অফিসে নেট লাইনে ফেইসবুক ব্লক থাকার কারনে তেমন একটা ফেইসবুক আর ব্যবহার করি না। তবে মাসে দুইএকবার এক বন্ধুর বাসায় গেলে ফেইসবুক ঘেঁটে দেখি। ইতিমধ্যে গুগল প্লাস এসে যাওয়াতে এখন গুগল প্লাসেই বেশী সময় কাটাই। কিন্তু গুগল প্লাসকে যতটুকু মনে করেছিলাম তা নয়! জমাতে পারছে না, ব্যবহারকারী ধরে রাখতে পারছে না। ফেইসবুকের কাছে মনে হয় শেষ পর্যন্ত ধরাই খেল! অনেকে বলেন ফেইসবুকে মেয়েরা বেশী এবং ব্যবহার ও বুঝা সহজ বলে আবালবৃদ্ব সবাই এখনো ফেইসবুকেই আছে এবং থাকবে! আমি হাসি, হায় প্রযুক্তি! অনেক সময় ভাল জিনিষও লোকে গ্রহন করে না! সবই নিয়তি।
যাই হোক গত সপ্তাহে আমি আমার ফেইসবুকের একাউন্টে লগ-ইন করে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। ম্যাসেজ অফশনে গিয়ে আমার ইনবক্সে একটা মেসেজ দেখে খুশিতে মন ভরে গেল। এ যে আমার প্রিয় কাটুনিষ্ট ভ্রাত্রদ্বয়, মানিক ও রতন ভাইয়ের ম্যাসেজ/চিঠি।
September 16
Shahadat bhai.. Apnake amader Facebook friendlist e dekhe obak naa hoe parlam naa.. Amra to Choturmatrik Blog e apnar mojadar ranna er upor lekha pore majhe majhei ranna kori.. Aar apnake mone mone dhonnobaad janai. Apnake amader frnd list e peye shorashori dhonnobaad jananor lobh shamlate parlam naa. Dhonnobaad.. bhai.
Apnar shob lekhai pori. Onek shohoj bhabe moja kore lakhen. Asha kori.. lekhalekhi chalie jaben.. shathe notun notun mojar shob rannar koushol. Bhalo thakben.
Manik n Ratan
মানিক ও রতন ভাইদের আমি অনেক আগে থেকেই জানি। সরাসরি কখনো পরিচয় হয় নাই তবে এই ভাইদ্বয়ের প্রচুর কার্টুন আমি প্রত্রিকায় দেখেছি এবং তারিফ করি। এদের নিয়ে আমি অনেক ভেবেছিও। কি করে এত সুন্দর আঁকেন। আজ আমি তাদের চিঠি পেয়ে ভাবছি, এরা দুইজন কত বড় মনের অধিকারী – আমার মত একজন সাধারন মানুষের কাছে চিঠি লিখেন। দুনিয়ার মালিকের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন তাদের সুখে রাখেন এবং আরো আরো নাম কামানোর সুযোগ করে দেন। মানিক রতন ভ্রাত্রদ্বয় এখন আবার যে পেশায় আছেন তা হচ্ছে ‘ফ্রিল্যান্সার’। ঘরে বসে অনলাইনে টাকা রুজি করেন। বিষয়টা আমাকে আরো ভাবিয়ে তুলে। গত দুই তারিখের প্রথম আলোতে মানিক ও রতন কে নিয়ে লেখা পড়ে আমি আরো হতবাক। আমি নিশ্চিত, এরা দুইভাই আগামীতে বাংলাদেশের লিজেন্ড হিসাবে পরিচিত হবেনই।
রতন আর মানিকের গল্প
মানিক-রতন যমজ ভাই। চেহারাও একরকম। কে মানিক কে রতন বোঝা ভার। কার্টুনিস্ট হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত। দুই ভাই মিলেই যেন এক। কার্টুন আঁকা বা কম্পিউটার গ্রাফিক্স যা-ই করেন একসঙ্গে। ১৯৯৭ সালে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে তাঁদের কার্টুন আঁকা শুরু, উন্মাদ দিয়ে। এরপর ভোরের কাগজ, ডেইলি স্টার হয়ে প্রথম আলোতেও এঁকেছেন অনেক। শিখে ফেলেছেন কম্পিউটার গ্রাফিক্সও।
মানিক-রতন নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। এতে সাইবার দুনিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বাস্তব দুনিয়া জানল তাঁদের কাজ সম্পর্কে। ২০০৫ সালে জানতে পারলেন আই স্টক ফটো নামের এক ওয়েবসাইটের কথা। এখানে গ্রাফিক্স, কার্টুন, আলোকচিত্র রাখলে সেগুলো বিক্রি হয়। মানিক-রতনও রাখলেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিক্রি হলো তাঁদের কিছু কাজ। পাশাপাশি বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান সরাসরি তাঁদের কাজ দিল। শুরু হলো মানিক আর রতনের ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং।
নিজেদের পড়াশোনা, পত্রিকায় কার্টুন আঁকা, বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজের সঙ্গে করতে থাকলেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ। মাঝখানে চাকরিও করলেন তাঁরা এক বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। কিন্তু মুক্ত পেশাজীবন পছন্দ করেন এই যমজ। তাই এখন আর চাকরি করেন না। তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেশি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজও করে দেন। আর বিদেশি কাজ তো আছেই। বিশ্বখ্যাত ইনগ্রাম পাবলিশিংসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মানিক-রতনকে দিয়ে নিয়মিত কাজ করিয়ে নেয়।
দুই ভাইয়ের কথা, ‘এ কাজে স্বাধীনতা আছে।’ মানিক-রতন কাজ করেন এখন নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য। যেগুলোর অবস্থান যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি দেশে। সম্প্রতি একটি পোস্টার ডিজাইন করে কন্টিনেন্টাল অ্যাড কাপের পুরস্কার জিতেছেন মানিক-রতন।
শুত্রঃ প্রথম আলো
সে যাই হোক এই দুইভাই যদি হঠাত আমার বাসায় এসে পড়েন তবে আমি সহজেই তাদের কি খেতে দিতে পারি। নানা ভাবনা চিন্তার পর মনে হল, সামুদ্রিক মাছ রূপচাঁদা হলে মন্দ হবে না। সহজ এবং ঝটপট রান্না।
ফ্রীজ থেকে মাছ গুলো বের করে ভাল করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে।
প্রায় এক চামচ করে হলুদ, মরিচ, হাফ চামচ ধনিয়া ও কিছু লবণ দিয়ে ভাল করে মেখে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।
আধ ঘন্টা পর ভাজার জন্য নিতে হবে।
চওড়া প্যানে তেল গরম করে মাছ দিয়ে দিতে হবে।
উল্টাপাল্টা করে ভাল করে ভাজতে হবে। (নিজের মন মত করে)
ব্যস হয়ে গেল, রূপচাঁদা মাছ ভাজি। পরিবেশনের আগে কিছু ধনিয়াপাতা চিটিয়ে দেয়া যেতে পারে।
আর কি চাই! এক ভাজা মাছেই ভাল খাওয়া হয়ে যেতে পারে।
আশাকরি মানিক রতন ভ্রাত্রদ্বয় খেয়ে বলবেন, সুস্বাদু!
http://tinyurl.com/44bxeh5
LikeLike
i like u resepi..
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার ছোট কমেন্টে যে ভালবাসা পেলাম তার তুলনা নেই। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
apnar reciepe gulo sohoj r sundor vaiya,,, majhe moddhei dekhi r try kori, tnx…….
LikeLike
ধন্যবাদ ব্রাদার।
আমি আছি আপনাদের সাথেই। আশা করি ভাল রান্না শিখেই ফেলবেন। রান্না অবশ্যই ভালবাসা!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Any kind of fish fry….amar darun lage. Choto belay onek din Baba raat e fish niye basay ashle Maa khub raag korten. Tokhon Baba r ami dujone katakuti kore direct fry kore feltam. Sei fish fry Kheye raat e r dinner korai hoto na. Apnar lekha ta pore khub nostalgic hoye gelam.
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
হা হা হা, রাতে মাছ নিয়ে বাসায় ফিরলে মায়েরা, স্ত্রীরা রাগ করবেই! আমার অভিজ্ঞতাও এমন, তবে আমি রাতে বাজারে গেলে মাছ কিনলে এনেই ফ্রীজে রেখে দেই, কেহ জেন না দেখে!
শুভেচ্ছা।
LikeLike