরিফ ভাই।
      হা, দুটোই প্রায় এক। বিরানীতে গোসতের টুকরা বড় আর তেহারীতে ছোট, এই হচ্ছে মুল পার্থক্য। তেহারীতে মশলাপাতি একটু কম দেয়া হয় আর বিরানীতে বেশ। তেহারী নাস্তায় খাওয়া যায় আর বিরানী নাস্তায় খেতে গেলে পাব্লিক আপনাকে খাদক বলবে! হা হা হা…
      শুভেচ্ছা।

      Liked by 1 person

  3. vaia,judi kosto kore,biriani ar teharir rannata dekhaten tahole khub khushi hotam.teharir rannata chilo kintu apni upokoron gulo bole dennai tai bujte parinai.judi kosto kore abar diten tahole khushi hotam.tc

    Like

  4. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ খান্দানী তেহারী | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  5. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ খান্দানী তেহারী | আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]