গ্যালারি

পেঁয়াজ কলি রান্না


লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ৪ ডিসেম্বর ২০১১, ১০:৪৫ অপরাহ্ন)

পেঁয়াজ কলি রান্না। ছবি দেখে নিন, পেঁয়াজ গাছের ফুল আসা কান্ডকে কি বলা হয়, আমার জানা নেই। অফিসে এসে আমাদের মুরুব্বী নাজমুল হুদা ভাইকে ফোন করলাম। তিনি জানালেন, কলি (প্রথমে বলেছিলেন কালি, পরে মত পাল্টটেছেন)। আমি মনে করতাম, পেঁয়াজ পাতা! এই ধরনের রান্না বাসায় করা হয় না বলে নাম জানার প্রযোজন হয় না। আমি বাজার থেকে পেঁয়াজ কলি কিনেছি অনেকবার। আমার ব্যাটারী এই পেঁয়াজ কলি ভাজি করেন, ডিম দিয়ে। ভাল লাগে।


রান্না এখন আমার নেশা বলে কথা! গত কাল বাজার থেকে এই পেঁয়াজ কলি কিনে নেই। আমার মনে হয়েছিল, ভাজিতো খেয়েছি অনেক বার, এবার রান্না করলে কেমন হয়। মানে যে কোন সব্জি আমরা যে ভাবে রান্না করি তা করলে কি হয়। আর বলবেন না মশাই, এবারো আমার ছেলে বলেছে, বাবা ঝাক্কাস! কেজি ছিল ৪০ টাকা! চলুন দেখে ফেলি। কত সহজে কত মাজার রান্না!

উপকরনঃ
– পেঁয়াজ কলি (পরিমান মত)
– পেঁয়াজ কুচি (বুঝে)
– রসুন বাটা (এক চা চামচ)
– মরিচ গুড়া (সামান্য, ঝাল আপনার উপর নির্ভর করবে)
– হলুদ (আধা চামচ)
– ধনিয়া গুড়া (আক চিমটি)
– লবন (দেখে শুনে)
– চিংড়ী মাছ (কয়েকটা, রান্না স্বাদ করবে, না থাকলে নাই)
– তেল (সামান্য)

প্রনালীঃ

ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার সাইজ মত কেটে ফেলুন। আমি একটু বড় সাইজ করেছি, ইচ্ছা ছিল আরো বড়! তবে ভাজিতে ছোট সাইজ করেছি (ভাজির রেসিপিও দিব ভাবছি)


কয়েকটা চিংড়ী মাছ নিন। এতে রান্না আরো মজাদার হবে। ঘরে না থাকলে নাই! কিছু যায় আসে না।


হাড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভাজুন, রসুন বাটা দিন, মরিচ, হলুদ ও সামান্য ধনিয়া গুড়া দিয়ে ভাল করে কষান। তেল উপরে উঠে যাবে।


এককাপ পানি দিয়ে (রান্না করতে করতে চোখের অনুমান হয়ে যায়। আপনি চাইলে গরম পানিও দিতে পারেন, রান্নার সময় বা আগে কিছু গরম পানি রাখতে আমার মাকে দেখেছি, প্রয়োজন হলেই তিনি গরম পানি ব্যবহার করতেন) ঝোল বানিয়ে নিন। এবং চিংড়ী মাছ দিয়ে দিন। ভাল করে আবারো কষিয়ে নিন।


ভাল করে কষিয়ে নিন।


পেঁয়াজ কলি দিয়ে দিন।


ভাল করে নেড়ে লবন দিন (প্রথম বার লবন সন সময় কম দেবেন, কারন বেশী হয়ে গেলে কমাবে কে? তাছাড়া পরে দিলে সমস্যা নেই)


ঢাকনা দিয়ে মিনিট বিশেক পর এসে দেখে যান। আবার লবন চেক করুন, হলে ‘ওকে’ না হলে দিন।


কেমন গলাবেন এটা আপনার ইচ্ছা। আমি সাধারণত সবজি বেশী গলিয়ে ফেলি না, আমার কাছে একটু কাঁচা কচকচে থাকলে ভাল লাগে।


ব্যস, রেডী ভাইয়া!


বিশ্বাস করুন আর না করুন, গরম ভাতের সাথে এটা এত মজাদার যে ক্লাস টুয়ে পড়া আমার ছেলে ‘বুলেট’ খেতে একটুও ভাবে নাই (ছোটদের যে কোন কিছু খাওয়াতে কি কষ্ট তা আপনারা জানেন, আমার ছেলেও আগে যে কোন কিছু খেতে চাইত না, তবে আমি বানিয়ে নিচ্ছি/নিয়েছি! খাবে, ওর মা সহ খাবে!)।

2 responses to “পেঁয়াজ কলি রান্না

  1. Today I cooked this one, apnar recipe Ta samne rekhe korlam. Thank you

    Like

  2. বিমলেন্দু মোহান্ত ।

    পিয়াজ কালা রাঁধতে পেঁয়াজ রসুন লাগে না।

    Like

বিমলেন্দু মোহান্ত । এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল