গ্যালারি

বেগুন ভাজি (জিবে জল আসবেই)


লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ৯ ডিসেম্বর ২০১১, ৩:১৮ অপরাহ্ন)

আজকাল সব্জি বাজারে গেলে বেশ সুন্দর সাইজের নানা ধরনের বেগুন পাওয়া যাচ্ছে। দেখে বাজারেই লোভ লাগবে! খাদ্যরসিকরা বাজারের এই বেগুন দেখে না কিনে পারবেন না। বেগুন অনেকে পছন্দ করেন না, কিন্তু বেগুন ভাজি! আপনার পাতের সামনে এনে দিতে পারলে আমার মনে হয় ‘না করবেন না’! আর একবার যদি গরম ভাতের সাথে মেখে চালান দিতে পারেন তবে কথাই বলবেন না। তবে ভাজির জন্য বেগুন কিনতে একটু ভাবনা চিন্তা করে কিনতে হবে। বিচি না বেশি না কম! না বুড়া, না জোয়ান! মাঝামাঝি বেগুন গুলো দিয়ে ভাল ভাজি হয়। আগেই বলে নিচ্ছি, বেগুন ভাজতে অনেক তেল লাগে! চলুন দেখে ফেলি। বাঙ্গালীর এই অসাধারন আবিস্কার!


ভাল বেগুন কিনে নিয়ে আসুন (আমার ব্যাটারী গতকাল সকালে এই বেগুন কিনেছেন, রাতে আমরা এই বেগুন ভাজি করেছি)


গোল গোল চাক করে কাটুন এবং ধুয়ে নিন। মশলাপাতি মেখে প্রায় ঘন্টা খানেক রেখে দিন।
মশলা তেমন কিছু না – গুড়া মরিচ, হলুদ, সামান্য জিরা গুড়া, পরিমান মত লবন এবং চিনি (চিনি বেশি নয়, এই রকম ৫ চাকের জন্য এক চা চামচ ব্যবহার করা হয়েছে, চিনি না দিলে স্বাদ বাড়বে না)। অনেকে আরো অনেক মশলা পাতি ব্যবহার করে থাকেন, তবে এই মশলা গুলোই বেসিক মশলা।


চওড়া তাওয়াতে তেল গরম করুন (বেগুন ভাজিতে অনেক তেল লাগে, মানে বেগুন অনেক তেল টানে)। বেগুন দিয়ে দিন।


দুই একবার এপিট ওপিট ভেজে, একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ভিতরটা ভাল করে মজে নরম হতে দিন।


যে কোন ভাজির সময় নিজে সাবধানে থাকবেন। গরম তেলের চিটা থেকে নিজকে বাঁচিয়ে রাখবেন। প্রয়োজনে বেগুন উল্টা পাল্টা করতে দুটো খুন্তি ব্যবহার করুন।


কেমন ভাজি চান এটা আপনার উপর নির্ভর করবে।


আমার পছন্দ একটু পোড়া পোড়া ধরনের। তবে এটা আবার আমার ব্যাটারী পছন্দ করেন নাই, তিনি বলেছেন, যা কিছু করি আমি নাকি বেশী বেশী করি! বেশি বেশি পোড়া হয়েছে!


ব্যস রেডী, বুলেটের মা! পরিবেশনের সময় সামান্য বিট লবন ছিটিয়ে দিতে পারেন, না থাকলে নাই। আরো ভাল লাগবে।

7 responses to “বেগুন ভাজি (জিবে জল আসবেই)

  1. সত্যি কথা বলেতো, আপনার কি কোন রেস্টুরেন্ট আছে? নইলে এতো দ্রুত এতো পোস্ট দেবার সময় পান কখন রে ভাই? 🙂 মজা করলাম।

    Like

  2. ধন্যবাদ শিবলী ভাই,
    আমি রাতে বাসায় ফিরে রান্নাঘরে যাই এবং সকালে তা নিয়ে আসি! হা হা হা… আমার একটা রেস্টুরেন্ট খোলার ইচ্ছা আছে। আগামীতে……
    আপনাকে অগ্রীম দাওয়াত দিলাম। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনার পরিবারের সবাইকে, বিশেষ করে মা মনি দুইজনকে। ওরা কেমন আছে?

    Like

    • ওরা দুজন সহ আমরা চারজন ভালো আছি। ইন্‌শাল্লাহ্‌ আসবো আপনার রেষ্টুরেন্টে। তবে সত্যি সত্যি খোলার আগে আমার সাথে কথা বলবেন কিন্তু। কারন একদা ঢাকা বসুন্ধরায় আমার ফুডশপ ছিলো। কি কি কারনে আমি লস্‌ খেলাম। সেই কাহিনী আপনার জানা থাকলে, আপনি সাবধান হতে পারবেন। 🙂

      Like

  3. আপু বেগুন বাজা টা কিন্ত পুরে গিয়েছে আর অনেক কিছু

    Liked by 1 person

    • পুরানো রান্না, আমি নিজেও রান্নার তত বেশী ছিলাম না। শেখার চেষ্টায় ছিলাম। রান্না হচ্ছে অভজ্ঞতা লব্ধ বিষয়, তবে মাল মশলা সব ঠিক আছে, এভাবে আমার মত নুতনরা শুরু করতে পারে। এখন আমারো আরো সুন্দর হয়! ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর বিষয় খেয়াল করছেন! শুভেচ্ছা নিন।

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]