চলুন আজ দেখি মোরগের মাংসের রোষ্ট রান্না। রোষ্ট খেতে বসে আমার কাছে মত হত, রোষ্ট রান্না করা কঠিন কাজ। আসলে তা নয়, আমার ওয়াইফের কাছে এটাই নাকি সব চেয়ে সহজ রান্না। তেমন কিছুই নয়, ফ্রেস মোরগের মাংস এবং প্রয়োজনীয় মশলা সমূহ। তার পর ভাল করে মিশিয়ে কড়াইতে বসিয়ে ডাকনা দিন। শেষের দিকে খুন্তি দিয়ে নাড়াতে হবে মাত্র! একটা চমৎকার রঙ ধরে গেলে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন! ব্যস।।
ছবি ১ – মোরগের মাংস ভাল করে ধুয়ে একটা বোলে নিন এবং প্রয়োজনীয় মশলা, প্রয়োজনমত দিন। কি কি মশলা দিতে হবে তা আমি পরে জানাব! রেসিপিটা বাসায় মাস/দুয়েক আগে তৈরী হয়েছিল বলে আমি সব মশলা গুলোর নাম মনে করতে পারছি না! আজ সকাল থেকেই আবার ওনার মেজাজ গরম! এখন জিজ্ঞেস করলে আবার বলে বসবে, কোন বান্ধবীকে নিয়ে রান্না করছ! (হায় রে কোপাল! আমি ব্লগে আড্ডা মারি এটা তিনি জানেন না, জানলে মারা পড়তে পারেন!)
ছবি ২ – যতদুর মনে পড়ছে, হালকা টক দৈ ও টমাটো সসও দিতে হবে।
ছবি ৩ – পরিমান মত তেল ঢেলে, ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিন।
ছবি ৪ – কিছুক্ষন পর চুলা জ্বালিয়ে, কড়াইতে জ্বাল দিন।
(বিশেষ – এই হচ্ছে বেরেস্তা, বেরেস্তা হচ্ছে পেঁয়াজের কুচি ভাঁজি। পালাউ থেকে রোষ্ট অনেক রান্নায় এটা ব্যবহার করতে হয়। এই বেরেস্তার জন্য রান্নার স্বাদ চারগুন বেড়ে যায়। পেঁয়াজ কুচি করে ডুবা তেলে ভেজে নিবেন, রং হবে পোড়া পোড়া, বার বার নাড়তে হবে, যেন পুড়ে না যায়।)
ছবি ৫ – শেষ দিকে এমন একটা রঙ আসবে! দেখেই ভাল লাগবে। মাংস চেক করে নিন, নরম হল কি না। রান্নার সময় শিশুদের ও বুড়োদের কথা মাথায় রাখতে হয়, শিশুরা/বুড়োরা রোষ্ট খেতে খুবই পছন্দ করে। শক্ত হলে ওদের খেতে কষ্ট হবে, তা ছাড়া দাঁতের মাড়িতেও ব্যাথা পেতে পারে। আর আপনিও কেন খেতে বসে টানাটানি করবেন!
ছবি ৬ – কিছু মিক্স সবজি রান্না করে নিতে পারেন, চায়নিজ আদলে, রুচিতে আঘাত হানবে। কচকচ লাগবে।
ছবি ৭ – রোষ্ট পলাউয়ের সাথে খেতে মজা। পলাউয়ের উপর বেরেস্তা দেখুন!
রান্না হয়ে গেলে আর দেরী কি! বসে পড়ুন। পরিবারের সবাই মিলে এক সাথে বসে খেতে আনন্দের সীমা নাই। এতে পরিবারের সবার সাথে সবার যেমন আন্তরিকতা বাড়ে, তেমনী একে অপরকে বুঝতে পারেন। একে অন্যের জন্য দিলেও রহমত তৈরী হয়, যা পরবর্তীতে কাজে লাগে। তবে কারো রান্না ভাল না লাগলে, মুখের উপর ভাল হয় নাই বলা ঠিক নয়।
রান্নাকে আমরা যত সহজ বলি না কেন, এটা একটা কষ্টকর কাজ। আপনার জন্য যিনি এমন কষ্ট করলেন, তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাবেন। স্পেশালি, আপনি যদি সুখ চান তবে ওয়াইফ যা রান্না করবে, তাতেই খুশি থেকে তাকে এঙ্কারেইজ করবেন। একদিন তিনি অবশ্যই ভুল বুঝতে পেরে এমন রান্না করবেন যে, আপনি আঙ্গুল চেটে খাবেন এনং এরপর থেকে ওনার রান্না ছাড়া আর কারো রান্নাই খেতে পারবেন না! চতুরমার্ত্রিক সার্ভারের কসম!
রোষ্ট বাটিতে বেড়ে নিন।
সবজি বেড়ে নিন।
আচারের বাটি থাকলে তো কোন কথাই নাই। একটু আরো বেশী খাওয়া যাবে!
হাত ধুয়ে বসে পড়ুন। বিসমিল্লাহ।
I almost following your blogs for last 3/4 month.. N completely blown away.. Thx for such simple n wonderful concepts.. One request can I get a more detailing of the roast menu above..the integrates amount .. I want to cook it for my father..take care
LikeLike
Sister, Thank you very much and I appreciate your wish. I will give you all details with in few days in a new post, which will be dedicated only for you. ha ha ha…
Keep us with you. Thanks again for your good interest. See you soon.
It is our great pleasure for such nice and kind people like you.
Take care…
LikeLike
Thx big bro for considering my request..can’t wait to see your new post..:)
LikeLike
Dear Sister, please see the below link post. Hope it will help you. If you need any more or clarifications/help, don’t hesitated to contact us. We appreciated you always.
Best wishes & take care…
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ শাহী চিকেন রোষ্ট (সিষ্টার সায়মার জন্য শুভকামনা) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
এখানে রান্নার উপকরণ নেই কেন?উপদান সর্ম্পকে ধারনা না থাকলে, রন্ধন প্রনালী কতটা কাজে দিবে? অগে উপকরণ তার পর প্রণালী।
LikeLike